দেওর মানেই পরিবারের নতুন বউ-এর নতুন এক বন্ধু। দেওরের সাথে গল্প আড্ডা, বৌদিকে নিজের মায়ের সম্মান দেওয়া এসবের মধ্যেই গড়ে ওঠে দেওর ও বৌদির সুন্দর সম্পর্ক। আমরা প্রতিটি ধারাবাহিকে এই দেওয়রের চরিত্র দেখতে পাই। এই চরিত্রের সঙ্গে মেন্ লিডের এক বিশেষ ভালো যোগসূত্র রয়েছে। তাই বলাই যায় একটি ধারাবাহিকে দেওরের চরিত্র বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ধারাবাহিকের দেওরের সঙ্গে মেন্ লিডের সম্পর্ক
যদিও এই চরিত্র সর্বদা যে পজেটিভ চরিত্রেই দেখা মেলে তা কিন্তু নয়। বেশকিছু ধারাবাহিকে নেগেটিভ চরিত্রেও ধরা দিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ধারাবাহিকে আমরা দেওর আর বৌদির সম্পর্ক ভালোই দেখেছি। যেমন স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র সূর্যের ভাই জয় প্রথম থেকে দীপা ও সূর্যের মিল করানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আজও সূর্যকে দীপার সঙ্গে সবকিছু ঠিক করে নেওয়ার জন্য বুঝিয়ে যাচ্ছে।
ইচ্ছে পুতুলের লাল চরিত্র
অন্যদিকে জি বাংলার ‘ইচ্ছে পুতুল’। এই ধারাবাহিকেও মেঘের দেওর অর্থাৎ নীলের ভাই লাল নীলকে ডিভোর্স দেওয়া থেকে আটকেছে। সেও চায় মেঘ ও নীলের মিল হয়ে যাক। অন্যদিকে জি বাংলার ‘নিম ফুলের মধু’ তেও পর্ণা ও তাঁর দেওরের সঙ্গে রয়েছে মিষ্টি বন্ধুত্বের সম্পর্ক। দুজনের মিলে বাড়ির প্রতিটি সদস্যকে বিপদ থেকে রক্ষা করে।
কার কাছে কই মনের কথা’তে দেওরের নেগেটিভ চরিত্র
তবে সদ্য শুরু হওয়া জি বাংলার ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকে দেওর পলাশ একেবারেই উল্টো। ধারাাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন মানালি দে। শিমুলের চরিত্রে তিনি অভিনয় করছেন। বেশকিছু দর্শকদের মতে, ধারাবাহিকে বেশিরভাগই নেগেটিভ দেখানো হয়েছে। সমাজের রূপটিকে তুলে ধরতে গিয়ে এতটাই নেগেটিভ জায়গায় চলে গিয়েছে যে কিছুজন বিরক্তিপ্রকাশ করছে। উক্ত মেগাতে বেশকিছু বাস্তবের ঘটনাকেই তুলে ধরা হচ্ছে।
শ্বশুরবাড়িতে শিমুলকে তার দেওর পলাশ একেবারেই সহ্য করে না। সকলের সামনে বৌদিকে অপমান, সাথে বড় দিদির গায়ে হাত দেয়। অনেকগুলো ভালো দেওরের মধ্যে পুরোপুরি নেগেটিভ দেওরের চরিত্রে অভিনয় করছে পলাশ। পলাশের এই নেগেটিভ চরিত্র দর্শক কিভাবে নেবে এবার তাই দেখার। অনেক দর্শকই এই দেওরকে দেখে রগে ফুঁসছে। তবে এই দেওর নেগেটিভ চরিত্রে দর্শকদের মনে কতটা ঘৃণা জমাতে পারে, তাই দেখার।