জি বাংলার (Zee Bangla) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kachhe Koi Moner Kotha)। ধারাবাহিকটির প্রধান লিড চরিত্রে রয়েছেন মানালি দে (Manali Dey)। অভিনেত্রী থাকা মানেই ধারাবাহিকটি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হতে বাধ্য। উক্ত মেগাটি বাস্তবের কিছু সত্য ঘটনাকেই তুলে ধরছে। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে কিছু কিছু মেয়েদের অবস্থা যে নরকের মতো হয়ে ওঠে, তাই ব্যক্ত করছে এই মেগা। ধারাবাহিকের নায়িকা শিমুলের (Shimul) চরিত্রে অভিনয় করছেন মানালি। বিয়ের করে শ্বশুরবাড়িতে আসার পর শিমুল একের পর এক সমস্যার মুখে পড়েছে।
পাশাপাশি স্বামী, শাশুড়ি, দেওর সকলেই শিমুলকে নানানভাবে অপমান করে। শাশুড়ি প্রতিমুহূর্তে শিমুলকে খোঁটা দেয়। শিমুলের ঘুরতে যাওয়া, গান গাওয়া, বাইরে বেরোনো সব বন্ধ। যদিও ননদ পুতুল শিমুলের সাথে দেয়। কেউ শিমুলকে অপমান করলে স্বামী সেই ব্যক্তির হয়ে কথা বলে, এদিকে রাতেরবেলা স্বামীর অধিকার ফোলানোর চেষ্টা করে শিমুলের স্বামী পরাগ (Porag)। যদিও শিমুল কিছুদিন চুপ থাকার পর সে বুঝে নিয়েছে, যদি শ্বশুরবাড়িতে নিজের সম্মান নিয়ে থাকতে হয় তাহলে তাকে প্রতিবাদ করতে হবে।
বিয়ের আগে শিমুলের একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সে সম্পর্ক ভেঙে যায় অনেকদিন আগেই। বিয়ের পর শিমুলের স্বামী সেই সম্পর্ককে টেনে এনে অশান্তি করে, এমনকি শিমুলের গায়ে হাত তোলে। যদিও শিমুল এবার চুপ না থেকে পরাগের স্কুলে গিয়ে নালিশ করে। শিমুলের কথা শুনে একজন শিক্ষক হিসাবে পরাগের এরূপ ব্যবহার দেখে পরাগকে সর্তক করে দেয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক। কিন্তু তারপরও পরাগ শিমুলের গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে।
নিজেকে রক্ষা করতে শিমুল হাতে কাঠারীও ধরে। পরাগ বুঝে গিয়েছে, শিমুল আর পাঁচটা মেয়ের মতো সাধারণ মেয়ে নয়। শিমুল পরাগকে স্পষ্ট করে দিয়েছে, সে যদি শিমুলকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা ভাবে তাহলে খোরপোষের টাকার অঙ্কটাও তাকেই গুনতে হবে। এদিকে শাশুড়ি এতো খোঁটা দেওয়ার পরও শাশুড়ির ইচ্ছা রাখতে নিজের বালা বন্দর রেখে শাশুড়িকে কাশি পাঠায় শিমুল। যা দেখে শাশুড়িও অবাক হয়।
আরও পড়ুনঃ গণেশ চতুর্থীতে ধামাকা অ্যাকশন! চারিদিক থেকে বন্দুক ঘিরে ধরল জগদ্ধাত্রীকে! জবরদস্ত প্রোমো
অন্যদিকে পলাশ ও প্রতীক্ষা শিমুলকে তাড়ানোর জন্য প্ল্যান করে। শিমুলের প্রাক্তন প্রেমিক শতদ্রু তার বোনের বিয়ের নেমন্তন্ন করতে এলে পলাশ পরাগকে ডেকে শিমুলকে বদনাম করার চেষ্টা করে। ঘরে সকলের অবর্তমানে শিমুল খারাপ মতলবে শতদ্রুকে ডেকেছিল, এমন বোঝায় পরাগকে। এমনকি পলাশ শিমুলকে বলে, এই কাজটা করার জন্যই শিমুল শাশুড়িকে কাশি পাঠিয়েছে। দেওরের মুখে এমন কথা শুনে এবার লাঠি নিয়ে দেওরের দিকে তেড়ে গেল শিমুল। শিমুলের এমন রুদ্ররূপ দেখে অবাক সকলে। শিমুল এবার কি করে নিজেকে এই অপমান থেকে মুক্ত করবে?
View this post on Instagram