দত্ত বাড়ির গণেশমূর্তি ফিরিয়ে দিল পর্ণা (Parna)। নিজের জীবনকে বাজি রেখে পরনের বন্ধু রুচি (Ruchi) ও দত্ত বাড়ির ঐতিহ্যকে রক্ষা করল। আর এই কাজে পর্ণার সাথে ছিল সৃজনও (Srijan)। পর্ণার উপর সৃজন যতই রাগ দেখাক না কেন, পর্ণাকে যে সে এখনও ভালোবাসে, তা আরও একবার প্রমান করে দিল সে। সৃজন নিজের পায়ের সমস্যা হওয়া সত্ত্বেও পর্ণাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায়। দুষ্কৃতীর হাত থেকে পর্ণাকে রক্ষা করে।
আমরা জানি, মেঘনাদ দত্ত বাড়ি গণেশ মূর্তি নেওয়ার জন্য পর্ণার বন্ধু রুচিকে কিডন্যাপ করে। রুচির বদলে তাদের ডিম্যান্ড ছিল সেই মূর্তি। তাই পর্ণা বুদ্ধি করে গণেশমূর্তিকেও রক্ষা করে ও রুচিকেও ফিরিয়ে আনে তাদের হাত থেকে। পর্ণার এই দুঃসাহস দেখে হতবাক পুলিশরাও। এদিকে কৃষ্ণা (Krishna) সৃজনের জীবন থেকে পর্ণাকে তাড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
পর্ণার গড়ে তোলা ব্যবসা থেকে কৃষ্ণা পর্ণাকেই সরিয়ে দিয়েছে। ব্যবসা সামলানোর জন্য রাখা হয়েছে ঈশা নামের একটি মেয়েকে। তবে সে সৃজনের সাহায্য করতে নয়, ব্যবসাকে নিজের নামে করার মতলবে দত্ত বাড়িতে এসেছে। পর্ণা ঈশার মতলব আগেই বুঝে গিয়েছে। কিন্তু সৃজন তা বুঝতে পারেনি এখনও। ঈশা পর্ণাকে শায়েস্তা করার জন্য সৃজনকেও নিজের বশে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সৃজনের সামনে ছোট জামাকাপড় পরে অসভ্য ব্যবহার করায় পর্ণা ঈশাকে সকলের সামনে অপমানিত করে। ঈশার সারা গায়ে ‘আমি বেহায়া’ লিখে দেয়। আর সেই রগে ঈশা দত্ত বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তবে ঈশা জানে, ঠিক তাকে নিতে আসবে সৃজন। ঈশা দত্ত বাড়ি থেকে পর্ণাকে তাড়িয়ে পর্ণার জায়গা দখল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘এক্স প্রেমিককে ডাকবে বলেই শাশুড়িকে কাশি পাঠিয়েছে’! দেওর এটা বলতেই লাঠি নিয়ে দৌড়াল শিমুল
এতদিন পর্ণা ও সৃজনের মাঝে ছিল তিন্নি। এবার তিন্নির জায়গা নিল ঈশা। সৃজন তার মা কৃষ্ণাকে বলে ঈশার বাড়ি নিয়ে যেতে। ঈশাকে আবার সে ফিরিয়ে আনবে। কারণ সৃজন ব্যবসায় পর্ণার সাহায্য কিছুতেই নেবে না। এদিকে পর্ণার জন্যই তাদের ব্যবসার এতো হাঁকডাক। ঈশার ডিজাইন করা শাড়ি কারোর পছন্দ নয়। এবার পর্ণাকে তাড়ানোর জন্য ঈশা আবার কোন নতুন ষড়যন্ত্র করবে?
View this post on Instagram