সুখে-দুখে মিষ্টি মুখে মিঠাই দেখতে ভালোবাসেন না এরকম খুব কম মানুষ পাওয়া যায়।দেখতে দেখতে দশ বছর পার হয়ে গেল এই সিরিয়ালের সঙ্গে নিজেদেরকে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে চলেছে বহু মানুষ। ভক্তদের ভালোবাসায় কলাকুশলীরা আপ্লুত। ধারাবাহিকের প্রত্যেকটা চরিত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হয় এই ধারাবাহিকে।সেজন্যই মিঠাই দেখতে এত ভালোবাসেন সকল মানুষ।
এখানে শাশুড়ি বৌমার কূটকচালি এখনো পর্যন্ত দেখানো হয়নি তবে বর্তমানে মোদক পরিবারের শাশুড়ি বৌমার মধ্যে খিটিরমিটির চোখে পড়ছে সকলের। মোদক পরিবারের ছোট ছেলে সন্দীপ বিয়ে করে এনেছে ওমি আগারওয়ালের ছোট বোন পিংকি আগারওয়ালকে। যা দেখে তো তার মা অর্থাৎ ছোট কাকিমা সুলতার মাথায় হাত। তিনি তো কিছুতেই মেনে নেবেন না পিংকি কে। প্রথমত অবাঙালী, দ্বিতীয়ত ওমি আগরওয়াল এর বোন। তাই বিয়ে করে নিয়ে আসার পর থেকেই তিনি প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে তাকে কিন্তু আমরা দেখতে পাইনি। এরপর বধূবরণের সময় অনেক নাটক হয়। সুলতার নিজের শাশুড়ি অর্থাৎ ঠাম্মির সঙ্গে তার বিরোধ বাঁধে। ঠাম্মি অনেক কথা শুনিয়ে দেন সুলতাকে অন্যদিকে ছোট কাকিমা ঠাম্মিকে কথা শোনান। এই প্রথম শাশুড়ি বৌমার মধ্যে বিরোধ দেখা গেল মোদক পরিবারে। যদিও মিঠাই এবং হল্লা পার্টি গোটা বিষয়টা ম্যানেজ করা নেয়।
তবে ঘি ভাত দেওয়ার সময় মাছ নিয়ে সমস্যা হয় আবার। সুলতা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না যে তার বৌমা মাছ দেখলে পর্যন্ত বমি করে দেয়। বাঙালি ঘরের বউ হয়ে কিনা মাছ দেখলে এরকম করে, এটা মেনে নিতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে সুলতার। তাই সে ঘরে চলে যায়। বিপদে পড়েছে স্যান্ডি। সে মা’কে দেখবে না বউকে বুঝতে পারছে না।
তবে ছোট কাকিমা সুলতার উপর রাগ হয়েছে অনেক মিঠাই ভক্তদের।যেভাবে পিংকির বিরোধিতা করে যাচ্ছেন সময় নেই সেটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সকলে। তবে অনেকে আবার পুরনো কথা টেনে এনেছেন। ছোট কাকিমার স্বপ্ন ছিল নীপার বিয়ে রাতুলের সঙ্গে দিয়ে তাকে বিদেশ পাঠানো।কিন্তু নীপা তো রাতুলকে বিয়ে না করে পালায় ফলে মেয়ের বিয়ের স্বপ্ন অধরা থেকেছে। অন্যদিকে ছেলেও শত্রু পরিবারের মেয়েকে বউ করে নিয়ে এসেছে।ফলে ছেলেমেয়ে কারোর বিয়েই নিজের মন মত করে দেওয়া হয়নি তার। সেই জন্য কোথাও গিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কাকিমার মনে। তবে আগামী দিনে পিংকির সঙ্গে তার সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে যাবে এমনটাই আশা করছেন সকলে।