শিমুলের জন্য নিজের বিয়ে ভেঙে দিয়েছে শতদ্রু। নিজের ভালোবাসার মানুষটার এই বিপদের দিনে, অন্য কাউকে বিয়ে করে সুখে সংসার করতে বিবেকে বাঁধছে তার। তাই সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রূপরেখাকে সে বিয়ে করবে না। এই মুহূর্তে তার জীবনের একটাই লক্ষ্য মিথ্যে খুনের অপরাধে জেলবন্দী শিমুলকে মুক্ত করা। আর কুটনী প্রতীক্ষাকে জেলে পাঠাতে।
শতদ্রু রূপরেখাকে বিয়ে করতে চায়না। একথা শুনতেই রাগে, অপমানে, ক্ষোভে ফেটে পড়ে রূপরেখা। শতদ্রুর মা আর বোন পরমা শতদ্রুকে বারবার বোঝাতে থাকে সে যেন তার মুখের ফিরিয়ে নেয়। পাগলেও নিজের ভালটা বোঝে। কিন্তু শতদ্রু বুঝতে পারছে না শিমুল তার জন্য ঠিক নয়।শতদ্রু সাফ জানায়, সে রূপরেখাকে ভালোবাসে না। তার কাছে বিয়েটা একটা ডিল ছিল।
এদিকে, শতদ্রু বিয়ে ভেঙে দেওয়ায় অপমানে জ্বলে ওঠে রূপরেখা। শতদ্রু ও তাঁর পরিবারকে কথা শোনানোর পাশাপাশি সে ঠিক করে যে শিমুলকে সে কিছুতেই ভালো থাকতে দেবে না। শতদ্রুর সঙ্গে যদি সে সংসার করার স্বপ্ন দ্যাখে তবে তো আরও বিপদ হবে শিমুলের। মনে মনে রূপরেখা ঠিক করে শিমুল তাঁর চরম শত্রু। তাই এখন থেকে শিমুলের খারাপ করাই তাঁর উদ্দেশ্য।
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার রাগ ভোলেনা রূপরেখা। শতদ্রু তাঁকে ঠকিয়েছে ও বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়ে করেনি বলে পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানায় সে। যথারীতি শতদ্রুর বাড়িতে আসে পুলিশ এবং তীর্যক ভাষায় শতদ্রুকে কথা শুনিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বাকবিতণ্ডাতেও জড়িয়ে পড়ে শতদ্রু। উল্লেখ্য, শতদ্রুর মা রূপরেখাকে বহুবার অনুরোধ করলেও রূপরেখা অভিযোগ তুলে নিতে অস্বীকার করে।
এরইমধ্যে দেখা যায় শিমুলের কথা চিন্তা করে পুতুল মুখে একটুকরো খাবার তুলতে রাজি নয়। সে বলে, তাঁর জন্যই শিমুলের এতবড় বিপদ হল। কারণ সেই শিমুলকে বলেছিল ওই বাড়িতে থেকে যাওয়ার জন্য। এখন শিমুল যে জেলের পিছনে কষ্ট পাচ্ছে, তার জন্য নিজেকেই দায়ী করে পুতুল। এমনকি পুতুল এটাও বলে যে শিমুলকে যে তাঁর মা ভুল বুঝবে তা সে ভাবতে পারেনি। এরপরই সে তাঁর মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে, শিমুল যখন নির্দোষ প্রমাণ হয়ে ফিরবে, তখন তিনি শিমুলের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন তো? পুতুলের মুখে এই কথা শুনে কেঁদে ওঠে মধুবালা দেবী। এরপরই দর্শকদের প্রশ্ন তাহলে কি এবার নিজের ভুল বুঝতে পারলেন তিনি? শিমুলকে কি আবার তিনি মেনে নেবেন নিজের মেয়ের মতো করে?