আগের বছর সরস্বতী পুজোর দিন গমগম করছিল সেনগুপ্ত বাড়ি। ধুমধাম করে চলছিল পুজো। তাল মিলিয়ে চলছিল লোক সমাগম। জোড়া ইলিশ দিয়ে হয়েছিল বাগদেবীর আরাধনা। রুপাও প্রথমবারের জন্য পা রেখেছিল সেনগুপ্ত বাড়িতে। আজ অবধি যেন প্রতিটা মুহূর্ত মনে গেঁথে রয়েছে বাড়ির সকলের। এবছর কীভাবে পালিত হচ্ছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa) গল্পের পরিবারের সদস্যদের?
এবছর দীপার ভাড়া বাড়িতে ঘরোয়াভাবে আয়োজন করা হয়েছে পুজো। রাখঢাক না থাকলেও, সকলের মধ্যে রয়েছে ভালোবাসা আর ঐক্য। আর এই বছরের বিশেষ চমক ভ্যালেন্টাইনস ডে আর সরস্বতী পুজো একদিনে। সোনা-রূপা চায় আজকের দিন অর্জুন তাদের মাকে ‘আই লাভ ইউ’। এমনকি ভ্যালেন্টাইনস ডে-এর ফুল সাজিয়ে মাকে উপহারও দিয়েছে তারা। তবে নাম দিয়েছে অর্জুনের।
সোনা-রূপার পাকামি দেখে মেজাজ হারায় দীপা। সাজানো ফুল দেখে সূর্যের সঙ্গে কাটানো দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায় তার। সোনা-রূপাকে রীতিমতো উচ্চস্বরে ধমক দিয়ে ওঠে। অর্জুন দীপাকে শান্ত করানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দীপা মন থেকে সূর্যের চলে যাওয়াটা আজও মেনে নিতে পারেনি। হঠাৎ করে সূর্য যে এতটা বদলে যাবে কে জানতো!
এদিকে, প্রত্যন্ত গ্রামে সূর্য দিন কাটাচ্ছে দুস্থ লোকেদের চিকিৎসা করে। তার সহকারী হিসেবে গ্রামে এসেছে ইরা। এখনও ডাক্তারি পড়া শেষ হয়নি তার। ডক্টর সূর্যের তত্ত্বাবধানে এই গ্রামে কাজ করবে সে। প্রাণবন্ত, হাসিখুশি মেয়ে ইরা। কথা বলতে ভালোবাসে। চেষ্টা করে সূর্যের সঙ্গে ভাব জমানোর। প্রথমবার দেখার পর থেকে একটু একটু পছন্দও করতে শুরু করেছে সে।
এদিন গ্রামের সকলের মিলে মচ্ছবের আয়োজন করে। মহোৎসবে উপস্থিত সূর্য আর ইরাও। ইরা লুকিয়ে ভাঙের শরবত খেয়ে নেয়। আর রীতিমতো মাতলামি শুরু করে সে। তাকে সুস্থ করার সবকিছু করে সূর্য। যার ফলে ইরার মনে হয় সূর্যও পছন্দ করে ইরাকে। তাই প্রেম দিবসে একটা গোলাপ ফুল নিয়ে সূর্যকে কফি খাওয়ার জন্য ডাকে। তবে ইরার মিষ্টি কথা আর গোলাপ ফুল দেখে ফের রেগে যায় সূর্য। ছুঁড়ে ফেলে দেয় ইরার দেওয়া ফুল। জানায়, মেয়েদের মিষ্টি কথা আর কফি দুটোতেই তার ঘোর অ্যালার্জি।