জি বাংলা (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) সমস্ত ধোঁয়াশা, মিথ্যের অবসান ঘটিয়ে সকলের সামনে চলে এসেছে সত্য। জর্জ সাহেব শিমুলকে নির্দোষ বলে বেকসুর খালাস করে দিয়েছেন। এবং পরাগকে বিষ খাওয়ানোর অপরাধে প্রতীক্ষার হয়েছে এক বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ড। শিমুলের বান্ধবীরা আর শতদ্রু শিমুলকে নিয়ে বিপাশার বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরবে সেইসময় শিমুলের সামনে আসে পরাগ।
পরাগ আসেই ক্ষমা চায় শিমুলের কাছে। শিমুল তাকে তাচ্ছিল্য গলায় বলে “পরাগ ব্যানার্জী ক্ষমা চাইতে পারে সেটা জানা ছিল না। এবং তাকে চলে যেতে বলে। তখন পরাগ বলে সে জানত না এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে। সে বলে আজ সত্যের জয় হয়েছে। শিমুল আবার নিজেকে সঠিক প্রমাণ করে দিয়েছে। শতদ্রুকে সে বলে তিনি স্বামী হয়ে শিমুলের পাশে থাকেননি।
কিন্তু শতদ্রু সবসময় তার সঙ্গে থেকেছে। তখন শিমুল তাকে বলে দেয় সে যেন শিমুলকে নাম ধরে না ডাকে। তখন শতদ্রু বলে সব যখন জানেন চলে যান এখন থেকে। সুচরিতাও বলে আপনারা শিমুলকে অনেক অপমান করেছেন পুতুল দি বাদে সকলে অনেক ক্ষতি করেছেন ওর চলে যান এখন। তখন পরাগ কিছু বলতে গেলেই শিমুল তাকে হুমকি দিয়ে বলে চলে যেতে নাহলে সে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবে।
সেই কথা শুনে চলে যায় পরাগ আর পলাশের কাছে নিয়ে দিয়ে বলে বাড়ি যেতে। পলাশ প্রতীক্ষার কথা বলতেই পরাগ বলে তোরা যা করেছিল খুব ভুল করেছিল। তখনই বিপাশা সকলকে নিয়ে চলে যায় তার বাড়ি। বিপাশার বাড়িতে তার শাশুড়ি বরণ করে নেয় শিমুলকে। বলেন তিনি জানতেন শিমুল ফিরে আসবে। অনেক অপমান হয়েছে শিমুলের তারা তাই শিমুলকে ওই বাড়িতে ফেরার দরকার নেই।
তখনই সকলে শতদ্রুকে তার বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করলে সে জানিয়ে দেয় সে বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। সেই কথা শুনে অবাক হয় সকলে। তখনই চলে আসে মধুবালা দেবী। তিনি শিমুলের কাছে ক্ষমা চেয়ে শিমুলকে বলেন পুতুল খুব অসুস্থ তাকে একবার দেখতে যেতে। কিন্তু তাকে বাধা দেয় বিপাশা। কিন্তু শিমুল তাকে থামিয়ে বলে সে যাবে পুতুলের সঙ্গে দেখা করতে। সেই কথা শুনে বিপাশার বলে তারাও যাবে কিন্তু শিমুল তাদের থামিয়ে বলে সে একাই চলে যাবে।
সেই কথা শুনে খুব খুশি হন মধুবালা দেবী। তবে কি শিমুল ক্ষমা করে দেবে মধুবালাকে? কি হবে শিমুল শতদ্রু সম্পর্কের পরিণতি।