জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) চলে এসেছে প্রায় তাদের শেষ পর্যায়। ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে অনিন্দ্য বাবু আর মধুমিতা তৈরি হিয় মেঘের বাড়ি যাওয়ার জন্য। অনিন্দ্য বাবু মধুমিতাকে বলে তাকে খুব সুন্দর দেখতে লাগছে। সেই কথা শুনে লজ্জা পেয়ে যায় মধুমিতা। সে বলে “তুমি তাই আমার দিকে ওইভাবে চেয়েছিল, তাই না ধুর তুমিও না। আমাদের তিন কালে গিয়ে এককালে ঠেকেছে আবার সুন্দর।”
কিন্তু অনিন্দ্য বাবু তাকে বলেন “আমরা সবসময় চিরসবুজ থাকব। মেঘের বিয়েটা হয়ে গেল মনে হচ্ছে কোনও দিন মেয়েটাকে দেখিনা। আমি শুধু চাই ও ভালো থাকুক।” তখন মধুমিতা বলেন “আমরা শুধু চিন্তা ময়ূরীকে নিয়ে, আমি চাইনা জানো যে ও জেল থেকে ছাড়া পাক। আমি চাই ও ভালো হয়ে জেল থেকে ছাড়া পাক।” তখন অনিন্দ্য বাবুও বলেন তার কথাই একদিন সত্যি হবে।
তখন তারা বেরোতে যায় মেঘের বাড়ির উদ্দেশ্যে কিন্তু অনিন্দ্য বাবু ফোন ফোন আসে পুলিশ স্টেশন থেকে যে ময়ূরী মোহিনীর সঙ্গে মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি। সেই কথা শুনেই অনিন্দ্য বাবু আর মধুমিতা তড়িঘড়ি বেরিয়ে যায় হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। ওদিকে মেঘের বাড়িতে তাকে পার্লারের মেয়েরা সাজিয়ে বলে তাকে এত সুন্দর দেখতে যে আলাদা করে বেশি মেকআপ ছাড়াই তাকে সুন্দর লাগছে। তখনই ঘরে চলে আসে মিনি আর গিনি। মেঘকে দেখে অবাক হয়ে যায় তারা।
মিনি বলে মেঘকে আজ দারুন লাগছে। গিনি মেকআপ আর্টিস্টদের বলে যাওয়ার সময় তারা যেন খেয়ে যায়। তারা বারণ করলে গিনি জোর দিয়ে বলে ঠাম্মি তাদের বারণ করেছে না খেয়ে যেতে। তখন তারাও রাজি হয়ে যায় সেই কথা শুনে। তখন মেঘকে দেখতে সেখানে চলে আসে ঠাম্মি। মেঘকে দেখে তার প্রশংসা করেন তিনি তারপর মিনি ভুল করে মেঘকে মেঘ ডাকায় তাকে বলে বৌদি বলে ডাকতে। তখন মিনিও বলে সে চেষ্টা করবে। তখন মেঘকে তাড়াতাড়ি আসতে বলে চলে যায় সকলে।
সেইসময় ঘরে আসে নীল এবং দরজা বন্ধ করে দেয়। মেঘ তাকে বলে এরকম না করতে কিন্তু নীল তাকে বলে মেঘকে ছাড়া তার জীবন অসম্পূর্ণ। সে ভেবেছে তাদের ছেলের নাম রাখবে সৌর্য। সেই কথা শুনে অবাক হয়ে যায় মেঘ এবং বলে এখন এসব না ভাবতে আর তার বাবা মা যে ফোন ধরছে না সেই কথা শুনে নীল বলে সে দেখছে। ওদিকে অনিন্দ্য বাবু দেখে দেখে মেঘ ফোন করছে কিন্তু তিনি তার ফোন ধরে না। মধুমিতা বলে ময়ূরী তাকে শান্তি দিল না আর জানি না কি হবে। এইসব ভাবতে ভাবতে তারা চলে যায় হাসপাতালের দিকে।