জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। গল্পের শুরুটা হয়েছিল তিন বোন আর তার পরিবারকে কেন্দ্র করে। তিন মেয়ে, এক ছেলে, ছেলের বউকে ভরা সংসার বুড়ো-বুড়ির। বড় মেয়ের সঙ্গে চার হাত এক করার পর্ব চলছে যেদিন, সেদিনই ঘটে বিপর্যয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হন পরিবারের কর্তা। মারা যান মেয়ের বিয়ের দিন।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনের মাথা ছিলেন বাবা। একরাতে পরিবার পথে বসে। তাই প্রায় ভেসে যাওয়া পরিবারের হাল ধরতে মেজ বোন নিজের ভালোবাসার মানুষের হাতে তুলে দেয় রাই। পরিস্থিতির চাপে নীলুর সঙ্গে শৌর্য্যর বিয়েটাও হয়ে যায়। আর তারপর থেকে রাইয়ের জীবনে শুরু হয় নয়া সংগ্রাম।
চলতে থাকে চাকরির খোঁজ। উপার্জনের পথের সন্ধান। কিন্তু পরিবারের অর্থকষ্ট ঘুচিয়ে দিতে শেষমেশ বোনের শ্বশুরবাড়িতে হাউস হেল্প হিসেবে আসে রাই। রাইয়ের এই অবাঞ্ছিত আগমন মোটেই পছন্দ করেনি নীলু। বিয়ের রাতে শৌর্য্যর স্বামী-স্ত্রী না হতে পারার কথা বলে। কারণ তার মনপ্রাণ জুড়ে রাই।
শৌর্য আবার রাইয়ের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়বে বুঝতে পেড়ে আরস্ট হয়ে ওঠে নীলু। নীলুর অসুবিধের কথা বুঝতে পারে রাই। তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় শৌর্যর মনে ঘৃণার জন্ম দিতে নিজের নতুন ভালোবাসার কথা বলবে রাই। প্রথমে রাইয়ের কথা বিশ্বাস না করলেও, শৌর্য্য মেনে নেয় সত্যি রাই অন্য কাউকে পছন্দ করে। এরমধ্যে রাই সিদ্ধান্ত নেয় সে আর নীলুর বাড়িতে কাজ করবে না।
আরো পড়ুন: বর্ষা-পিকলুর বিয়ে দিতে ব্যর্থ হবে কী পর্ণা! ভেঙে পড়ল বর্ষা! নিম ফুলের মধুতে আজ বিরাট ধামাকা
রাইকে ফিরে আসতে দেখে প্রশ্নে বিদ্ধ করে দেয় তার মা। কটাক্ষ করতে ছাড়ে না রাইয়ের দাদাও। শৌর্য্য আর তার সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাইকে। কিন্তু নির্বিকার রাই যেন কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে চায় না। কোনো অনুতাপ নেই তার মধ্যে। সবাই ভাবে বোনের সংসার ভাঙতে চায় রাই। তাই কাঁটা হয়ে তাদের সংসারে ঢুকেছে। আর তাই আজকে নীলুর শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছে তাকে।