জি বাংলার (Zee Bangla) সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক বর্তমানে নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu)। ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই ফাঁস হয়েছে অয়নের কারসাজি। তারপরই কৃষ্ণা ঠিক করে নেয় বিয়ে দেবেন তিনি বর্ষার। কিন্তু তার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পর্ণা। সে বলে তার তাঁর কেটে দিয়েছেন কৃষ্ণা। বর্ষা যদি পিকলুকে ভালোবেসে থাকে তাহলে কাকা কাকিমা, রুচিরা চয়নের মতোই তাদেরও বিয়ে দেবে পর্ণা। সেই কথা শুনেই রেগে যায় কৃষ্ণা। কিন্তু সৃজনও পর্ণাকে সমর্থন করে এই বিষয়ে।
তারপরই অফিস থেকে এসে সমস্ত কথা শুনে অমিবাবুও বলেন তিনি তার মেয়েকে জোর করে বিয়ে দিতে চাননা। তার মেয়ে যেখানে ভালো থাকবে তিনি চান সেখানেই তার মেয়ের বিয়ে হোক। সেটা শুনে খুশি হয় পর্ণা, কিন্তু রেগে ওঠেন কৃষ্ণা। কিন্তু তখনই পিকলু সঙ্গে কথা বলে চোখের জল মুছে নেমে আসে বর্ষা। সে বলে তার মা যার সঙ্গে তার বিয়ে দেবে, সে তাকেই বিয়ে করতে রাজি আছে। কথাটা শুনেই অবাক হয়ে যায় পর্ণা আর সৃজন। তারা বারবার জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে? পিকলু কি তাকে কিছু বলেছে। তাহলে মধ্যে কি ঝগড়া হয়েছে?
কিন্তু বর্ষা জানিয়ে দেয় তার সঙ্গে পিকলুর কিছু হয়নি। সে পিকলুকে ভালোবাসে না। সে তাই রাজি তার মায়ের পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করতে। কথাটা শুনেই পর্ণা বুঝতে পারে কিছু একটা হয়েছে বর্ষা আর পিকলুর মধ্যেই। সৃজন বর্ষাকে জিজ্ঞাসা করে সে এই বিয়ের সিদ্ধান্ত ভেবে চিনতে নিচ্ছে কিনা। সে কি সত্যি ভালোবাসেনা পিকলুকে। সবাইকে এরকম কথা বলতে দেখে চলে যায় বর্ষা। আর কৃষ্ণা রেগে বলে ওঠে বর্ষাকে এই এক বিষয় নিয়ে না ঘটাতে।
তখনই পর্না আর সৃজন ভেবে নেয় বর্ষার সঙ্গে কথা বলবে তারা। বর্ষার ঘরে গিয়ে পর্ণা আর সৃজন তাকে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে? কেন সে হটাৎ এই বিয়েতে রাজি হয়ে গেল? সে কি সত্যিই পিকলুকে ভালোবাসে না? বর্ষা সমস্ত প্রশ্নের একটাই উত্তর দেয়। সে বলে তাকে পর্ণাই শিখিয়েছে জীবনে মাথা উচু করে বাঁচতে। জীবনে যাই হয়ে যাক না কেন, সেই সামনে থাকুক না কেন নিজের আত্মসম্মান ত্যাগ করে বা নিজের মাথা নিচু করে বাঁচা যায়না। সেটা শুনেই পর্ণা আর সৃজন বুঝে যায় পিকলু কিছু একটা বলেছে।
তারা চলে যায় পিকলুর ঘরে সেখানে গিয়ে তারা পিকলুকে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে? সে কি বর্ষাকে ভালোবাসেনা? তখন পিকলু তাদের বলে সে বর্ষাকে শুধু বন্ধুর চোখে দেখে আর কিছু না। এইকথা শুনে বেরিয়ে যায় পর্ণা আর সৃজন। ওরা বেরিয়ে যাওয়া মাত্রই, দরজা আটকে কাঁদতে থাকে পিকলু। সে ভাবে তার দিদিকে এই পরিস্থিতিতে সে কোনও ভাবেই চিন্তায় ফেলবে না। এরমধ্যেই বর্ষার সঙ্গে কথা বলে কৃষ্ণা। তখন পিকলুকে দেখে দেখে বর্ষা বন্ধু, তুমি বলে সন্মোধন করে, সেটা শুনে খারাপ লাগে পিকলুর।
আরো পড়ুন: জি বাংলার সোনার সংসারে প্রিয় ননদ হল পুতুল! বৌদিদের পাশে থাকার পরেও বঞ্চিত বর্ষা আর কৌশিকী! ক্ষোভ দর্শকদের
ওদিকে ব্যাকের ম্যানেজার সুবর্ণর সঙ্গে কথা বলে রাঘব। যার লোন পাশ করেনি অমি বাবু। তখন সে আসে সবট শুনে অমিবাবুর ঠিকানা নিয়ে যায়। অমি বাবু বাজার করতে গেলে তাকে গুন্ডা দিয়ে হুমকি দেয় রাঘব। বাড়িতে আসে পর্ণাকে সবটা বলে অমিবাবু। সবটা শুনে অবাক হয় পর্ণা। তবে সে ঠিক করে নেয় সে যে করেই হোক সব সত্যি বার করবে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের একদিকে অমি বাবুর সমস্যা আরেকদিকে বর্ষার আর পিকলু সম্পর্ক। সবটা কিভাবে সামলাবে পর্ণা?