জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

জি বাংলার সোনার সংসারে প্রিয় ননদ হল পুতুল! বৌদিদের পাশে থাকার পরেও বঞ্চিত বর্ষা আর কৌশিকী! ক্ষোভ দর্শকদের

জি বাংলার (Zee Bangla) সবচেয়ে বড় উৎসব জি বাংলার সোনার সংসার (Zee Bangla Sonar Sansar)। জি বাংলার দর্শকদের সহ জি বাংলার প্রত্যেকটি ধারাবাহিকের কলাকুশলীরাও প্রত্যেকে অপেক্ষা করে থাকেন এই দিনটির জন্য। গতকালই সম্পন্ন হয়েছে এই বছরের সেরা সংসারের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান অর্থাৎ জি বাংলার সোনার সংসার। গতকাল নাচে, গানে, খেলায় এবং পুরস্কারে জমজমাট ছিল সন্ধ্যে। উপস্থিত ছিল একাধিক তারকারা। গতকালের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছিলেন অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় এবং শুভশ্রী গাঙ্গুলি। এছাড়াও ধারাবাহিকের নানা কলাকুশলীদেরও দেখা গেছিল নাচ এবং গানে মেতে উঠতে।

এসেছিলেন জনপ্রিয় গায়ক নাকাশ। উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক টলি তারকা, প্রযোজক, লেখকরা। গতকাল পুরস্কারও পেয়েছেন অনেকেই। গতকাল সেরা নায়কের পুরস্কার পেয়েছে স্বয়ম্ভু। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন জগদ্ধাত্রী। সেরা পরিবার হয়েছে ফুলকির রায় চৌধুরী পরিবার এবং সেরা ধারাবাহিকের পুরস্কার পেয়েছে ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী। তবে জি বাংলার বেশ কয়েকটি পুরস্কার নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তার মধ্যে একটি পুরস্কার নিয়ে আবার শুরু হয়েছে বিতর্ক।

গতকাল জি বাংলার সোনার সংসারে সেরা ননদের পুরস্কারটি পেয়েছেন জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথার শিমুলের ননদ পুতুল। ধারাবাহিকে তার চরিত্রটি একটু অন্য ধরনের তবে সে অবুঝ হলেও সর্বদাই নির্ভয়ের সঙ্গে পাশে থেকেছে শিমুলের। শিমুলকে আসে সাহায্যও করেছে সর্বদা। স্পেশাল হওয়ার শর্তেও সে নিজ গুনে সকলের সামনে নিজেকে মেলে ধরেছে একজন ভালো মানুষ হিসেবে এবং একজন ভালো ননদ হিসেবে। শত সমস্যা, শত লাঞ্ছনা এমনকি পরিবারের সকলেই যখন শিমুলের বিরুদ্ধে গিয়ে বলেছিল শিমুলই পরাগকে মারার চেষ্টা করেছে। তখন সেই বলেছিল শিমুল একাজ করতে পারেনা। ধারাবাহিকে তার চরিত্রটিকে পছন্দ করে অনেকই।

তবে এখন উঠছে অন্য কথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই দাবি তুলেছেন প্রিয় ননদের পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য কৌশিকী এবং বর্ষাও। জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকে নিজের পরিবার, কাকা, কাকিমা, ভাই, বোন সকলের বিরুদ্ধে গিয়ে কৌশিকী সবসময় দাঁড়িয়েছে জগদ্ধাত্রীর পাশে। সে কখনওই কোনও পরিস্থিতিতে হাত ছাড়েনি জগদ্ধাত্রীর। এমনকি সে জ্যাস এবং তার পরিবারের সমস্ত কুকীর্তির ফাঁস করতে চাইছে সবটা জেনেও সে পাশে থেকেছে জগদ্ধাত্রীর। তাই সেইও একইভাবে এই পুরস্কারটি পাওয়ার জন্য।

আরও পড়ুনঃ মহা দরদী ন্যাকা শিমুল! প্রাক্তন শাশুড়ির কথায় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পরাগের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত শিমুলের!

আবার অনেকেই এও বলেছেন নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকের বর্ষাও একইভাবে যোগ্য এই পুরস্কারের। মা এবং কিছুক্ষেত্রে দাদারও বিরুদ্ধে গিয়ে সে সাহায্য করেছে পর্ণাকে। বৌদি নয়, বরং নিজের দিদি থেকেই বেশি সে ভালোবেসেছে, ভরসা করেছে পর্ণাকে। পর্ণার এক কথায় কঠিন পরিস্থিতিতেও ঝাঁপিয়ে পড়তে সে ভাবেনি দুবার। পর্ণার কথা, চিন্তাধারাকে বেদবাক্যর মতো মেনেছে বর্ষা। পর্ণাকে সাহায্য করার জন্য বিজুরিয়াদের মতো গুন্ডার খপ্পরেও পড়েছে সে। তবুও সে হাত ছাড়েনি বৌদিভাইয়ের। তাহলে সে কেন পেলনা প্রিয় ননদের পুরস্কারটি? সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তাহলে আপনাদের কি মনে হয় সত্যি কি বঞ্চিত হয়েছে কৌশিকী আর বর্ষা?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।