জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মহা দরদী ন্যাকা শিমুল! প্রাক্তন শাশুড়ির কথায় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পরাগের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত শিমুলের!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিকে কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) চলে আসে নতুন মোড়। একদিকে সংসার ভাঙছে বিপাশার আর অন্যদিকে একসময় সবশেষ হয়ে যাওয়া শিমুলের সংসার জোড়া লাগছে তিলে তিলে। শিমুল চলে আসে এসেছে ব্যানার্জী বাড়িতে মধুবালা দেবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য। মধুবালা দেবী শিমুলকে বলে বসতে। কিন্তু শিমুল চলে যেতে চাইলে পরাগ তাকে মধুবালা দেবীকে বলে বেশি ভাবনা চিন্তা না করতে। কিন্তু মধুবালা দেবী কোনও কথা শোনেন না। তিনি শিমুলকে বলেন সবটা কি নতুন করে শুরু করা যায়না।

তখন পরাগ নিজেই বলে সেটা সম্ভব নয়। আমরা বারবার শিমুলকে নিজেদের স্বার্থে এইভাবে আটকে রাখতে পারিনা। কি বিষয়ে মধুবালা দেবী কথা বলছেন সেটা বুঝতে না পারায় তাকে জিজ্ঞাসা করে শিমুল। পরাগ শিমুল কিছু কথা শুনতে বারণ করে দেয়। কিন্তু শিমুল জেদ করে বলে সে শুনতে চায় মধুবালা দেবী কি বলছেন। তখন মধুবালা দেবী বলেন পরাগের এই অবস্থা। তাহলে পরিবারের এই পরিস্থিতি। শিমুল যদি তাকে সাহায্য করে তাহলে তার ভালো লাগবে। এখন তো শতদ্রু সঙ্গে তার তেমন বিশেষ সম্পর্ক নেই। তাই ডিভোর্স ভুলে আবার তারা যদি সবটা শুরু করে।

তখনই শিমুল তাকে কি বলবে বুঝে পায়না। তবে পরাগ তাকে বলে এইসব নিয়ে না ভাবতে। পরাগ তখন শিমুলকে বলে তার চাকরিটা করতে। তার ওষুধের অনেক খরচ আর শিমুলেরও কিছু টাকা হবে। কিন্তু শিমুল তাকে বারন করে বলে পরাগ সুস্থ হলে সে নিজেই সবটা করবে। কিন্তু পরাগ তাকে বলে তার হয়তো জীবনে আর ঠিক হওয়া হবে না। তখন মধুবালা দেবীও বলেন তিনি চলে গেলে পরাগকে কে দেখবে। তিনি হয়তো নিজের ছেলের কথা ভেবেই বলছেন তবে তাও। তখন শিমুল তাকে জানায় সে ভেবে তাকে উত্তর দেবে।

এইসব কথা বলে মধুবালা দেবী বলেন তিনি পরাগের জন্য সেদ্ধ ভাত করছেন। তখন শিমুল তাকে বলে সে রান্না করছে। কিন্তু মধুবালা দেবী বলে সে এসেছে তাকে দিয়ে তিনি কাজ করবেন না তাই তিনিই রান্না করবেন। আর তাকে বলে পরাগের সঙ্গে কথা বলতে কিন্তু বিপাশাদের বাড়ি যাবে বে শিমুল বেরিয়ে যায়। ওদিকে বিপাশার শ্বশুরবাড়িতে সে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে আসে। চন্দনের মাকে প্রণাম করে বিপাশা বলে সে চলে যাচ্ছে। তখন চন্দনের মা বলে তাকে থেকে যেতে কিন্তু সে বারণ করে দেয়।

চন্দন আসে বিপাশাকে বলে এখান থেকে বেরিয়ে গিয়ে সে কি খাবে। তবে বিপাশা তাকে জানিয়ে দেয় সে নিজের ব্যবস্থা করে নেবে। চন্দন তখন দোষারোপ করতে থাকে পাড়ার বউদের। কিন্তু বিপাশা তাকে বলে সবটাই তার দোষ। সে কেন একজনের সঙ্গে সম্পর্ক গেছিল। তখন শিমুল চলে আস বিপাশার বাড়ি আর বলে যেতে। শিমুলকে দেখে চন্দন বলে এইসব হচ্ছে শিমুলের জন্য। তখন শিমুল বলে চন্দন যদি বিপাশাকে না থাকত তাহলে এসব হতো না।

আরও পড়ুনঃ এ কী কথা! ‘যোগমায়ার’ নায়ক-নায়িকার মধ্যে কথা নেই! সিক্রেট ফাঁস দাদাগিরি মঞ্চে

তখন বিপাশাও চন্দনকে সত্যি কখনও চাপা থাকে না। চন্দন তখন বিপাশাকে বলে বিপাশা যদি তাকে একটা সন্তান দিত তাহলে এইসব হতো না। সেটা শুনে বিপাশা বলে তার সব ভালোর মধ্যে খালি দোষটাই দেখলো সে, তারা একটা বাচ্চা দত্তক নিতে পারত। কিন্তু চন্দন নিজেই তাকে বারণ করিয়েছিল। বিপাশা বলে সে তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে তারপর সে যেন সুখে থাকে। এইসব বলেই চন্দনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় বিপাশা আর শিমুল। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের শিমুল কি রাজি হবে পরাগের সঙ্গে থাকতে?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।