জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। এই ধারাবাহিকের চারজন নারীর গল্প বারবার উঠে আসে। যার মধ্যমণি হলো নায়িকা শিমুল। তাঁরা একে অপরের বান্ধবী, পরস্পরে বিপদে পাশে থাকে। ধারাবাহিকের বিগত পর্বে দেখা যায়, শিমুলের বান্ধবীর বিপাশা দি তাঁর স্বামীর দ্বারা প্রতারিত। বিপাশা দির আড়ালে পরকীয়ায় জড়িয়েছিল তাঁর স্বামী। পরে সবটা সত্যি সামনে আসে।
শিমুল ও অন্য বান্ধবীদের তৎপরতায় চন্দন দার আসল রূপ বিপাশা দির সামনে চলে আসে। প্রথমে বিপাশা বিশ্বাস করতে না চাইলেও পরে প্রমাণ হাতেনাতে পেয়ে স্বামী বিশ্বাসঘাতকতায় ভেঙে পড়ে। সেই সময় শিমুল বিপাশাকে সমানে শক্তি জোগায়। বিপাশা বলে সে সুচরিতা আর শিমুলের মতই ঘরহীনা, নিঃস্ব একজন।
এদিকে চন্দনের কাকুতি মিনতিকে উপেক্ষা করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে বিপাশা। ঠিক হয় যে তারা সুচরিতার বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে থাকবে। কথা মতো শিমুল আর বিপাশা সুচরিতার বাড়িতে গেলে দেখা যায় তাঁদের আলোচনার মাঝেই উপস্থিত হন সুচরিতার শাশুড়ি। তিনি বলেন, বাড়ির ড্রয়িং রুমে এত হইচই হচ্ছে কেন! তখন সুচরিতা বলে, ওরা আমাদের বাড়িতে ভাড়া থাকতে এসেছে। ওরা বিনা পয়সায় নয় বরং টাকার বিনিময়ে এই বাড়িতে থাকবে।
এ কথা শুনে সুচরিতার শাশুড়ি বলেন, একজন জেল খাটা আসামি আরেকজনের বর পরকীয়ায় যুক্ত এমন দুজনকে আমি বাড়ি ভাড়া দেব! এতে তো পাড়ায় আমাদের সম্মান আরও নীচে নেমে যাবে। তখন শিমুল বলে, আপনাদের সম্মান কোনদিনও ছিল নাকি! আর অন্যায় যারা করেছে, তাদের কথা না শুনিয়ে আপনি আমাদের দিকে আঙুল তুলছেন? সত্যিই সমাজ ভারী অদ্ভুত! সুচরিতার শাশুড়ির কথা শুনে বোঝা যায় যে তিনি শিমুল আর বিপাশাকে বাড়িতে ঠাঁই দেবেন না।
আরো পড়ুন: নীলুর শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে এবার বোনের সংসার ভেঙে দিতে বদ্ধ পরিকর রাই! মিঠিঝোরায় বিরাট চমক
তখন শিমুল ছুটে যায় পরাগের বাড়ি। গিয়ে তিনি মধুবালার দেবীকে বলেন, মা আপনি আমাকে আর বিপাশা দিকে এ বাড়িতে ভাড়া থাকতে দেবেন? শিমুলের কথা শুনে পরাগ বলে হ্যাঁ তোমরা এই বাড়িতে থাকতে পারো। তখন মধুবালা দেবী বলেন, ভাড়াতে নয় বরং তোমরা এমনিই থাকবে। আমার মেয়ের সাথে যদি এমনটা হতো আমি কি তাঁর থেকে ভাড়া নিতাম? মধুবালা দেবীর কথায় আশ্বস্ত হয়ে শিমুল ঠিক করে বিপাশাকে নিয়ে সে তার প্রাক্তন শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসবে।