আজ থেকে দশ বছর আগের বাংলা ধারাবাহিক (Bengali Television) আর বর্তমান সময়ের বাংলা ধারাবাহিকের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আগেকার দিনে এক একটি ধারাবাহিক অনায়াসে তিন-চার বছর চলত। আর সেই দীর্ঘমেয়াদি সময়ের জন্যই ধারাবাহিকগুলি ভীষণভাবে আপন হয়ে উঠত দর্শকদের। বলে যায় সেই ধারাবাহিক বাঙালি দর্শকের মনের চিরস্থায়ী একটা ছাপ ফেলে যেত। খারাপ হোক বা ভালো দর্শক আজও সেই পুরনো ধারাবাহিকগুলিকে (Serials) ভোলেননি।
আসলে ধারাবাহিকের সংখ্যা সেই সময় ছিল হাতে গোনা। ঘনঘন এত বন্ধও হত না নতুন ধারাবাহিক আসার এত হিরিকও ছিল না। আর সেই কারণেই ধারাবাহিকের পাশাপাশি অভিনেতা অভিনেত্রীরা হয়ে উঠতে পারতেন বাঙালি দর্শকদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বলাই বাহুল্য, আর বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এইরকমই বহুল জনপ্রিয় দর্শকপ্রিয় একটি ধারাবাহিক ছিল ২০১১ সালে টিভির পর্দায় সম্প্রচারিত হওয়া ধারাবাহিক ‘টাপুর টুপুর’।
সেই ধারাবাহিকেও দুই বোনের গল্পকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। বাঙালি দর্শকরা কার্যত মুখিয়ে থাকতেন দুই বোনের গল্প নিয়ে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক দেখার জন্য। সন্দীপ্তা সেন ও অনন্যা বিশ্বাস অভিনীত এই ধারাবাহিকটি আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। টেলিভিশনের পর্দায় প্রায় ৩ বছর চলেছিল এই ধারাবাহিকটি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুই নায়িকা বিশিষ্ট এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও পার্শ্ব চরিত্রে কিন্তু নজর কেড়েছিলেন আরও দুই অভিনয় শিল্পী। তারা হলেন অভিনেত্রী মাফিন চক্রবর্তী ও অভিনেতা মনোজ ওঝা। তাদের জুটি জনপ্রিয় হয়েছিল রাতুল-পায়েল নামে। ‘নাগর আমার নিঠুর বড় মন ও বোঝে না’ এটি ছিল এই জুটির সিগনেচার গান। এই ধারাবাহিকের সৌজন্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই জুটি।
তবে ভালো জনপ্রিয়তা পেলেও সেই অর্থে মাফিনকে আর পরবর্তীকালে দেখা যায়নি। পরবর্তীতে আচঁল’, ‘পটলকুমার গানওয়ালা’ ‘গোয়েন্দা গিন্নি’, ‘কিরণমালার মতো ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। পজিটিভ চরিত্রের থেকে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে।
আরও পড়ুন: “যেমন দায়িত্ব নিয়ে রাগিয়ে দিই, সেরকম ঠান্ডাও তো আমিই করি”, লুকিয়ে প্রেম? নাকি শুধুই বন্ধুত্ব! অফস্ক্রিন সম্পর্ক নিয়ে অকপট ‘মন্দার-রোহিনী’!
এছাড়াও কালার্স বাংলার ধারাবাহিক বসন্ত বিলাপ মেসবাড়িতে দেখা গিয়েছিল তাকে। কিছুদিন আগে আকাশ-আটে সাহিত্যের সেরা সময়তেও দেখা যায় মাফিনকে। ১৭ বছরের সফল অভিনয় জীবন এই অভিনেত্রীর। কিন্তু মাঝে অনেকটা সময় বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। মা হয়েছেন। সময় দিয়েছেন নিজের নাচের কেরিয়ারকেও। আসলে একজন অত্যন্ত দক্ষ নৃত্যশিল্পীও মাফিন। নাচ তাঁর প্রথম প্রেম। নিজের নাচের স্কুলও রয়েছে অভিনেত্রীর। আর তাই অভিনয় এবং নাচ দুটোকেই সমান তালে ব্যালেন্স করেন তিনি। আর এবার ফের একবার স্টার জলসায় ফিরছেন অভিনেত্রী মাফিন চক্রবর্তী। জলসার আসন্ন ধারাবাহিক রাঙামতি তীরন্দাজে দেখা যাবে তাকে। এই ধারাবাহিকে তীরন্দাজির গল্প ফুটে উঠবে।