জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ইশার ফাঁদে আটকা পর্ণা-সৃজন! মা কালী রূপে কে এলো তাদের বাঁ’চাতে?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ এখন টেলিভিশনের পর্দায় উত্তেজনার শীর্ষে। বিগত সপ্তাহে বেঙ্গল টপার হওয়ার পর ধারাবাহিকের গল্প আরও জটিল ও রোমাঞ্চকর মোড় নিয়েছে। পর্ণা ও সৃজনের জীবনে একের পর এক বাধা তৈরি করছে খলনায়িকা ইশা, যা দর্শকদের পর্দার সামনে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ধারাবাহিকের নায়িকা পর্ণা তার চরিত্রের মধ্য দিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং দর্শকদের মনে তার স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে।

নিম ফুলের মধু রোমাঞ্চকর পর্ব!

গল্পের বর্তমান পর্বে দেখা যাচ্ছে, পর্ণার মেয়ে পুঁটিকে অপহরণ করে ইশা এবার আরও বড়ো বিপদে ফেলেছে তাকে। পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা তো চলছেই, এবার নিজেই সর্বনাশ ডেকে আনল ইশা। পুঁটিকে অপহরণের মধ্য দিয়ে পর্ণার মনের দুর্বল স্থানে আঘাত হেনেছে সে। এই ঘটনায় পর্ণা যেমন রাগে দুঃখে বিধ্বস্ত, তেমনই সে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে। এই নতুন পর্বগুলি পর্ণা-ইশার দ্বন্দ্বকে আরও চরমে নিয়ে গিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রোমোতে ধারাবাহিকের মূল নায়ক সৃজন এবং পর্ণাকে এক জঙ্গলের মধ্যে বেঁধে রাখা হয়েছে। সেখানে এই উপস্থিত একদল ডাকাত বলে, মায়ের আশীর্বাদ পেতে তাদের বলি দেওয়া হবে। ডাকাতদের এই হুমকিতে পর্ণা ও সৃজন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে থাকে, এই ভয়ানক পরিস্থিতি থেকে তাদের কে বা কীভাবে উদ্ধার করবে। দর্শকদের জন্য এই প্রোমো রীতিমতো উত্তেজনা এবং অপেক্ষার উদ্রেক করেছে।

কিন্তু হঠাৎই মা কালী এবং মহেশ্বরের মতো রূপ নিয়ে আবির্ভূত হয় শ্যামলী আর অনিকেত। শ্যামলীর হাতে খড়গ দেখে ডাকাতরা ভয়ে জমে যায় এবং ভক্তির শ্রদ্ধায় মুগ্ধ হয়ে ওঠে। তাদের মায়ের রূপ দেখে চমকে গিয়ে ডাকাতরা কী করবে বুঝতে পারে না। এই মায়ের রূপ দেখে ডাকাতদের চক্ষু ছানাবড়া, আর এই দৃশ্য দর্শকদের মনে অভূতপূর্ব রোমাঞ্চ সৃষ্টি করেছে।

পর্ণা শ্যামলীর পরিচয় বুঝতে পেরে শান্তি পায় এবং বুঝতে পারে সে আর বিপদে নেই। শ্যামলীর সাহসিকতা এবং সাহচর্যে পর্ণা নিজের মেয়েকে উদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই ধারাবাহিকের আসন্ন পর্বগুলিতে পর্ণা এবং শ্যামলীর বন্ধুত্ব এবং বিপদের মধ্যে শক্তির জয় উদযাপিত হবে। দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এই উত্তেজনাপূর্ণ টানাপোড়েনের শেষ পরিণতি দেখতে।

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।