জি বাংলা ( Zee Bangla ) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আনন্দী'(Anondi)। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র আনন্দী, যিনি তার মিষ্টি মনের গুণে সবার মন জয় করে নেয়। গল্পে দেখা যায়, তার জীবনের চ্যালেঞ্জগুলি সে সহজ হাসি এবং বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সমাধান করে। আদর্শ বৌমা থেকে একজন দায়িত্বশীল পেশাজীবী হয়ে ওঠা আনন্দীর এই যাত্রা দর্শকদের ভীষণ প্রিয়। অন্যদিকে, তার স্বামী আদি, একজন প্রতিশ্রুতিশীল ডাক্তার, যার জীবনের মূল লক্ষ্য হলো মানুষকে সুস্থ করা।
আনন্দী আজকের পর্ব ১০ ডিসেম্বর। Anondi today episode 10 December
আজকের পর্ব শুরু হয়, যখন ঠাম্মি সকালবেলা আনন্দীর ঘরে এসে সবকিছু জানতে চান। আনন্দী জানায়, আদি আগে তার ভালো বন্ধু হতে চায়। এরপর আনন্দী ঠাম্মির যত্ন নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাকে ওষুধ খাওয়ানো, তার মন ভালো রাখা—সবকিছু আনন্দী হাসিমুখে করে। একই সময়ে, আদি তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। অন্যদিকে, নার্সিংহোমে আদির কাকা একটি বাচ্চার জটিল হার্টের সমস্যায় চিন্তিত হয়ে ওঠেন।
বাচ্চাটির চিকিৎসা কোনোভাবেই কাজে আসছে না। সে চুপচাপ বসে শুধু রং পেন্সিলে আঁকাআঁকি করছে। এই সমস্যায় আদির কাকা আদির সঙ্গে আলোচনা করেন। তখনই তিনি লক্ষ্য করেন আনন্দী কীভাবে ঠাম্মিকে যত্ন নিয়ে সুস্থ রাখছে। আদির কাকা আদিকে বলেন, আনন্দীই পারে এই শিশুটির মুখে হাসি ফোটাতে। এর পর আদি আনন্দীর কাছে সাহায্য চাইলে, আনন্দী তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে যায়।
আনন্দী জোকার সেজে নার্সিংহোমে বাচ্চাটির মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে। তবে বাচ্চাটি তাতেও সাড়া দেয় না। অন্যদিকে, নন্দিনী আনন্দীকে অপমান করে নার্সিংহোম থেকে বের করে দেয়। বাচ্চাটি যেসব ছবি আঁকছে, সেগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছে। আনন্দী ডাস্টবিন থেকে সেই ছবিগুলো তুলে আনে এবং দেখে, বাচ্চাটি দাদু-ঠাকুমার ছবি এঁকেছে। আনন্দী বুঝতে পারে, বাচ্চাটি তার দাদু-ঠাকুমাকে খুব মিস করছে।
আরও পড়ুনঃ বাঘা তেঁতুল, বুনো ওল! রায়ানকে ফেরাতে পারুলের মোক্ষম চাল! পরিণীতা জমজমাট
আনন্দী সিদ্ধান্ত নেয়, ঠাকুমা সেজে বাচ্চাটির এই শূন্যতা পূরণ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু তার পরিকল্পনা কতটা সফল হবে, তা দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আগামী পর্ব পর্যন্ত। গল্পে বাচ্চার সমস্যা সমাধান এবং আনন্দী-আদির চেষ্টায় কীভাবে নতুন মাত্রা যোগ হয়, তা দর্শকদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।