জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মধ্যবিত্তের জীবন দেখতে সিনেমা হলে কেন যাব? ওই জীবন তো নিজেরই! মশলা সিনেমা হলে তবেই তো এন্টারটেনমেন্ট হবে! অকপট ভিলেন সুমিত

‘খাদান খাদান খাদান!’ টলিপাড়ায় (Tollywood) গান পাতলেই শুনতে পাওয়া যাচ্ছে খাদানের গুনগান। অভিনেতা অভিনেত্রীদের থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ মেতে উঠেছে কিশোরী গানে। সকলের বক্তব্য প্রায় একই বহু বছর পর বাংলা পেল এমন এক কমার্শিয়াল ছবি উপহার। অসংখ্য মানুষ দেব, যীশু এবং প্রযোজক রানেকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিচ্ছে সমাজ মাধ্যম।

এই সিনেমাতে মুখ্য অভিনেতারা ছাড়াও পার্শ্ব চরিত্রের কলাকুশলীরাও সমানতালে যথেষ্ট ভালো পরিমাণে অভিনয় করেছেন। বলাই বাহুল্য, বিশেষভাবে নজর কেড়েছে খলনায়ক অভিনেতা সুমিত গাঙ্গুলী। নিঃসন্দেহে বলা যায়, এক সময় ৯০-এর দশকের প্রায় প্রতিটা সিনেমাতেই খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে এই অভিনেতা।

বহু প্রতীক্ষার পর ‘খাদান’-এর হাত ধরে কাম ব্যাক হল সুমিত গাঙ্গুলীর। স্বাভাবিকভাবেই বাংলার দর্শকেরা খুব খুশি। ১৯৯৩ সালে ‘তোমার রক্তে আমার সোহাগ’ সিনেমার হাত ধরে অভিনয় জগতে পা রাখেন সুমিত। এরপর থেকে ধীরে ধীরে অভিনয়ের জন্য অফার পেতে থাকেন এই অভিনেতা। মাঝে বিগত বেশ কয়েক বছর টলিউড থেকে অভিনয়ের প্রস্তাব না পাওয়ায় সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

বর্তমানে খাদানকে কেন্দ্র করে অভিনেতার করা এক মন্তব্য বেশ ভাইরাল হয়ে উঠেছে নেট পাড়ায়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে সুমিত বলছেন, “পয়সা খরচা করে সিনেমায় গিয়ে যদি আমি বস্তি দেখি, কষ্ট দেখি, থোলে হাতে করে বাজার করা দেখি, চশমা পড়ে কেরানির পরম কলম পেশা দেখি ও আমার দেখতে ভালো লাগবে না। অনেকদিন পরে কমার্শিয়াল এসেছে, ঝড় উঠেছে কমার্শিয়াল করো ঝড় উঠবে। কমার্শিয়াল করলেই ঝড় উঠবে।” অভিনেতার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে তীব্র বিশ্বাস রয়েছে কমার্শিয়াল সিনেমা করলেই তা হিট হবে।

এমনকি অভিনেতা তার বক্তব্যের মাধ্যমে টলিউড ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতি কিছুটা হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ডাকেনি, বাড়িতে চুপচাপ বসে ছিলাম। আমি একজন অভিনেতা অভিনয় করতে এসেছি। অভিনয় করে সংসার চলে আমার আমি তো অন্য কিছু করি না। দোকান নেই আমার, বাজারে আলু-পটল নিয়েও বসি না। অভিনয় করেই খাই, সেখানে আমায় কেউ নেয় নি। ডিরেক্টররা সেই সাহস দেখাতে পারেনি, যদি সেই ডিরেক্টরদের সেই সাহসটা দেখানো উচিত।” এমনকি এও বলেন যে, নিজের স্বাচ্ছন্দ জায়গায় অভিনয় করে সে তো সেটা পারবেই, ডিরেক্টর এর দায়িত্ব সেই অভিনেতাকে অন্য জনারে নিয়ে গিয়ে অভিনয় করানো তাহলেই সেখানেই পরিচালকের সাফল্য। স্পষ্ট বক্তার মত চাঁচাছোলা কথা দিয়ে বাংলার পরিচালকদের বুঝিয়ে দিলেন যোগ্য মানুষকে কাজ দিলে সেই কাজ সফলতা পেতে বাধ্য। অভিনেতার এই বক্তব্যকে অনেক নেটিজেনরাও সমর্থন করেছেন।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।