জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নারীরা এখনও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বাস করছেন! প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছেন, মন্তব্য রুক্মিণীর

বিনোদন দুনিয়ায় সব সময় কিছু না কিছু নতুন সৃজনশীল কাজ নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হয়। কখনো এক ঝলক হাসি, কখনো এক গভীর বেদনায় ভরা অভিনয়, আবার কখনো সাহসিকতার নতুন রূপে। অভিনেতারা তাদের কাজের মাধ্যমে আমাদের জীবনকে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে সাহায্য করেন। তাদের জীবন কাহিনী এবং পর্দার চরিত্রে এক নতুন রঙ এনে তারা যেন নিজের পরিচিতিকে আরও মজবুত করেন। এমনই একজন অভিনেত্রী যিনি একের পর এক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সিনেমা পর্দায় নিজের অবদান রেখে যাচ্ছেন।

অভিনেত্রী তার কেরিয়ারে বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন, যেগুলো দর্শকদের মনে গভীর ছাপ রেখে গেছে। একদিকে যেখানে রোম্যান্স এবং কমেডি তার কাজের মধ্যে দেখা গেছে, অন্যদিকে আবার সমাজের অন্ধকার দিকগুলো তুলে ধরতেও তিনি পিছিয়ে যাননি। দীর্ঘ সাত বছর ধরে পর্দায় একের পর এক চরিত্রে নিজেকে পরিণত করেছেন, এবং বর্তমানে তিনি আরেকটি ছবির মাধ্যমে দর্শকদের নতুন এক জগতে নিয়ে যেতে প্রস্তুত। প্রতিটি চরিত্রে তার এক অন্য রূপ দেখানোর মাধ্যমে দর্শকদের মনে তার স্থান পাকাপোক্ত হয়েছে।

rukmini maitra

এবার, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এক বিশেষ সিনেমা নিয়ে তিনি ফিরছেন। এই সিনেমাটি তার জীবনের অন্যতম বড় প্রাপ্তি, যা পর্দায় তার অভিনয় জীবনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করবে। ছবিটি দাসী নটি বিনোদিনীর জীবন কাহিনী নিয়ে তৈরি, যেখানে অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র, মহান মহিলার চরিত্রে অভিনয় করছেন। সিনেমাটি শুটিং শেষ করে অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন মুক্তির জন্য প্রস্তুত। এই সিনেমা তার কাছে এক অন্য ধরনের পাওনা, যেহেতু এটি তাকে একটি বিশেষ ধরনের অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছে, যা তার কেরিয়ারের সেরা কাজ হতে চলেছে।

অভিনেত্রী তার এই ছবির ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে তার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, জীবনে কিছু করতে গেলে নিজের কাজের প্রতি অটল থাকতে হয়। চারপাশের মানুষ কী বললো বা বলছে, সেটা নিয়ে কখনো ভাবতে হয় না, বরং নিজের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হয়। তিনি আরও বলেন যে, আমাদের সকলের মধ্যে একটি শক্তি রয়েছে যা আমাদের জীবনকে এক নতুন দিক নির্দেশনা দেয় এবং সেই শক্তির উপরে বিশ্বাস রাখা উচিত। তার মতে, জীবন আসলে একটি সিনেমার মতো, এবং সে সিনেমায় কি হবে তা সেই শক্তিই ঠিক করে দেয়।

অবশেষে, তিনি বর্তমান সমাজের পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে তার সিনেমার মাধ্যমে একটি বার্তা দিতে চান। তিনি বিশ্বাস করেন, সিনেমাটি দর্শকদের কাছে শুধু বিনোদন নয়, বরং একটি শক্তিশালী সামাজিক বার্তা নিয়ে আসবে। এই সিনেমা তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের সুযোগ এনে দিয়েছে, যা বর্তমান সমাজে মহিলাদের অবস্থান এবং সংগ্রামের কথা তুলে ধরবে। সিনেমার মাধ্যমে তিনি দর্শকদের নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনকে দেখানোর চেষ্টা করছেন, যা একাধারে বিনোদন এবং সমাজ সচেতনতার মিশ্রণ হবে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।