অবশেষে, আজ এল সেই সন্ধিক্ষণ। ১৯ তারিখ অর্থাৎ আজ শ্বেতা-রুবেলের বিয়ে। অনেক পরিকল্পনার পরে এলো আজ সেই দিন, বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছে এই তারকা জুটি। এর মধ্যেই সকলের সামনে এসেছে অভিনেত্রীর আইবুড়ো ভাত এবং মেহেন্দির লুক। এর আগে অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিয়ের সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হলেও হবে না কন্যা সম্প্রদান।
শ্বেতা-রুবেলের বরাবরই ইচ্ছা বৈদিক মতে বিয়ে করার। তাদের ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে রাজি হয়েছে এই জুটির দুই পরিবার। অন্যদিকে অভিনেত্রীর কাছে সাক্ষাতকারী বিয়ের ছুটির কথা তুলতেই শ্বেতা বলেন, বিয়েতে পেয়েছে মাত্র ৫ দিন ছুটি। বিয়ের আগের দিন থেকে শুরু করে বৌভাতের পরের দিন পর্যন্ত। আর তার পরের দিন থেকেই আবার চালু হয়ে যাবে শুটিং।
অর্থাৎ আজ রবিবার বিয়ে মঙ্গলবার বৌভাত এবং বৃহস্পতিবার থেকেই রোজকার জীবনযাত্রায় ফিরবেন এই নববধূ। সিরিয়ালের শুটিং এর ব্যস্ততাকে সঙ্গে নিয়েই জীবনের নতুন পথে হাঁটতে চলেছে এই জুটি। এত ব্যস্ততার মাঝেও জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিয়ের মতো কাজ করা মোটেই সহজ নয় আর তার ওপরে যদি কোনো মেগা সিরিয়ালের লিড চরিত্রে অভিনয় করতে করতে বাস্তব জীবনে বিয়ে করা একেবারেই উচিত নয়, এটা সম্পূর্ণই নায়িকার উপলব্ধি।
বিয়ে-বৌভাতের পর্ব মিটলেই খুব স্বাভাবিকভাবেই নবদম্পতিরা চায় মধুচন্দ্রিমা পালন করতে। কিন্তু এই জুটির ইচ্ছে থাকলে উপায় কোথায়? দুজনেই দুটি আলাদা ধারাবাহিকে লিড চরিত্রে অভিনয় করার জন্য, ছুটি পায়নি একদমই। তাই এই হবু দম্পতির হানিমুনের কোনো পরিকল্পনাই নেই। অবশ্য এই কথা আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই।
আরও পড়ুনঃ তীব্র মোদের নেশা, সুখ মেলেনি দাম্পত্য জীবনে, কেমন ছিল বাংলার কিংবদন্তি খলনায়ক সৌমিত্র ব্যানার্জির জীবন?
হানিমুনের কথা শুনেই অভিনেত্রী বলে ওঠেন, “ওরে বাবা! ছুটিই দেবে না। বিয়েতেই ছুটি দেবে না বলছিল, তিন দিন ছুটি দিয়েছিল। বিয়ের দিন, পরের দিন, আর বৌভাতের দিন”। সকলের প্রিয় শ্যামলী অর্থাৎ শ্বেতা আরও বলেন, “আমি হাতে পায়ে ধরে ৫ দিন ছুটি নিয়েছি। বিয়ের আগের দিন থেকে ছুটিতে। বলেই দিয়েছে, এই ছুটি, আর কোনও ঘুরতে যাওয়া নয়। রুবেলের তো আরও চাপ, ওর তো সাত দিনের শো”।