বাংলা টেলিভিশনের (Television) দুনিয়ায় সম্প্রতি নতুন ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ আত্মপ্রকাশ করেছে। সম্পর্কের গভীরতা, আবেগের টানাপোড়েন, এবং জীবনযুদ্ধের কাহিনীকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই ধারাবাহিকটি প্রথম থেকেই দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। ধারাবাহিকটির প্রোমো সম্প্রচারের সময় থেকেই এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে। গল্পের জটিলতাকে আরও আকর্ষণীয় করতে চমৎকার কাস্টিংয়ের মাধ্যমে ধারাবাহিকটি দর্শকদের এক বিশেষ অভিজ্ঞতার স্বাদ দিচ্ছে। তবে, শুরুতেই এটি কিছু বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে, যা ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তাকে আরও আলোচনায় নিয়ে এসেছে।
এই ধারাবাহিকে মূল চরিত্রে রয়েছেন অপরাজিতা যিনি বাংলা টেলিভিশনের অত্যন্ত প্রিয় মুখ। চিরসখা ধারাবাহিকে নায়িকা হিসেবে কনিনীকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অদিতি চক্রবর্তীকে দেখতে চাইছেন দর্শকদের একাংশ। তাদের মতে, অপরাজিতা আঢ্যর মতো জনপ্রিয় নায়িকাকে এত বড় ছেলে-মেয়ের মায়ের চরিত্রে একেবারেই মানাচ্ছে না। যিনি স্টার জলসায় নায়িকা হিসেবে একের পর এক হিট ধারাবাহিক উপহার দিয়েছেন, তাকে এই ভূমিকায় দেখে অনেকেই খুশি নন। দর্শকদের দাবি, এই চরিত্রে অপরাজিতার পরিবর্তে কনিনীকা বা অদিতিকে বেশি মানাতো।
‘চিরসখা’-র শুরুতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই দাবি করেছেন, অপরাজিতার মতো একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীকে এত বড় ছেলে-মেয়ের মায়ের চরিত্রে দেখতে মানাচ্ছে না। তাদের মতে, কনিনীকা বা অদিতি এই চরিত্রে আরও মানানসই হতেন। অন্যদিকে, অপরাজিতা আঢ্যের ভক্তরা তার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, একজন দক্ষ অভিনেত্রী যেকোনো চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। তবে এই বিতর্কই ধারাবাহিকটির প্রতি দর্শকদের আরও আগ্রহ বাড়িয়েছে।
‘চিরসখা’র গল্প পারিবারিক সম্পর্কের ওঠাপড়া, ভুল বোঝাবুঝি এবং তাদের সমাধানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই ধরনের বিষয়বস্তু দর্শকদের মনের সঙ্গে দ্রুত সংযোগ স্থাপন করে। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় ভালো স্থান দখল করেছে। প্রযোজক ও নির্মাতারা আশাবাদী যে, গল্পের গভীরতা এবং চরিত্রের বিকাশ আগামী দিনেও দর্শকদের মনগ্রাহী রাখবে।
আরও পড়ুনঃ “ভালো কাজের জন্য অপেক্ষা করতেই হয়! আমি চাই, অভিনয় এমন হোক যা দর্শকের মনে দাগ কাটতে পারে” বয়স্ক চরিত্র পেয়ে খুশি অপরাজিতা!
বিতর্কের মধ্যেও আলোচনার কেন্দ্রে যদিও ধারাবাহিকটি নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত, তা সত্ত্বেও ‘চিরসখা’ ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রযোজক এবং পরিচালকের বিশ্বাস, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দর্শকরা চরিত্রগুলোর সঙ্গে নিজেকে আরও বেশি জড়িয়ে ফেলবেন। ধারাবাহিকটি তার গল্প ও অভিনয়ের শক্তির মাধ্যমে বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় বিশেষ স্থান দখল করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।