জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো “মিঠিঝোরা”। এটি সম্প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে দর্শকদের ভালোবাসা অর্জন করছে। প্রথম দিকে সেভাবে জনপ্রিয়তা না পেলেও, এখন গল্পের টানটান উত্তেজনা দর্শকদের আকৃষ্ট করছে। ধারাবাহিকটি মূলত তিন বোনের জীবনসংগ্রামের কাহিনি তুলে ধরেছে, যা প্রতিটি পর্বে নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে।
সম্প্রতি দেখানো হয়েছে, কিছু লোক জোর করে রাইকে সম্পত্তির কাগজে সই করানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু রাই কিছুতেই রাজি হচ্ছে না। সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আগে তাকে জানতে হবে কিসের কাগজ, কেন তাকে এতে স্বাক্ষর করতে বলা হচ্ছে। রাইয়ের এই একগুঁয়েমির কারণে শেষমেশ তারা কাগজগুলো সামনে আনে। কাগজগুলো দেখেই রাই হতবাক হয়ে পড়ে।
সব সত্যি জানার পর রাই বুঝতে পারে, কারা তার কাছ থেকে সই আদায় করে অনির্বাণের বাড়ির ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। ফলে সে স্বাক্ষর করতে সম্পূর্ণ অস্বীকৃতি জানায়। এদিকে বাড়ির লোকজন রাইয়ের খোঁজ না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। অন্যদিকে, রাই নিজেও ভাবতে থাকে কীভাবে এই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ২৯ জানুয়ারি (Mithijhora Today Episode 29 January)
আজকের পর্বে দেখানো হবে, রাই বাথরুমে যাওয়ার নাম করে পালানোর পরিকল্পনা করতে থাকে। কিন্তু কোনো সুযোগ না পেয়ে, বাধ্য হয়ে আবারও বাইরে আসে। এরপর তাকে আবার জোর করে কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয়। অন্যদিকে, বাড়ির লোকজন রাইয়ের কোনো খোঁজ না পেয়ে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
এই সময় বিক্রম সিদ্ধান্ত নেয়, সার্থককে ফোন করবে। এরপরই হঠাৎ করে স্রোতার ফোনে একটি অচেনা নম্বর থেকে কল আসে, যা সার্থক ধরে। ফোনটি ছিল রাইয়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে, যিনি জানান, রাই এখনো স্কুলে পৌঁছায়নি এবং স্কুল থেকে কেউ তাকে আনতে যায়নি। এই তথ্য জানার পর বিক্রম ও সার্থক দ্রুত থানায় গিয়ে পুলিশের সাহায্য নেয়। তারা পুলিশের কাছে পুরো ঘটনা জানায় এবং রাইয়ের সন্ধানে তৎপরতা শুরু হয়।
এদিকে, নীলু ও কোয়েল পালানোর পরিকল্পনা করে, কারণ রাই এখনো কাগজে করেনি এবং ততক্ষণে তার খোঁজ শুরু হয়ে গেছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন বিক্রম থানায় অভিযোগ করে যে সে নীলুকেই সন্দেহ করছে রাইয়ের গুম হওয়ার ঘটনায়। অন্যদিকে, রাইকে সই করানোর জন্য কিডন্যাপাররা এবার আরও একধাপ এগিয়ে যায়। তারা বন্দুক তাক করে রাইকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু রাই হার মানে না। বরং, সাহস করে বন্দুক ছিনিয়ে নেয় এবং কোনোভাবে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুনঃ রাকাকে বাঁচাতে দাদুর বিরুদ্ধে গেল পারুল! সঙ্গী রায়ান, অন্য কারণে হলেও এক হলো নায়ক-নায়িকা!
কিন্তু বিপদ তখনও শেষ হয়নি! পালানোর পরপরই রাস্তায় একটি বড় গাড়ি এসে রাইকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। দুর্ঘটনার ফলে রাই গুরুতর আহত হয়, তার মাথা ফেটে যায় এবং রক্ত ঝরতে থাকে। কিডন্যাপাররা মনে করে, রাই হয়তো মা’রা গেছে, এবং তারা দ্রুত নীলুকে এই খবর জানায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আগামী পর্বে কী ঘটবে? রাই কি আদৌ বেঁচে থাকবে? নীলু ও কোয়েলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? বিক্রম ও সার্থক কি সময়মতো রাইকে খুঁজে পাবে? জানতে হলে দেখতে হবে “মিঠিঝোরা”-র পরবর্তী পর্ব!