জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দর্শকদের বিচারে তুলে ধরা হল বাংলার সেরা চার এমন সিরিয়াল যা এত বছর পরেও জনপ্রিয় বাঙালিদের কাছে, আজও মানুষ ইউটিউবে দেখে এইগুলো

আজকাল বাঙালি দর্শকদের কাছে বাংলা ধারাবাহিকগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তার এক নম্বর কারণ হলো সময় কাটানো আর দ্বিতীয় কারণ হল তার থেকে কিছু অনুপ্রেরণা পাওয়া। মূলত ধারাবাহিক গুলিতে পরকীয়া বা সংসারিক জটিলতার কাহিনী বলা হলেও আজকাল গল্প বলার ধরনে এবং গল্পের বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে অনেক বৈচিত্রা আসছে। ফলে অনেক নতুন নতুন অজানা বিষয়বস্তু দেখানো হচ্ছে টিভির পর্দায়। যা কখনো কোনো ক্ষেত্রে শিক্ষামূলক হয়ে উঠছে।

তবে আজও বাঙালি চিরন্তন ধারাবাহিক থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে পারেনি। তাইতো আজ এমন চারটি ধারাবাহিকের কথা বলা হবে যা পারিবারিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে তবে দর্শকদের সহজেই আকৃষ্ট করতে পেরেছে। তাইতো ধারাবাহিকগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার এত বছর পরেও সমানভাবে জনপ্রিয় সেগুলি।

১. সুবর্ণলতা: জি বাংলার এই ধারাবাহিকটি আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ট্রিলজি উপন্যাসের দ্বিতীয় খন্ড। অসাধারণ পারিবারিক গল্প যেখানে সমাজের বিরুদ্ধে নানা কাহিনীর বর্ণনা করা হয়েছে যার মাধ্যমে সুবর্ণলতা নামক এক সাধারণ মধ্যবিত্ত বাড়ির বউ হিসেবে প্রতিবাদী চরিত্রের আবির্ভাব ঘটেছিল।

২. ওগো বধূ সুন্দরী: এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে পর্দায় প্রথমবারের জন্য জুটি বেঁধেছিলেন রাজদীপ এবং ঋতাভরি চক্রবর্তী। একটি পারিবারিক কাহিনী হলেও শাশুড়ি-বৌমার সংসারিক অশান্তি এখানে তুলে ধরা হয়নি। বরং একটি বড়লোক বাড়ির মেয়ে একটি মধ্যবিত্ত শ্বশুরবাড়িতে এসে কীভাবে সেই নতুন বাড়িতে তার আপনজন করে নেয় সেটাই তুলে ধরা হয়েছে এই গল্পে।

৩. কিরণমালা: ধারাবাহিকটি একেবারেই রূপকথা নির্ভর। তাই ৮ থেকে ৮০ সবাই বসে দেখতে পারে এমন একটি ধারাবাহিক ছিল এটি। ফলে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা ছিল দারুণ। কটকটি প্যাকাটিদের সঙ্গে রাজকুমারী কিরণমালার লড়াইয়ের গল্প কার্যত অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয়ের গল্প ছিল। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেত্রী রুকমা রায়।

৪. বোঝে না সে বোঝে না: ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মধুমিতা সরকার এবং যশ দাশগুপ্ত। এ ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে দুজনে উঠে এসেছিলেন প্রথমবার জুটি বেঁধে। পাখি আর অরণ্যর সেই দুষ্টু মিষ্টি কেমিস্ট্রি দারুন লেগেছিল দর্শকদের।

Piya Chanda