মিঠাই ধারাবাহিকে গাঁজাখুরি গল্প দেখানো হয় না বরং সমাজের থেকে অনেক এগিয়ে থাকা চিন্তা ভাবনাকে তুলে ধরা হয় এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে। এখানে শত্রুপক্ষের পরিবারের কাউকে যদি ভালোবাসা হয় তাহলে তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় কোন রকম ছুঁতমার্গ না রেখে। ভালোবাসার জন্য এখানে কোন বয়স মানা হয় না। মাঝে মাঝে বাড়ির বউদের তো মেয়েদের থেকেও বেশি সম্মান ও প্রায়োরিটি দেওয়া হয়। এখানে যেরকম নাচ গান নিয়ে চর্চা হয় সেরকম রান্নাতেও আনা হয় রংবাহারি জিনিস। সবকিছুতেই সব সময় এগিয়ে থাকে মোদক পরিবার।
এবার নিজের শ্বশুরের বিয়ে দেবে মিঠাই রানী। আজকে রাতেই ঘটবে সেই ঘটনা। যেখানে সমরেশকে আজকে জানিয়ে আজকের এপিসোডেই বিয়ে দেখানো হবে।সিডিবয় কে মিঠাই অনেক বুঝিয়েছে তারপর সিদ্ধার্থ নিজের আঁকড়ে ধরে থাকা জেদটাকে ছাড়তে সক্ষম হয়েছে।সে নিজের মায়ের জায়গাটা কাউকে দিতে পারবে না কিন্তু মামণি হিসাবে অনুরাধা ম্যামকে মেনে নিতে তার সমস্যা নেই তার কারণ এতে তার স্যার ভালো থাকবেন। আর স্যার ভালো থাকলেই তার মা ভালো থাকবে।
গতকাল আমায় দেখেছি মিঠাই তে পালন করা হয়েছে সিদ্ধার্থের মা অর্থাৎ আরতির জন্মদিন। যেখানে আরতির ছবিকে সুন্দর করে সাজিয়েছে শ্রী আর এসে তাতে ফুল দিয়ে ভালো করে সাজিয়েছেন অনুরাধা। বড় আশা করে এসেছি গো কাছে ডেকে লও গানটা একসাথে গাইলো শ্রী এবং সিদ্ধার্থ যা শুনে উপস্থিত সকলের চোখে জল এসে গেছে এবং অনুরাধা ম্যাম ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন।
এখানে মিঠাইয়ের নতুনত্ব এবং অভিনবত্ব বলছেন নেটিজেনরা। নিজের শাশুড়ি যাকে ভালো করে পায়ইনি মিঠাই তার জন্মদিন সে উদযাপন করছে তার হবু শাশুড়ির সঙ্গে। সিদ্ধার্থ নিজের জন্মদাত্রী মায়ের ছবি এবং নিজের বাবার হবু দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে এক জায়গায় বসে আছে।অনুরাধা নিজের কর্তৃত্ব বা অধিকার পালানোর কোন চেষ্টা করেননি এবং তিনি করবেন না সেটাও বলে দিয়েছেন। তিনি সিদ্ধার্থ বা শ্রী এর মা হতে আসেননি। তিনি সমরেশ বাবুর বন্ধু হতে এসেছেন তার সারা জীবনের জন্য।