জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“সাফল্যের চাবিকাঠি আত্মবিশ্বাস, অন্যের অবদান নয়”! শ্রীময়ীকে কটাক্ষ করলেন পিঙ্কি

সফলতার ক্ষেত্রে অনেকেই মনে করেন, একজন নারীর সাফল্যের পেছনে কোনো না কোনো পুরুষের অবদান থাকে। আবার অনেকে এও বলেন যে, একজন পুরুষের সাফল্যের পেছনে কোনো নারীর বড় ভূমিকা থাকে। কিন্তু এই প্রচলিত ধারণার সঙ্গে একেবারেই একমত নন অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেছেন তিনি। পোস্টটিতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, কারও সফলতার জন্য অন্য কারও অবদান থাকা বাধ্যতামূলক নয়। বরং একজন ব্যক্তি নিজের প্রতিভা ও শ্রম দিয়েই সাফল্য অর্জন করতে পারেন। ভিডিওতে লেখা একটি বার্তার বাংলা করলে দাঁড়ায়, “আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি মানুষের সাফল্যের পেছনে অবদান রাখে এই এক কাপ এসপ্রেসো শট।” ভিডিওটি ছিল একটি কোলাজ, যেখানে তাঁকে একটি ক্যাফেতে কালো পোশাকে দেখা গিয়েছে। নাকে সেপ্টাম, চোখে রোদচশমা ও মাথায় একটি স্টাইলিশ পট্টি—সব মিলিয়ে তাঁকে একেবারে ভিন্নরূপে দেখা গেছে।

পিঙ্কির এই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। অনেকেই তাঁর নতুন লুক ও স্বাধীনচেতা ভাবনার প্রশংসা করেছেন। কেউ বলেছেন, “খুব ভালো লাগছে”, আবার কেউ তাঁর সাজসজ্জার প্রশংসা করে লিখেছেন, “অসাধারণ লাগছে।” পিঙ্কি একজন সফল অভিনেত্রী হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি একা হাতে ছেলেকে বড় করছেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বহু আলোচনা-সমালোচনা হলেও তিনি নিজের আত্মবিশ্বাস অটুট রেখেছেন। অভিনেত্রী বরাবরই বিশ্বাস করেন, নিজের শক্তিতে এগিয়ে যাওয়াই আসল এবং জীবনের প্রতিটি কঠিন অধ্যায় সামলে এগিয়ে যাওয়াটাই প্রকৃত সাফল্য।

প্রসঙ্গত, পিঙ্কি ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী কাঞ্চন মল্লিকের দাম্পত্য কলহের খবর প্রকাশ্যে আসে ২০২১ সালে। তখন পিঙ্কি কাঞ্চনের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন, যদিও কাঞ্চনের বর্তমান স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে তীব্র কাদা ছোড়াছুড়ি চলে সেই সময়। কাঞ্চন তখন দাবি করেছিলেন যে, তাঁদের নয় বছরের দাম্পত্য জীবনে মাত্র বিশ দিন তাঁরা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। দাম্পত্যে দুরত্বের জেরে শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পিঙ্কি ও কাঞ্চনের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়।

ডিভোর্সের সময় কাঞ্চন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কিকে খোরপোষ বাবদ ৫৬ লক্ষ টাকা দেন, যদিও পিঙ্কি সাফ জানিয়ে দেন, এই অর্থের একটাও তিনি নিজের জন্য ব্যবহার করবেন না, পুরোটাই ছেলের ভবিষ্যতের জন্য ব্যয় করা হবে। তাঁদের ছেলে ওশ বর্তমানে ১০ বছর বয়সী এবং পিঙ্কির সঙ্গেই রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে এত উত্থান-পতনের পরও পিঙ্কি নিজের কাজের জায়গায় অটুট থেকেছেন।

অন্যদিকে, ডিভোর্সের পর কাঞ্চন মল্লিক নতুন জীবন শুরু করেন শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে আইনি বিয়ে সারেন তাঁরা, এরপর ২ মার্চ সামাজিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তাঁদের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত জীবনে যত পরিবর্তনই আসুক, পিঙ্কি নিজের কাজ ও ছেলেকে নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, সাফল্য অর্জনের জন্য নিজের উপর বিশ্বাস থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

Piya Chanda