জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’ শুরু হওয়ার পর থেকেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। গল্পের প্রতিটি মোড়েই টানটান উত্তেজনা, আবেগের জটিলতা আর পারিবারিক দ্বন্দ্বের অনন্য মেলবন্ধন রয়েছে, যা সিরিয়ালপ্রেমীদের মুগ্ধ করে রেখেছে। প্রতিটি চরিত্রের গভীরতা, প্রেম-প্রতিশোধের দ্বন্দ্ব এবং নতুন চমক প্রতিটি পর্বকে আকর্ষণীয় করে তুলছে।
এই ধারাবাহিকের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পারুল, যার জীবন এক অজানা লড়াইয়ে ভরা। প্রেম, ত্যাগ, আর ভাগ্যের অদ্ভুত খেলায় জড়িয়ে পড়েছে সে। রায়ান ও শিরিনের উপস্থিতি পারুলের জীবনে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। এই ত্রিকোণ সম্পর্ক কি আরও জটিল হবে, নাকি গল্পে আসবে নতুন কোনও মোড়? দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন পরবর্তী পর্বের জন্য।

সম্প্রতি পর্বে দেখা যায়, পারুলের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছিল মহাকুম্ভে। জলজ্যান্ত বিপদের মুখে পড়ে সে, কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে তাকে রক্ষা করে রায়ান। এই ঘটনায় একদিকে যেমন পারুল রায়ানের প্রতি আরও দুর্বল হয়ে পড়ে, অন্যদিকে শিরিনের রাগ সীমা ছাড়িয়ে যায়। শিরিন উপলব্ধি করে, রায়ানের মন পারুলের দিকে আস্তে আস্তে ঝুঁকছে, যা সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।
এখানেই শেষ নয়! এরপর তারা মহাকুম্ভ থেকে ফিরে আসে নিজেদের বাড়িতে, আর বাড়ি ফিরেই শুরু হয় দোল উৎসব। চারদিকে রঙের উচ্ছ্বাস, আনন্দের মুহূর্ত— কিন্তু এই উৎসবের মধ্যেও কিছু একটা যেন লুকিয়ে রয়েছে। ন্যাড়া গোয়ালে যখন দোল উৎসব পালন করা হচ্ছিল, তখনই পারুল নিজের কল্পনায় রায়ানকে দেখতে থাকে, আর এই ব্যাপারটি রুকু ভালোভাবেই ধরে ফেলে। পারুল কি সত্যিই নিজের অনুভূতি বুঝতে পারছে? নাকি সে নিজের আবেগের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে? অন্যদিকে, রায়ান যখন বাড়ি ফেরে, তখন দাদুর কাছে তাকে মিথ্যে বলতে হয় মহাকুম্ভ যাওয়া নিয়ে। যদিও দাদু বুঝতে পারেন যে সে সত্য লুকোচ্ছে, তবুও তিনি জানান যে আজ কোনও শাস্তি হবে না— কারণ আজ দোল উৎসব। তবে উৎসব শেষ হলেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর চাইবেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ “কাদম্বিনী ছাড়ার সময় আরও বেশি কষ্ট হয়েছিল!” ফেলনা ছাড়তে কষ্ট হয়নি, অকপট শিশু শিল্পী মেঘনা চক্রবর্তী!
ঠিক এই সময় রুকু ফোন করে দাদুকে, এবং জানায় সে তার শ্বশুরবাড়ি তথা ন্যাড়া গোয়ালের লোকজন ও রায়ানদের বাড়ির সদস্যদের নিয়ে একটি রিসোর্টে যেতে চায়। আনন্দ করার জন্য সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। দাদুও এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। কিন্তু এই রিসোর্ট যাত্রা কি সত্যিই শুধুই আনন্দের হবে? নাকি এই সফর নতুন কোনও রহস্যের দরজা খুলে দেবে? আগামী পর্বে অপেক্ষা করছে আরও বড় চমক! দোল উৎসবের রঙ কি সত্যিই সবাইকে এক করবে, নাকি সম্পর্কের মধ্যে আরও জটিলতা আনবে? জানতে হলে চোখ রাখুন ‘পরিণীতা’-র পরবর্তী পর্বগুলিতে!