বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ! তাই রোজ কিছু না কিছু লেগেই রয়েছে। আর, আজ তাঁর মধ্যেই অন্যতম দিন ১লা বৈশাখ অর্থাৎ বাংলা ক্যাল্যান্ডারে আজ ‘নববর্ষ’। সারা বছরের সমস্ত সাহেবিয়ানা ভুলে পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র পৃথিবীর বাঙালিরা আজ ডুব দেবে বাঙালিয়ানায়।
আজ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রিটি সবাই নববর্ষ পালনে মেতে উঠেছে। আর এই বছর আক্ষরিক অর্থেই টলিউডের ছোটো পর্দার অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায় ও অনিন্দিতা রায়চৌধুরীর জন্য নববর্ষ। মা হওয়ার স্বার্থে নতুন রূপে নিজেদেরকে চিনতে পেরেছেন অভিনেত্রীরা।
তবে, জীবনের অধ্যায় আরেকটা পাতা যোগ হলেও সেই ছটফটে প্রানোচ্ছলই রয়েছে অভিনেত্রী রূপসা। তবে, নববর্ষের এই বিশেষ দিনটিকে রূপসা কীভাবে পালন করবেন? খোঁজ নিয়ে জানা গেল ভরপুর খাওয়া-দাওয়ার মধ্যেই ডুবে থাকবেন তিনি। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি বাঙালি খাবার খেতে খুব ভালবাসি। আমাদের যে কোনও অনুষ্ঠানে মধ্যাহ্নভোজে খাঁটি বাঙালি খাবার থাকবেই। নববর্ষে তো বাঙালি খাবার ছাড়া ভাবতেই পারি না। তবে তেল-মশলা কম থাকবে রান্নায়”।
রূপসা আরও বলেন, “আমার ভ্লগে এসে মানুষ নানা ধরনের মন্তব্য করে। কোনটা খাওয়া উচিত, কোনটা খাওয়া উচিত নয়— নানা রকমের পরামর্শ দেন তাঁরা। অনেকে বলে, সেলাই শুকোয়নি, তাই আমের চাটনি খাওয়া উচিত নয়। অনেকে বলে আমার বদহজম হলে বাচ্চারও বদহজম হবে। তবে আমি নিশ্চিত, সব নতুন মায়েদেরই এ সব শুনতে হয়”।
মাতৃদুগ্ধ নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “দুধ তো আমাদের রক্ত থেকে তৈরি হচ্ছে। তাই আমার খাবারের সঙ্গে বাচ্চার বদহজম হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই”। অন্যদিকে, আবার অনিন্দিতা রায়চৌধুরীর কন্যা সন্তানের বয়স মাত্র ১মাস। তা বলে, অভিনেত্রী কিন্তু বছরের এই বিশেষ দিনে খাবারে মানছেন না কোনো নিষেধাজ্ঞা। দেদার খাওয়াদাওয়া আর আনন্দে ঘরোয়াভাবেই মেতে উঠবেন অভিনেত্রী।
আজকের দিনটিকে ঘিরে অভিনেত্রী বললেন, “আমরা খেতে খুব ভালবাসি। তবে বরাবরই আমি খাওয়াদাওয়ায় সামান্য নিয়ন্ত্রণ মেনে চলি। আর এখন ঘুম ও জেগে থাকার সময়ও এ দিক ও দিক হয়ে গিয়েছে, তাই কিছু বিষয় মেনে চলতে হচ্ছে। তা ছাড়া হরমোনের পরিবর্তনও হয়। কিন্তু পয়লা বৈশাখে বাঙালি খাবার খেতেই হবে”।
মাতৃদুগ্ধ নিয়েও অভিনেত্রী রাখলেন নিজের মন্তব্য। অনিন্দিতা বললেন, “আসলে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর সঙ্গে মায়ের খাওয়াদাওয়ার কোনও সরাসরি যোগ নেই। মায়ের শরীর যাতে সুস্থ থাকে, সে জন্যই সতর্ক থাকতে বলা হয় খাওয়াদাওয়া নিয়ে। কারণ এই সময়ে মায়ের শরীর খারাপ করলে পরোক্ষ ভাবে তার প্রভাব পড়ে সন্তানের উপর। তবে আমি ডায়াবেটিক। তাই আমি মিষ্টি খাই না”।
আরও পড়ুনঃ ধারাবাহিক শেষ, কিন্তু সম্পর্ক অটুট! সৃজনকে ছাড়াই ‘দত্তবাড়ি’র রিইউনিয়নে ফের একসঙ্গে পর্ণা-কৃষ্ণারা! আবেগে ভাসলেন ভক্তরা!
সন্তান হওয়ার জন্য রান্নাঘরের ধারেকাছে নেই অভিনেত্রী। তবে, এই দিনটায় খামতি থাকছে না কিছুই। এই দিনে স্পেশাল মাংসতা রাঁধবে অভিনেত্রী স্বামী সুদীপ সরকার। অনিন্দিতার কথায়, “পান খেতে আমি খুব ভালবাসি। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন টানা ন’মাস পান খেতে পারিনি। তাই ওটা নিয়ে আমি খুব উৎসাহী”।