জি বাংলার ধারাবাহিক ‘আনন্দী’ (Anondi) এক নারীর আত্মত্যাগ, সংকল্প আর লড়াইয়ের গল্প, যা ধীরে ধীরে দর্শকদের আবেগের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখা এই মেয়েটি কিভাবে তার ইচ্ছেকে বাঁচিয়ে রাখে, সেটাই এই গল্পের মূল লক্ষ্য। ডঃ আদিদেবে এবং আনন্দীকে কেন্দ্র করেই ধারাবাহিকটি। প্রথমদিকে যার সঙ্গে বিয়ে ছিল কেবল একটা পরিস্থিতির পরিণতি,
সেই আদিদেব আজ ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে আনন্দীর স্বপ্নপূরণের সঙ্গী। ধারাবাহিকে একাধিক চমক থাকলেও, আনন্দীর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটাই যেন প্রতিটা দৃশ্যে ঘুরে ফিরে আসে। দারিদ্র, দায়িত্ব, সামাজিক বাঁধা— সবকিছুর মধ্যেও তার চোখে স্পষ্ট লক্ষ্য। সে যেন প্রতিদিন নিজেকেই প্রশ্ন করে, “আমি কি পারব?” আর তার উত্তর সে খুঁজে পায় নিজের নীরব জেদের মধ্যে।

১৭ই এপ্রিল জি বাংলার তরফে প্রকাশিত প্রোমোয় দেখা গেল একদিকে নববর্ষের মুহূর্ত, অন্যদিকে সেই আনন্দময় মুহূর্তেই লুকিয়ে এক ভয়ঙ্কর বিপদের ছায়া। পরিবারের সকলে যখন খাওয়া-দাওয়াতে ব্যস্ত, তখন রান্নাঘরে যায় আনন্দী কিছু একটা কাজে। আদিদেব ঠিক তখনই জানায় যে মেডিকেল এন্ট্রান্সের রেজাল্ট বেরিয়েছে, আনন্দী র্যাঙ্ক করেছে— সে এবার ডাক্তার হবেই!
কিন্তু আনন্দীর ভাগ্য যেন আবার এক নিষ্ঠুর খেলা খেলতে শুরু করে। গ্যাস জ্বালাতে গিয়ে দেশলাইয়ের আগুন লেগে যায় তার শাড়িতে! সে চিৎকার করে সাহায্য চায়। কিন্তু কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় না এখানে। সত্যিই কি এটি একটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনের পূর্ব পরিকল্পিত কোন চাল রয়েছে? অদিদেব কি পারবে আনন্দীকে বাঁচাতে?
আরও পড়ুনঃ “ইদানীং কেন জানি না মনে হচ্ছে, বড্ড বেশি প্রচারের আলোয় চলে আসছি, এত সাক্ষাৎকার আমার বক্তব্য যেন ফুরিয়ে আসছে!” বর্তমান ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অকপট টোটা রায়চৌধুরী !
আনন্দী কি এবার বাঁচতে পারবে আগুনের হাত থেকে? তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন কি এবারও মুখ থুবড়ে পড়বে এক বিপদের ধাক্কায়? নাকি বারবার ভেঙে আবার গড়ে ওঠা এই মেয়েটি নতুন করে ফিরে আসবে? জানতে হলে চোখ রাখতেই হবে জি বাংলার পর্দায়, প্রতিদিন বিকেল ৫:৩০ টায়, যেখানে শুধুই নয় উত্তেজনা নয়, জড়িয়ে আছে এক মেয়ের জীবন সংগ্রামের গল্প।