রায়ানের সঙ্গে শিরিনকে আটকাতে তৎপর হয়ে উঠেছে পারুল। বসবারই ছেলেকে জীবনের সঠিক পথে আনতে পারুল নিয়েছে বিরাট পদক্ষেপ। জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) ধারাবাহিকের গত পর্বে দেখা গেছে, রায়ানকে শিরিনের থেকে দূরে রাখার জন্য মৈনাকরা তাঁর থেকে ফোন নিয়েছে। আর, এমন সময় ফোন নিয়ে টানাটানি করতে গিয়ে জলে পরে যায়।
পরবর্তীকালে, দেখা যায় ফোন পুরো বন্ধ হয়ে গেছে। এমন সময় অন্যদিকে দেখাতে পারুল হাজির হয়েছি সেদিনের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে পারুল সেদিনের বাবার সামনে তাকে সাবধান করে দিয়ে এসেছে সে যেন কোন মতেই রায়ানের সঙ্গে কোন সম্পর্ক না রাখে। আর, শিরিন যদি বেশী রায়ানের চারিদিকে ঘোরে তাহলে পারুল ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। এই শুনেছি দিনের বাবা যথারীতি তাঁকে রায়ানের থেকে দূরে থাকতে বলে।

এই শুনে শিরিন ও খুব রেগে যায় এবং তার মাকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা বলে। এরপর সেদিন মনে মনে ভাবতে থাকে যেভাবে তার মা প্রথম পক্ষের স্ত্রী এর কাছ থেকে তার বাবা কে নিয়ে এসে সংসার করছে সেও তেমন পারুলের থেকে রায়ানকে নিয়ে এসে সংসার করবে।
এরপর, পারুল বাড়ি ফেরার সঙ্গেই রায়ান তাকে মৈনাকের বিরুদ্ধে নালিশ করতে থাকে। এমন সময় পারল তাকে বলে, সে শিরিনের ব্যবস্থা করে দিয়ে এসেছে। শিরিনের বাবাকে নালিশ করেছে পারুল, এই কথা জানতে পেরে রায়ান তাঁর গলা টিপে ধরে। এমন সময় পিছন থেকে এসে রায়ানকে সপাটে একটা চাবুক দিয়ে মারে দাদু। এরপর, রায়ান রেগে চলে গেলেও কথায় কথায় আশুতোষ পালনকে জানায়, পরশু তাদের দোকানে পহেলা বৈশাখের পুজো আছে পারুই চাইলে তার বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করতে পারে।
এরপর শিরিন কলেজে পৌঁছে বন্ধুদের সমস্ত ঘটনার কথা জানালেও সবাই অবাক হয়ে যায়। এমন সময় পারুলের সঙ্গে রায়ান কলেজে আসে কিন্তু, এদিকে রায়ানের উপর নজর তৈরি করতে থাকে পারুল। কারণ কোন মতেই রায়েন কে সেদিনের সঙ্গে কথা বলতে দেবে না। আর, এই কারণেই নজরদারি করার জন্য নিজের এক বন্ধুকে ফিট করেছে পারুল।
এরপর, পারুল তার বন্ধুদের ডেকে পয়লা বৈশাখের নিমন্ত্রণ জানালেও মনে মনে তূর্য ভাবতে থাকে তাঁর দাদুকে যে মেরেছিল সেও একজন গয়নার দোকানের লোক ছিল, তাই এখনও গয়নার দোকানের কথা এখনও পুরোনো সব স্মৃতি ভেসে ওঠে।
অন্যদিকে দেখা যায়, সন্ধ্যেবেলায় বাড়ি ফেরার সময় মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিল। এমন সময়, সবার চোখ এড়িয়ে রায়ান আসে শিরিনের সঙ্গে কথা বলতে কিন্তু সে কথা বলতে চায় না। এরপর, রায়ান বাধ্য হয়ে সবটা খুলে বলে শিরিনকে। রায়ান আরও বলে, নববর্ষের দিন বাড়ির সবাই যখন দোকানের পুজোতে ব্যস্ত থাকবে তখন সব বন্ধুরা মিলেই শিরিনের ফ্ল্যাটে গিয়ে পারুলের বিরুদ্ধে একটা পরিকল্পনা করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ডাক্তার হল আনন্দী! সাফল্যের মুখে দাঁড়িয়ে আগু’নে ঝ’লসে যাবে সে? তার এই করুণ পরিণতির জন্য দায়ী কে?
এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, কলেজের মধ্যেই পারুল শিরিনের ঝগড়া লেগেছে। এই সময়ে পারুলকে অনবরত শিরিন ঠেলতে থাকে। তাই, পারুল শিরিনকে থামানোর জন্য কষিয়ে একটা থাপ্পড় মারে আর সঙ্গে সঙ্গেই শিরিন অজ্ঞান হয়ে যায়।