জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

পারুলের কড়া হুঁশিয়ারিতে চুপ রায়ান! প্রিন্সিপালকে পারুল দেখালো শিরীনের স্বীকারোক্তি! কি পরিণতি হতে চলেছে শিরীনের এবার? রায়ান কি পারবে নিজেকে বাঁচাতে?

জি বাংলার ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’ (Parineeta) পারুল নামের একটি মেয়ের জীবনসংগ্রাম এবং ভালোবাসা জিতে নেওয়ার গল্প। উচ্চশিক্ষার জন্য গ্রাম থেকে শহরের নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা পারুলের সঙ্গে পরিচয় হয় নায়ক রায়ানের। ভাগ্যের ফেরে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সম্পর্ক দ্বন্দ্বের হলেও, ঘরের পরিবেশে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সুন্দর রসায়ন। বর্তমানে গল্প বিভিন্ন নতুন মোড়ে এগিয়ে চলেছে।

পরিণীতার আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রায়ানকে সেই রহস্যময় বন্দুকধারীর হাত থেকে রক্ষা করে পারুল বাড়ি নিয়ে আসে, এই ঘটনায় রায়ান রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পারুল তাকে আশ্বস্ত করে যে পারুল থাকতে তার কোনো ক্ষতি হবে না। রায়ানের মনে সন্দেহ জাগে ডিকের বাড়ির লোকেরাই তাকে মারতে চাইছে কিনা? এই নিয়ে পারুলের ও সন্দেহ হয়, অবশেষে রায়ান ঘুমাতে গেলে পারুল মনে মনে চিন্তা করে এই পরিস্থিতিতে তার এমন বিশ্বস্ত লোকের মতামতের প্রয়োজন যে অনেক ম্যাচিওর চিন্তাধারা রাখে।

parineeta, পরিণীতা, zee Bangla, জি বাংলা

এরপরেই পারুলের মাথায় আসে তূর্যর নাম। পারুল মনে মনে বলে তূর্য ছেলেটাকে দেখে বেশ ম্যাচিওর মনে হয়, তাছাড়া ও খুব একটা ইউনিভার্সিটিতেও আসে না মনে হয় কোনো কাজ করে। পারুল ঠিক করে তূর্যকে একটা ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানাবে। সেইমতো পারুল ফোন করে কিন্তু দুর্জন ফোনটা বেজে গেলও তূর্য ফোন তোলে না। অন্যদিকে তূর্যের বাড়িতে দেখা যায় দেয়ালে বাঁধানো পারুলের বিশাল এক ছবির সামনে দাঁড়িয়ে তুর্য মাথায় লাগা ক্ষততে বারবার হাত দিয়ে বলছে, “তোমার থেকে পাওয়া ভালোবাসার এই প্রথম ক্ষত আমি মাথায় করে রাখবো,

একদিন তোমার ভালোবাসা আমি পাবই।” বারবার তূর্যের মনে পড়তে থাকে কিভাবে পারুল বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে রায়ানকে রক্ষা করল। তূর্যর হিংসা হয়, সে পারুলের প্রেমে পাগল হয়ে গিয়েছে রীতিমতো। অন্যদিকে তূর্যকে ফোনে না পেয়ে পারুল সিদ্ধান্ত নেয় তার বাড়িতে গিয়ে সবটা জানাবে। সেই মতো পরদিন সকালে পারুল ইউনিভার্সিটি থেকে তূর্যর ঠিকানা জোগাড় করে তূর্যর বাড়ি গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে পারুল কিছু বুঝে ওঠার আগেই তূর্য তাকে সরিয়ে নিয়ে যায়। পারুল তূর্যকে জানায় একটা বিপদে পড়ে সে তার কাছে এসেছে, এরপর সবটা খুলে বলে পারুল।

নিজের কুকীর্তি ফাঁস হয়ে যাবার ভয়, তূর্য তাকে পুলিশের কাছে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তূর্য পারুলকে বলে যারা রায়ানের উপর হামলা করছে, পারুল যদি পুলিশের কাছে যায় হতে পারে সেই হামলার পরিমাণ আরো তীব্র হবে। তূর্য মিথ্যে কথা বলে যে তার এক কাকা গোয়েন্দা বিভাগে আছে পারুলকে সে এই বিষয়ে জেনে পরামর্শ দেবে। পারুল আশ্বস্ত হয়ে সেখান থেকে চলে যায় ঠিকই, কিন্তু তার মনে হতে থাকে পুলিশের কাছে যাওয়া অত্যন্ত জরুরী। সেইমতো পারুল পুলিশের কাছে গিয়ে সব ঘটনা বললে পুলিশ তৎপর হয়ে পড়ে এবং একটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার হয়।

যেখানে বন্দুকধারী ওই ব্যক্তি আর ডিকে কে হত্যাকারী দুজনের চেহারা ও পোশাকে হুবহু মিল পাওয়া যায়। অন্যদিকে পারুল বাড়ি ফিরে আসতেই দেখে রায়ান কোথাও একটা যাওয়ার মতলব করছে। পারুল সাফ জানিয়ে দেয় যে কোথাও একা যাওয়া যাবে না সবসময় তাঁর সাথেই থাকতে হবে। রায়ান বলে সে কখনোই পারুলের কথায় উঠবস করবে না, শিরীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে তো একদমই না। পারুল দাদুর ভয় দেখাতেই রায়ান চুপ করে যায়। তারপর প্রিন্সিপালের কাছে গিয়ে শিরীনের স্বীকারোক্তি দেখিয়ে আসে তারা। এবার কি পরিণতি হবে শিরীনের? রায়ান কি পারবে নিজেকে বাঁচাতে?

Piya Chanda