জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘পরিণীতা’তে এবার তূর্যর নিশানায় মনোজ! ষড়যন্ত্রের শিকার শ্রীতমার শ্লী’ল’তাহানি চেষ্টা! পারুল আর রায়ান নিলো শপথ দোষীকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার!

জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র পারুলের জীবন যেন একটা বেড়াজালে আটকে আছে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন নিয়ে ব্রাইট মাইন্ডসে পড়তে আসা পারুলের সঙ্গে পরিচয় হয় রায়ানের। ঘটনাচক্রে তারাই স্বামী-স্ত্রীতে পরিণত হন। তৃতীয় ব্যক্তি শিরীনের উপস্থিতিতে বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতি হয় দিন দিন দিন। বর্তমানে গল্পে রায়ান কে মারতে চায় এক অজানা ব্যক্তি কিন্তু কেন?

আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ডিন স্যারের কাছে অপদস্ত হওয়ার পর শিরীন ক্লাসে আসলে, তাঁর সব বন্ধুরা তাকে প্রত্যাখ্যান করে চলে যায়। তাঁরা বলে শিরীনের সাথে মিশলে তাঁদের ভবিষ্যতও সংকটে পড়তে পারে। শিরীন একদম একা হয়ে যায়। শিরীনের এই পরিস্থিতি দেখে পারুল বলে দেখে শুনে বন্ধু বানাতে হয়, যারা সবসময় পাশে থেকে তারাই আসল বন্ধু। আর শিরীনের পাশে এখন কেউ নেই তাই এটাই তাঁর সকল অপরাধের শাস্তি।

ঠিক সেই সময় রায়ান এসে জানায় আর কেউ শিরীনের পাশে থাকুক বা না, সে সবসময় শিরীনের পাশেই আছে। পারুল সাবধান করে রায়ানকে আবার বিপদে পরবে সে কিন্তু রায়ান নাছোড় বান্দা। অবশেষে ক্লাস শেষ হতেই পারুলের হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে রায়ান বলে বাড়ির মধ্যে পারুল যতই দাদাগিরি করুক কিন্তু তার বাইরে তাকে সে কোনো রকম নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করে। রায়ান বলে, “দাদুও এর আগে আমাকে আটকানো চেষ্টা করেছে তার ফল কিন্তু ভালো হয়নি আর তুইও যদি চেষ্টা করিস সেটাও কিন্তু ভালো হবে না।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

আমি কোথায় যাব কার সাথে মিশবো সেটা আমার ব্যাপার, আর তোকে তো আমি চিনেই নিলাম। আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কেমন ভাবে তুই আমাকে নিজের তালে নাচিয়ে যাচ্ছিস।” প্রত্যুত্তরে পারুল ক্ষোভে ফেটে পড়ে বলে, “আমি যে তোকে মৃ’ত্যুর হাত থেকে বাঁচালাম, তার আগে এতো বড় কলঙ্কর হাত থেকে বাঁচালাম তার কোনই দাম নেই? আমার কোন দাম নেই? আমি কে তোকে কি এবার বোঝাতে হবে?” রায়ান পারুলকে সাফ জানিয়ে দেয় সে আর ভয় পায়না কোন কিছুকেই।

পারুল যদি চায় তাহলে সবাইকে তাদের সম্পর্কের কথা সবাইকে জানিয়ে দিতে পারে। রায়ান বলে যাই হয়ে যাক না কেন শিরীনকে সে ছাড়তে পারবে না। আর পারুলের হাতের পুতুল হয়ে থাকার থেকে সেইদিন গু’লিতে ম’রে যাওয়াই ভালো ছিল। ক্ষুব্ধ হয়ে পারুল বলে এইবার থেকে আর সে রায়ানের কোন‌ও ব্যাপারে থাকবে না! এমনিতেই রায়ানের দায়িত্ব নিয়ে তার পড়াশোনার বেহাল অবস্থা। তাকে নিরাপত্তায় দেওয়ার জন্য এদিক সেদিক ছুটতে হচ্ছে তাকে।

অন্যদিকে ন্যাড়া-গোয়ালে রুক্মিণী রান্নার চ্যানেলের জন্য ভিডিও শুট করতে থাকে সকল মহিলাদের নিয়ে। আর ক্যামেরার দায়িত্বে গোপাল, রুক্মিণী এই নতুন রূপে একেবারে মুগ্ধ হতে যায় সে। ভাপা মাংস রান্না শেখায় তারা নতুন ভিডিওতে। রুক্মিণীর উদ্দেশ্যে গোপাল বলে, “এতদিন এই গ্রামে ছোটো থেকে বড় হলাম, কিন্তু তুমি এসে শিখেছো কিভাবে জন্মভূমির ঋণ শোধ করতে হয়।” এরপর ইউনিভার্সিটিতে রায়ান-পারুলের কথা কাটাকাটির মধ্যে, ঠিক সেই মুহূর্তে পুলিশ আসে।

পুলিশ এসে রায়ানকে সেদিন রাতের হামলা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয় তূর্য। পুলিশকে সেখানে দেখে তূর্য আন্দাজ করে ফেলে পারুলই তাদের ডেকেছে। পারুলকে গিয়ে তূর্য জিজ্ঞেস করলে, পারুল জানায় তাঁর মনে হয়েছে পুলিশকে সবটা জানালে আরো তাড়াতাড়ি সত্যিটা জানা সম্ভব। তূর্য মনে মনে রাগে ফেটে পড়ে আর বলে যার জন্য এসব করছে সেই পথের কাঁটা হয়ে দাড়িয়ে আছে।

তূর্য ভাবে কিভাবে সে এবার বসুপরিবারের ক্ষতি করবে। রায়ানকে সরিয়ে এবার তাঁর টার্গেট আশুতোষের ছোটো ছেলে মনোজ! এবার আর মারার নয়, আরো বড় ক্ষতি করার ফন্দি আঁটে তূর্য। সম্মানহানীকে অস্ত্র বানায় সে আর এই অস্ত্র চালাবে রায়ান এবং শিরীনের বান্ধবী শ্রীতমা। এরপর তূর্য একটা মিথ্যে ডেটিং অ্যাপে অ্যাকাউন্ট হলে মনোজের ছবি ব্যবহার করে। মিথ্যে পরিচয় এর আড়ালে শ্রীতমার শ্লী’লতা’হানির চেষ্টা করে। ইউনিভার্সিটিতে এসে শ্রীতমা কান্নায় ভেঙে পড়ে, পারুল এবার দায়িত্ব নেয় দোষীকে শাস্তি দেওয়া।

Piya Chanda