জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ধানুকে পুত্রবধূ করার প্রস্তাব দিলেন ছোটো রানী মা! রুদ্রর হাতে গোপন কাগজ, এবার কি বেরিয়ে আসছে ফুলকির জন্মের ইতিহাস? ফুলকিই কি তবে রাজমহল এস্টেটের একমাত্র রাজকন্যা?

জি বাংলার জনপ্রিয় ‘ফুলকি’ (Phulki) ধারাবাহিকের ফুলকি দাস ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখে একজন দক্ষ বক্সার হওয়ার। তার এই স্বপ্নপূরণের লড়াই আর জেদ দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাচ্ছে শুরু থেকেই। বিয়ের পর রায়চৌধুরী বাড়িতে এসে পরিবার ও স্বপ্নকে কিভাবে ফুলকি একসাথে সামলাচ্ছে সেটাই গল্পের প্রধান চমক।ধারাবাহিকে ফুলকির চরিত্রে অভিনয় করছেন দিব্যাণী মণ্ডল (Devyani Mondal), আর নায়কের ভূমিকায় রয়েছেন অভিষেক বসু (Abhishek Bose)। সাম্প্রতিক পর্বে এসেছে আরো চমক, ফুলকির অতীত এবার সবার সামনে!

আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় দুঃস্বপ্ন দেখে মাঝ রাতে চেঁচিয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ে ফুলকি। এরপর রোহিত কি স্বপ্ন দেখেছে জানতে চাইলে ফুলকি বলে স্বপ্নে সে তার মায়ের ঘুমপাড়ানি গান শুনতে পেয়েছে তারপর অনেক খুঁজেও তাঁকে দেখতে পায়নি, এই বলেই ফুলকি কাঁদতে শুরু করে। রোহিত তাঁকে বোঝায় যে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সে তাঁর মাকে নিয়ে ভাবছিল তাই এরম স্বপ্ন দেখেছে। এরপর রোহিত ফুলকিকে ঘুম পাড়িয়ে দায়।

Phulki, Zee Bangla Serial, Zee Bangla, Bengali Serial, New Episode, Upcoming Episode, Devyani Mondal, Abhishek Bose, Sudip Sarkar, Rudrarup Sanyal, ফুলকি, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, দিব্যানী মণ্ডল, অভিষেক বসু, সুদীপ সরকার, রুদ্ররূপ সান্যাল, নতুন পর্ব

পরদিন সকালে রাজবাড়ীতে দেখানো হয় ছোটো রানী খবরের কাগজে পড়ছেন এবং প্রথম পাতায় ফুলকি আর ধানুর সাক্ষাৎকারের খবর বড় বড় করে লেখা রয়েছে। সেই সময়ে সেক্রেটারি এসে জানান একটি জমিজমা সংক্রান্ত যে মামলা তাদের চলছিল সেটার শেষ শুনানিতে তাদের উকিল ভালো লাভ করতে পারেননি। রানী মার সেই মুহূর্তেই চোখ পড়ে খবরের কাগজের দিকে, যেখানে ফুলকির নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে অ্যাডভোকেট ধানসিঁড়ি রায়চৌধরীর নাম।

রানী মা সঙ্গে সঙ্গে নিজের মনে কিছু একটা পরিকল্পনা করে ফেলেন। আর সেক্রেটারিকে খবর নিতে বলেন ধানসিঁড়ি (ধানু) বিবাহিত কিনা, এবং তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে চান। অন্যদিকে সংশোধনাগারে রুদ্রের সাথে দেখা হয় অতীতে যাকে দিয়ে ফুলকির মাদুলি চুরি করিয়েছিল রুদ্র। সেই লোকটি জানায় রুদ্রর কথা মত মাদুলির ভেতরের কাগজটা পাল্টে দিলেও আসল কাগজটা এখনো তার কাছে থেকেই গেছে। এবং সেই কাগজে কিছু মন্ত্র আর জন্ম বৃত্তান্ত লেখা রয়েছে, রুদ্রকে সেটা পেতে হলে তাঁকে দশ হাজার টাকা দিতে বলে সে।

রুদ্র তাঁর কথায় রাজি হয়ে লোক মারফৎ টাকা পাঠায় সেই ব্যক্তির বাড়ি। অন্যদিকে দেখা যায় ধানুকে সবাই বিয়ে নিয়ে রাগাতে থাকে। ধানু রেগে গিয়ে সবাইকে বলে, “একদিন আমার জন্য পক্ষীরাজের ঘোড়ায় করে রাজকুমার আসবে।” জ্যাঠামশাই মজা করে ধানুর উদ্দেশ্যে বলে আজকাল তার চোখে রাজকুমার ছাড়া কেউই ধরছে না। ঠিক সেই মুহূর্তেই রাজবাড়ির সেক্রেটারির ফোন আসে এবং তিনি জানান রানী মা রায়চৌধুরী বাড়িতে সন্ধ্যে বেলায় আসতে চান দেখা করতে।

ফোন রেখে জ্যাঠামশাই এই ঘটনা সবাইকে জানাতেই, উৎসাহে ফেঁটে পড়ে ফুলকি। সে ভাবতে থাকে রূপকথা থেকে বেরিয়ে সত্যিকারের রানী আসছে তাদের বাড়ি, কিন্তু তার ভুল ভাঙে রোহিত জানায় পরিবারের দিক থেকে রাজবংশ হলেও তারা বর্তমানে ব্যবসায়ী, সম্মান দিয়ে লোকের এখনো রাজা রানী বলেই ডাকেন। জ্যাঠামশাই জানায় রানী মায়ের সেখানে খুব নাম, সবাই মাথায় করে রাখেন বর্তমানে তিনি রাজনীতিতেও নাম লিখিয়েছেন।

আর সেই সুবাদেই রুদ্র অনেকবার সেখানে আর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় এবং সবাইকে এসে বলে রানী মা সামনে থেকে এক পেছন থেকে আরেক। এরপর রানী মা এসে ধানুর সাথে নিজের ছেলের বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আশীর্বাদ স্বরূপ একটা দামী সোনার হার গলায় পড়িয়ে দেয়। ধানু লজ্জায় নিজের ঘরে চলে আসে, ফুলকি এসে বলে দেখতে যেতে কত জিনিস এসেছে তার হবু শশুরবাড়ি থেকে। এই কথা শুনে ধানু অজ্ঞান হয়ে যায়। অন্যদিকে কাগজটা হাতে পেতে রুদ্র জেনে যায় রাজমহল এস্টেটের একমাত্র রাজকন্যা ফুলকি! এবার কি ফুলকি ফিরে পাবে তার হারানো মাকে?

Piya Chanda