জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

কাশ্মীরে ২৬ জন হিন্দুর মৃ’ত্যুতে আর চুপ করে থাকলেন না অরিজিৎ সিং! হিন্দু হ’ত্যার প্রতিবাদে অরিজিৎ- এর চরম পদক্ষেপ, যা ভাবেনি কেউ!

কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ২২ তারিখ ঘটে যাওয়া র’ক্তাক্ত সন্ত্রা’সবা’দী হাম’লা কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বের হিন্দুদের। নির্দোষ হিন্দুদের উপর হাম’লার নির্মমতা যেন মনে করিয়ে দিল সেই ১৯৮৯ সালের বিভীষিকার দিনগুলো, যখন ধর্মীয় পরিচয়ই কাশ্মীরে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াত। ঠিক সেই আবহেই, দেশের এই শোকের মুহূর্তে এক ব্যতিক্রম প্রতিবাদের দৃষ্টান্ত সামনে রাখলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিংহ। এই মাটির শিল্পী হিসেবে শুধু গান নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতাকেও গুরুত্ব দেন সব সময়েই।

আর তার এই ব্যতিক্রমী প্রতিবাদী সত্তার ঝলক আমরা দেখেছি আর জি কর মেডিকেল কলেজে তিলোত্তমা কাণ্ডে—’আর কবে’ গান প্রকাশের মাধ্যমে। অতীতেও মঞ্চে বহুবার গান গাওয়ার সময় কোন দর্শক টাকা ছুড়ে দিলে, করা ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছে টাকার মূল্য। আর এবার সমগ্র দেশের এই পরিস্থিতিতে নিয়ে ফেললেন চরম সিদ্ধান্ত। আগামী ২৭ এপ্রিল চেন্নাই শহরে তাঁর একটি মেগা কনসার্টের আয়োজন ছিল। গোটা শহরের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সেই সন্ধ্যার জন্য।

তবে, পহেলগাঁওতে হিন্দুদের কাছে হাম’লার র’ক্তাক্ত বাস্তবতা যেন সব আনন্দ মুছে দিয়েছে অরিজিৎ-এর মন থেকে। দেশ যখন শোকে মুহ্যমান, তখন আনন্দ-উৎসব পালন করা তাঁর কাছে অমানবিক মনে হয়েছে। তাই সংবেদনশীলতার নজির গড়ে তিনি নিজেই এই কনসার্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলেন। শুধু অরিজিৎ নন, কনসার্টের আয়োজকরাও একসঙ্গে এই সিদ্ধান্তে অটল।

আয়োজকদের তরফ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘বর্তমানে দেশের এই পরিস্থিতিতে এমন কোনও অনুষ্ঠান করা উচিৎ হবে না বলেই তাঁরা মনে করছেন। তাই কনসার্ট পুরোপুরি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।’ সেই সঙ্গে সমস্ত দর্শকের টিকিটের টাকা সরাসরি তাঁদের অ্যাকাউন্টে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। একটিও পয়সা কাটা হবে না—এই কথা জানিয়েছে অরিজিৎ।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অরিজিৎ যেন সমাজের বাকি ‘সেলিব্রিটি’দের উদ্দেশে এক নীরব প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন—কীভাবে ব্যক্তিগত শোক, আবেগ বা কাজ নিয়ে ডুবে থাকা যায়, যখন দেশজুড়ে একের পর এক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে ধর্মীয় বিদ্বেষের বলি হয়ে? যখন কিছু তথাকথিত ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ নিজেদের গাড়ি বিক্রির ঘটনাকে ঘিরে সমাজ মাধ্যমে কান্নাকাটি করছেন, তখন একজন শিল্পী তাঁর কণ্ঠকে সাময়িক থামিয়ে দেশের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এটাই কি সত্যিকারের শিল্পী বা ইনফ্লুয়েন্সারের পরিচয় নয়?

Piya Chanda