জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

তুর্যের সাজানো প্ল্যানেই দোষী প্রমাণিত মনোজিত! শেষ পর্যন্ত শ্রীতমার বয়ানেই পাল্টে গেল খেলা! বসু পরিবারের সম্মান রক্ষা করতে একজোট হচ্ছে পারুল-রায়ান!

জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) ধারাবাহিকে গ্রামের মেয়ে পারুল নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য কলকাতায় আসে এবং ইউনিভার্সিটিতে রায়ানের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। ভাগ্যের খেলায় তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের চেয়ে তাদের মধ্যে দূরত্বই বেশি। রায়ানের জীবনে আগেই ছিল প্রেমিকা শিরীনের উপস্থিতি, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। এই টানাপোড়েনের মাঝে হঠাৎই আবির্ভাব ঘটে এক রহস্যময় ব্যক্তির, যে রায়ানের প্রাণনাশের চেষ্টা করে। কে এই অজানা শত্রু—তা নিয়েই জমে উঠেছে গল্পের নতুন মোড়।

আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পুলিশ মনোজিতকে গ্রেপ্তার করেছে আর রায়ান কিছুতেই বোঝাতে পারছে না যে কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। রায়ানের বন্ধুরাও এবার মনোজিতকেই দোষী ভাবতে শুরু করে। মনোজিত বলে যে সে তাঁর ভাইজি রাকার ফোন পেয়ে এখানে তাকে উদ্ধার করতে এসেছেন, একটি অচেনা নম্বর দিয়ে তাঁর কাছে ফোন আসে সেখানেই এই হোটেলে আসতে বলা হয়। পুলিশ ফোন চেক করে কোনও অচেনা নম্বর পায়না তারপর রাকাকে ফোন করতেই রাকাও জানায় সে ফোন করেনি বরং সে কলেজে রয়েছে।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

এরপর আর কোনও কথা শুনতে চান না পুলিশরা মনোজিতকে থানায় নিয়ে যান। রায়ান কি করবে বুঝতে না পেরে পারুলকে ফোন করে সবটা জানায়, পারুল দাদুকে জানাতেই তিনি ভেঙে পড়েন এরপর দাদু, পারুল আর পরিতোষ মিলে থানায় যায়। অন্যদিকে বসু বাড়িতে এই খবর জানাজানি হতেই ঠাম্মি অজ্ঞান হয়ে যায় আর মনোজিতের স্ত্রী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। থানায় গিয়ে পারুল বারবার বলে কোথাও একটা ভুল হচ্ছে, কেউ কাকাকে ফাঁসাতে চেষ্টা করছে কিন্তু পুলিশ মানেন না।

পুলিশ উল্টে জানায় মনোজিতের ফোন ওই ফেক প্রোফাইল আর সেটা দিয়ে করা সমস্ত কথোপকথন এর অস্তিত্ব মিলেছে। সেই সূত্রে পুলিশ জানতে চায় আগের দিন বারোটার সময় তিনি কোথায় ছিলেন যখন শ্রীতমার সাথে ঘটনা টা ঘটে, মনোজিত বলে সে দোকানে ছিলো।

আশুতোষ বসু মনে দাদু নিজে দায়িত্ব নিয়ে বলেন যে গতকাল সারাদিন মনোজিত তাঁদের সঙ্গেই ছিল। পুলিশ উল্টে বলে নিজের ছেলেকে বাঁচাতে তিনি মিথ্যে বলছেন, এই কথা শুনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন দাদু।

পারুল রায়ানকে বলে ডিকে কে খু’নের মামলায় যে পুলিশি কর্তা তাঁদের সাহায্য করেছিলেন তাঁকে খবর দিতে। এদিকে মনোজিতের ফোনে সোনার দোকানের সিসি টিভি ফুটেজ আগের দিনের দুপুরের ফুটেজ পাওয়া যায়না। পুলিশ এবার আর কোনও কথা শুনতে চান না, ঠিক এমন সময় ওই পুলিশি আধিকারিককে নিয়ে হাজির হয় রায়ান। তিনি বলেন মনোজিতকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে কারণ বেশ কিছুদিন ধরে বসু পরিবারের উপর কেউ একটা হামলা করছে। পারুল বলে হয়তো কাকার ফোন হ্যাক হয়েছে।

মনোজিত জানায় দুই দিন আগে দোকানে একজন বয়স্ক ব্যক্তি এসে ফোন চায় বাড়িতে ফোন করে কি গয়না কিনবে সেটা জানতে, মনোজিত ফোনটা দিয়ে ভেতর থেকে গয়না নিয়ে এসে দেখেন ওই ব্যাক্তি নেই। সেই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান পুলিশ কিন্তু এবারও সেই ফুটেজ আশ্চর্যজনক ভাবে গায়েব হয়ে যায়। কোথাও কোনও প্রমাণ না পেয়ে শ্রীতমাকে দেকে পাঠায় পুলিশ। শ্রীতমা মনোজিতকে দেখে চিহ্নিত করে যে সেই ওই ব্যক্তি যে তাঁকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছে। বসু বাড়ির সন্মান বাঁচাতে কি এবার এক হবে পারুল আর রায়ান? তূর্য কি এবার ধরা পড়বে?

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page