স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক
‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihoprobesh) -এ গল্পের নতুন মোড়! অবশেষে মোহনা জানতে পারে, এতদিনের সঙ্গী ‘আয়ান’ আসলে শুভর স্বামী ‘আদৃত’। শুভর সামনে এসে দাঁড়াতেই আয়ানের আসল পরিচয় সামনে আসে। যাকে ঘিরে নিজের জীবনের নতুন গল্প বুনছিল মোহনা, সে এখন আদৃত হয়ে ফিরে যায় শুভর কাছে। রায় বাড়িতে ফিরলেও আদৃতের স্মৃতি এখনও পুরোপুরি ফেরেনি। একদিকে শুভ, অন্যদিকে মোহনা— এই টানাপোড়েনের মধ্যে আদৃত নিজেও নিজের স্মৃতিশক্তি ফিরে পাওয়া নিয়ে দোটানায়।
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় মোহনা অদৃতের সিদ্ধান্তে একদম খুশি নয়, সে মনে মনে ভাবে এবার যদি আয়ানের সব মনে পরে যায় যে সে আসলে আদৃত শুভর স্বামী তাহলে তো তাকে একেবারেই দূরে ঠেলে দেবে! মোহনা সিদ্ধান্ত নেয় ফোন করে অদৃতকে বোঝাবে যেন এমনটা না করে। অন্যদিকে শুভকে জড়িয়ে ধরে আদৃত বলে, তাঁর স্মৃতি ফেরেনি তবে শুভর চোখের দিকে তাকালেই কেমন যেন তাঁর একটা অনুভুতি হয় আর এটা নিঃসন্দেহে ভালোবাসার অনুভূতি।

আদৃতকে আবার আগের মতন কাছে পেয়ে শুভ আনন্দে ভরে ওঠে, দুজনের মধ্যে এক স্নিগ্ধ ভালোবাসার মুহূর্ত তৈরী হয়। আর ঠিক তখনই আদৃতের ফোন বেজে ওঠে। মোহনা ফোন করেছে দেখে আদৃত সেটা তুলতেই মোহনা বলে সে যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছে সেটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তার স্মৃতি একদিন নিশ্চয়ই ফিরবে কিন্তু এমন ভাবে ফেরাতে গেলে হিতে বিপরীত হবে। মোহনা এবার শুভকে সরাসরি আক্রমণ করে বলে, “নিশ্চয়ই এই বুদ্ধি শুভর, এতে কোনও লাভ হবে না উল্টে ক্ষতি হবে!”
আদৃত এবার কড়া ভাষায় মোহনাকে বুঝিয়ে দেয় যে এই সিদ্ধান্ত সে নিজের থেকেই নিয়েছে, আর শুভ তাঁর স্ত্রী তাই তাকে নিয়ে চিন্তা করাটা তার মানায়, মোহনার নয়। এরপর দেখা যায় শুভ আদৃতের ব্যাগ গুছিয়ে দিচ্ছে যেমনটা আগের বার দিয়েছিল, আর এটা দেখেই আদৃতের পুরনো স্মৃতি মনে পরতে থাকে। শুভ আদৃতকে বলে একদম চিন্তা করতে না, খুব তাড়াতড়িই তাঁর সব আবার মনে পড়ে যাবে। এরপর বাড়ির সবাই আদৃতকে আশীর্বাদ করতে থাকেন।
সেবন্তী আদৃতকে বলে, ” আদি এবার কোনও বিপদ হবে না দেখিস। এবার তুই যখন ফিরবি তখন আমাদের আদি হয়েই ফিরবি।” আদৃত বেরোনোর আগে শুভকে বলে যায় যে তাদের চ্যাম্প এর খেয়াল রাখতে আর দুশ্চিন্তা না করতে। অন্যদিকে মোহনাও নিজের ব্যাগ গোছাতে থাকে দেশে ফিরবে বলে। আকাশ মোহনাকে বলে একা একা হঠাৎ দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত কেন নিল সে, মোহনা জানায় দেশে ফিরতেই হবে কারণ হাসপাতালে এখন তাকে প্রয়োজন। আকাশের কিছুটা অস্বাভাবিক লাগে, মোহনার আচরণ।
মনে মনে সে ভাবে এতদিন যখন বারবার করে কাজে ফেরার কথা বলেছে মোহনাকে সে নাকচ করে দিয়েছে তাহলে হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন নিল। এদিকে শুভও নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে নিচে আসতে দেখে সবাই হতবাক হয়ে যায়। সেবন্তী জিজ্ঞেস করতেই শুভ বলে, “আমি বুকে পাথর চাপা দিয়ে আদৃতকে যেতে দিয়েছি ঠিকই, কিন্তু আগের বার ঠিক কি ঘটেছিল সেইটা না দেখে আমি শান্তি পাচ্ছি না সেই জন্য আমাকে যেতেই হবে।” কেউ আর তাঁকে বাধা দেয় না। দেশে ফিরতেই আদৃতকে ডাক্তার আগের বারের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ তুর্যের সাজানো প্ল্যানেই দোষী প্রমাণিত মনোজিত! শেষ পর্যন্ত শ্রীতমার বয়ানেই পাল্টে গেল খেলা! বসু পরিবারের সম্মান রক্ষা করতে একজোট হচ্ছে পারুল-রায়ান!
ঠিক যেখানে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেখানে নিয়ে গিয়ে আদৃতকে তিনি বলেন দুর্ঘটনার পর আদৃতের কিছু মনে আছে কিনা। আদৃত জানায় তাঁর মনে আছে কেউ একটা মাথার পেছনে আঘাত করেছিল আর মোহনাও তাকে বলেছিল যে মাথার পেছনে গভীর ক্ষত ছিল তার। কি বা কারা মেরেছে? এই বিষয় নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। ডাক্তার এবার আদৃতকে বলেন কোনও চিন্তা করতে না শুধু আগের মতন ঘটনাটা ঘটবে আর তাঁকে মনে করার চেষ্টা করতে হবে। আদৃতের কি এবার মনে পড়বে হারানো স্মৃতি? কে তাকে মারতে চেয়েছিল সেই রহস্যের পর্দাও কি এবার উঠবে?