জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) তে পারুলের জীবনে নতুন বিপদ। একদিকে রায়ানের কাকা মনোজিতকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে অন্যদিকে শ্রীতমার মিথ্যে বয়ানের পেছনের রহস্যে, সবটা মিলিয়ে এখন টানটান উত্তেজনা। নিজেদের পরিবারের সম্মান রক্ষা করতে এবার একজোট হচ্ছে পারুল আর রায়ান। তাঁরা দুজনে পারবে তো আসল সত্য উদঘাটন করতে? তূর্য কি এবার ধরা পড়ে যাবে?
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় একের পর এক তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়ে গেছে যা দিয়ে মনোজিতকে নির্দোষ প্রমাণ করা যায়। পুলিশ পরামর্শ দেয় যে অভিযোগকারী যদি নিজে এসে বয়ান দেয় যে এই ব্যক্তির সঙ্গে অভিযুক্তের কোনও মিল নেই তাহলেই একমাত্র মনোজিতকে নির্দোষ প্রমাণ করা যাবে। সেই মতন শ্রীতমাকে পুলিশ ডেকে পাঠায়, শ্রীতমা এসে বলে মনোজিতই সেই ব্যক্তি যে শ্রীতমাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছে।

পারুল আর রায়ান বলে শ্রীতমা মিথ্যে বলছে, কারণ যেদিন ওর সাথে ঘটনা টা ঘটে সেদিন শ্রীতমা জানিয়েছিল যে ওই ব্যক্তিকে দেখেনি আর কোনও ভাবেই সনাক্ত করতে পারবে না। পুলিশ বলে অভিযোগকারী যখন নিজের মুখে এই কথা বলছে তখন আর কিছু করার নেই। এরপর মনোজিতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ আর এইসব মানসিক আঘাত থেকে আশুতোষ বসু অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অন্যদিকে রুক্মিণী শ্বশুরবাড়িতে এই খবরটা চলে যায়। তাঁকে শাশুড়ি থেকে শুরু করে ননদ সবাই কাকার চরিত্র নিয়ে নানান কথা শোনার। কান্নায় ভেঙে পড়ে রুক্মিণী, সে তাড়াতাড়ি করে কলকাতায় বাড়িতে ফিরে আসে। কলকাতায় বসু বাড়িতে মনোজিতের স্ত্রী বারবার অভিযোগ করতে থাকে তার স্বামী এই কাজ করতে পারে এই নিয়ে তার সন্দেহ নেই কারণ সে বিয়ের পর থেকে তাকে ঠকিয়েই এসেছে।
এত কিছুর মধ্যে বাড়ির পরিস্থিতি যখন অত্যন্ত খারাপ প্রতিবেশীরা এসে আরও খারাপ করে তোলার চেষ্টা করে সম্মান ও চরিত্র নিয়ে কথা তুলে। পারুল রায়ানকে জানতে চায় ঘটনায় শুধু পুলিশের থাকার কথা ছিল মিডিয়াকে খবর কে দিয়েছে, রায়ান বলে শিরীন এই খবর দিয়েছে। পারুল রায়ানকে বলে সে যেই বন্ধুদের নিয়ে গর্ব করে সেই বন্ধুরাই আজ তার ক্ষতি করেছে। শ্রীতমা জেনেশুনে একটা মিথ্যে কথা বলে এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
অন্যদিকে দেখা যায় তূর্য শ্রীমাকে দিয়ে মিথ্যে বয়ান দেওয়াতে তার প্রেমিককে অপহরণ করে নিজের কাছে রেখেছে। তূর্য চায় শ্রীতমা কে হাতিয়ার করে বসু পরিবারকে রাস্তায় দাঁড় করাবে। একদিকে রায়ান আর পারুল শ্রীতমার বাড়ি যায় কেন সে মিথ্যে বলল সেই কথা যাচাই করতে। শ্রীতমা তখনও মিথ্যে বলে চলে, পারুল আর সহ্য না করতে পেরে শ্রীতমাকে বিশ্বাসঘাতক বলে একটা চড় মারে।
আরও পড়ুনঃ ‘শিবু গুন্ডা’র নাম উঠে এলো পুলিশি তদন্তে! ছোট রানী কি সত্যিই লুকিয়ে রেখেছেন ভয়ঙ্কর কোনও সত্যি? ফুলকি কি খুজেঁ পাবে নিজের বাবাকে?
তূর্য শ্রীতমার প্রেমিককে শ্রীতমার ক্ষতি করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বাড়িতে ফোন করে বলতে বলে যে সে বন্ধুদের সাথে কিছুদিনের জন্যে দিল্লি এসেছে। এরপর সে অন্যকথা বলতে গেলে তূর্য তাকে হুমকি দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়। পারুল আর রায়ান কি পারবে কাকাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে? কেনই বা শ্রীতমা মিথ্যে বলছে সেটাও কি পারুল বের করতে পারবে?