জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) তে এবার পর্দা উঠতে চলেছে ফুলকির অতীতের থেকে। একদিকে রাজবাড়িতে ধানুর বিয়ে ঠিক হয় আদিত্য নারায়ণ এর সঙ্গে, অন্যদিকে ওই রাজবাড়ির বড় রানী কে দেখে ফুলকি নিজের মায়ের সদৃশ পায়। ওই রাজবাড়ির অন্দরে লুকিয়ে ভয়ঙ্কর অতীত। আবার সংশোধনাগারে থাকা রুদ্র জানতে পারে ফুলকি ওই রাজবাড়ির উত্তরাধিকারী। এবার আবার ফুলকির বাবাও নিখোঁজ, সব মিলিয়ে টানটান পর্বের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে এই ধারাবাহিক।
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ফুলকিরা মিলে থানায় যায়, ফুলকির বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মিসিং ডাইরি করতে। কিন্তু সেখানকার পুলিশ তাঁদের কথায় গুরুত্বই দায় না, বরং বলে রানী মায়ের এলাকায় আজ পর্যন্ত এমন ঘটনা আগে ঘটেনি তাই এটাতে ফুলকির বাবার নিজের দোষ রয়েছে। পুলিশ বলে, “দেখুন খোঁজ নিয়ে কোথাও নেশা করে পড়ে আছে হয়ত, আর এসব ছোটখাটো ব্যাপার।” ঠিক সেই সময়ে ছোট রানী সেখানে আসেন সঙ্গে করে একজন আইপিএস অফিসারকে নিয়ে আর জানান তিনিই ফুলকির বাবার কেসে সাহায্য করবে।

রানী মা পুলিশকে জানিয়ে দায় যে এটা ছোটখাটো ব্যাপার নয়, বরং ফুলকিরা তাঁদের আত্মীয় তাই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বাবাকে খুঁজে দিতে হবে। ফুলকি পুলিশকে সব জানিয়ে কিছুটা আশ্বস্ত হয়ে বাড়ি ফেরে। অন্যদিকে রুদ্রকে জেল থেকে বের করতে তাঁর বোন একজন নাম করা উকিলের সঙ্গে দেখা করায়। সেই উকিল পরামর্শ দেয় হাই কোর্টে পাল্টা মামলা করতে হবে আর সবচেয়ে বড় প্রমাণ ওই সিসিটিভি ফুটেজটা, ওটাকে নকল প্রমাণ করতে হবে।
উকিল রুদ্রকে জানায় খুব তাড়াতড়ি সে মুক্তি পাবে, এরপর রুদ্রকে বলতে শোনা যায় যে সে একবার ছাড়া পেলেই সবার সাথে বদলা নেবে। আবার রাজবাড়িতে ছোট রানীকে ভীষণ উদ্বিগ্ন দেখায় নতুন আইপিএস অফিসারের তৎপরতা নিয়ে। তিনি ম্যানেজারকে বলেন অফিসারকে বুঝিয়ে দিতে যে বেশি বাড়াবাড়ি যেন না কে নইলে বিপদ আছে। সেই মতন তিনি অফিসারকে ফোন করে জানান ফুলকির বাবাকে নিয়ে আর তদন্ত না করতে।
বাড়িতে ফুলকি খুব দুশ্চিন্তা করতে থাকে কি হবে ভেবে, লাবণ্য এসে ফুলকিকে খাইয়ে দেয় আর বলে রানী মা যখন স্বয়ং দায়িত্ব নিয়েছেন তখন কোনও চিন্তা নেই কিছু একটা সুরাহা হবেই। ঠিক তখনই ধনু এসে জানায় রুদ্র হাই কোর্টে মামলা করেছে একজন বড় উকিলের মারফৎ আর যদি জিতে কোনও ভাবে বেরিয়ে আসে তাহলে কাউকে ছাড়বে না। ফুলকি বলে সেও লড়বে যতবার রুদ্র লড়তে চাইবে। ধানু বলে সে প্রস্তুতি নিচ্ছে কিন্তু লাবণ্য বলে এখন সামনেই বিয়ে তাই এসবে জড়াতে না বরং তাঁরা আরো বড় উকিল জোগাড় করবে।
আরও পড়ুনঃ জুড়তে না জুড়তেই ভাঙার শব্দ! টলিপাড়ায় ফের সম্পর্ক ভাঙনের গুঞ্জন! আলাদা পথেই হাঁটছেন রাজদীপ-তন্বী?
অন্যদিকে থানায় রাতভোর তদন্ত করে আইপিএস অফিসার জানতে পারেন গত দশ বারো বছরে অনেক লোক এমনভাবেই উধাও হয়ে গেছে কিন্তু কোনও তথ্য নেই। অবশেষে ফুলকিকে ডেকে পাঠান তিনি। ফুলকিকে তিনি জানান কয়েকবছর ধরেই এখানে অনেক মানুষ নিখোঁজ হয়েছে আর যার নাম এর পেছনে উঠে আসছে সে একজন গুন্ডা, যার নাম শিবু গুন্ডা। ফুলকি বলে সে যেখান থেকেই হোক ওই শিবু গুন্ডাকে খুঁজে বের করবেই। ফুলকি কি খুজেঁ পাবে বাবাকে? রাজবাড়িতেই বা লুকিয়ে কোন সত্য? রানী মা কি কোনও অপরাধী?