‘যে সয়, সে রয়’ কথাটা নিশ্চয়ই শুনেছেন অনেকে। অর্থাৎ জীবনে কিছু সহ্য করতে পারলেই মানুষ সাফল্য অর্জন করতে পারে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সেই সহ্যই যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় তাহলে তা বেশ মাঝেমধ্যে যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষত বিনোদন জগতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেই থাকে।
টলিউড ইন্ডাস্ট্রির ছোটপর্দার অন্যতম পরিচিত মুখ হলেন মিশমি দাস। বর্তমানে, এই অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে জি বাংলার ‘ফুলকি’ এবং ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে। প্রাথমিকভাবে অভিনেত্রীকে সিরিয়াল প্রেমীরা নায়িকার রূপে দেখলেও এখন তাকে দেখা যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব চরিত্রে।
তবে অভিনেত্রীর এমন পরিবর্তন দেখে অবাক অনেকেই। নায়িকা থেকে সোজা হঠাৎ পার্শ্ব চরিত্রে, কিন্তু কেন? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অভিনেত্রী বলেছেন, তিনি নিজের ইচ্ছাতেই নায়িকার চরিত্র থেকে সরে এসেছেন। কারণ, যে সময় তিনি ধারাবাহিককে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিলেন সেই সময় এক এক দিনে একটানা ২২ কিংবা ২৩ ঘন্টা ধরে কাজ করতে হত। আর এই চাপই সহ্য করতে পারতেন না মিশমি।
নায়িকার চরিত্রে অত্যাধিক চাপ থাকার কারণে বাধ্য হয়েই পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করতে শুরু করেন অভিনেত্রী। যখন মিশমি পাশে চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন তখন বেশ অনেক দর্শকেরাই অবাক হয়েছিলেন। আর, এই কারণের জন্যই অনেক পরিচালকেরা তাকে দেখলেই নেতিবাচক মন্তব্য করেন।
এই বিষয় নিয়ে আক্ষেপের সুরে মিশমি জানিয়েছেন, “প্রধান চরিত্রের জন্য প্রায় ২২/২৩ ঘন্টা কাজ করতে হত। সেটা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। তাই নায়িকার চরিত্র থেকে সরে এসেছিলাম। এটাই আমার বোধহয় সব থেকে বড় ভুল হয়েছিল। এখন আফসোস একটাই, ইন্ডাস্ট্রি আমাকে টাইপকাস্ট করে নিচ্ছে। আমাকে দেখলে এখন তাদের নেতিবাচক চরিত্রের কথাই মনে পড়ে”।
আরও পড়ুনঃ ‘সে এখন অন্য কারও স্ত্রী, আমার সঙ্গে এখন নাম না জড়ালেই ভালো’—শার্লির নতুন জীবনে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কি পোস্ট করলেন দীর্ঘ সাত বছরের প্রাক্তন প্রেমিক মৃত্যুঞ্জয়?
প্রসঙ্গত অভিনেত্রীকে দেখা গেছে ‘রাজযোটক’, ‘প্রেমের ফাঁদে’, ‘গাছকৌটো’র মত জনপ্রিয় সিরিয়ালে। নায়িকা রূপে অভিনেত্রী একের পর এক হিট ধারাবাহিক উপহার দিয়েছিলেন বাংলার দর্শকদের। তবে, এখন সব ইচ্ছায় সেই জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন বলে আফসোস হয় মিশমির।