জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রায়ান নিজের মনের সঙ্গেই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। তাঁর মন তাঁকে বলে, সে পারুলকে ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু রায়ান কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না। এদিকে পারুলকে উদ্ধার করার সেই মুহূর্তগুলো কিছুতেই মাথা থেকে বের করতে পারে না মন তাঁকে বলে, পারুলকে গিয়ে ভালোবাসার কথা জানাতে।
রায়ান ভাবে এত তাড়াতাড়ি বলা কি সত্যিই উচিত হবে, কিন্তু না বললেও সে এই ভার বইতে পারছে না। সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় রায়ান যে পারুলকে নিজের ভালোলাগার কথাটা জানিয়ে দেবে। এদিকে পারুলদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। পারুলকে গিয়ে রায়ান একটা জলের বোতল দিয়ে বলে, অনেকক্ষণ ধরে সে চিৎকার করে যাচ্ছে তাই এই জলটা তাঁর প্রয়োজন।

রায়ানের এই দায়িত্ববোধ দেখে পারুলেরও ভালোলাগে। সাংবাদিকদের সামনে সবাই প্রতিবাদ স্লোগান দিচ্ছে এমন সময় রায়ান পারুলকে জরুরি কথা আছে বলে সেখান থেকে নিয়ে যায়। ঠিক যখন রায়ান নিজের মনের কথা বলতে যাবে, লক্ষ্য করে আন্দোলনের জায়গায় অন্ধকার হয়ে গেছে। হঠাৎ করেই চিৎকারের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তাঁরা গিয়ে দেখতে পায় পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিচার্জ করছে।
পারুল কোনও রকম ভয় না পেয়ে সাহসের সঙ্গে সমস্ত কিছুর মোকাবেলা করে, পুলিশ ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায়। ঠিক তারপরেই একদল গুন্ডারা এসে আচমকাই মারধর করতে শুরু করে। রায়ান পারুলকে সবকিছু থেকে আগলে রাখে, পারুলকে মারতে এলে সেই মার সে নিজে খায়। টিভিতে এইসব সম্প্রচার হতে দেখে গোপাল আর রুক্মিনীও নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা, পারুলের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে বসু বাড়িতেও টিভিতে এইসব দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে সবাই। দাদু বলেন অনেক হয়েছে এবার তিনি নিজে গিয়ে পরুলদের ফিরিয়ে আনবেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই সবাই দেখতে পান আন্দোলনকারীদের কারোর মাথা ফেটে গেছে, হাত-পা ভেঙে গেছে। দাদু সবাইকে বাড়ি ফিরে যেতে বললে পারুল আপত্তি করে জানায় একবার যখন পথে নেমেছে, বিচার না নিয়ে বাড়ি ফিরবে না। রায়ান, রাকা আর মল্লার সবাই পারুলের পাশে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুনঃ ‘প্রেমে কষ্ট পেলে সরে আসাই ভালো’, সম্পর্ক নিয়ে সাহসী মন্তব্য দিব্যানী মণ্ডল ওরফে ফুলকির!
ঘটনাস্থলে ইউনিভার্সিটির প্রিন্সিপাল এসে পৌঁছান। তিনি জানিয়ে দেন একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে যখন এত চরমের রূপ দেওয়া হয়েছে, তিনিও এবার পথে নামবেন ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে। সকাল হতেই দেখা যায়, আবার পুলিশ আন্দোলন ভঙ্গ করার জন্য বিভিন্ন রকম ধোয়া ব্যবহার করতে থাকে। পারুল বলে যেমন আচমকাই তাদের উপর হাম’লা হয়েছে, তারাও এবার আচমকাই পুলিশ স্টেশন ঘেরাও করবে।