জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ফুলকি ডিএনএ টেস্টের কথা ভাবতে থাকে। ফুলকি ভাবে যে যত তাড়াতাড়ি রক্তের নমুনা পাওয়া যাবে, তত তাড়াতাড়ি জানা যাবে রানী মা তার জন্মদাত্রী মা কিনা। রোহিতের মা ফুলকিকে বলে এই বিষয়ে বেশি মাথা না ঘামাতে, ধানুর সংসারে এর আঘাত পড়বে। ফুলকি জানিয়ে দেয়, মা কালীর নির্দেশকে সে ব্যর্থ যেতে দেবে না।
ঠিক তখনই ছোট রানী, ইন্দ্র কিছু লোকজন নিয়ে রায়চৌধুরী বাড়িতে উপস্থিত হন। ফুলকির উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন বড় রানীর সঙ্গে সে এমন বিশ্বাসঘাতকতা করল। কেউ কিছুই বুঝতে পারে না, ছোট রানী বলেন ফুলকি চক্রান্ত করে বড় রানীকে দিয়ে তার সমস্ত সম্পত্তি লিখে নিয়েছে। মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙে পড়ে ফুলকির, কেউ বিশ্বাস করতে চায় না কারণ ফুলকি তাদের সঙ্গেই ছিল সর্বক্ষণ।
ছোট রানী বলেন বাড়ি খুঁজে দেখা হবে, তাতে সবাই রাজি ও হয়ে যায় কারণ তারা জানে বাড়ি থেকে কিছু পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে ছোট রানী লোক দিয়ে আগে থেকেই ফুলকির ব্যাগে সম্পত্তি হস্তান্তরের কাগজ লুকিয়ে রেখেছিলেন। যথারীতি ফুলকির ঘরে খুঁজতে গিয়ে তার ব্যাগ থেকে সেই কাগজ উদ্ধার হয়। সেই কাগজ নিচে এনে ইন্দ্র সবার সামনে ফুলকিকে ছোট বড় কথা শোনাতে থাকে, কেউ কিছুই বলতে পারেনা এই বিষয়ে।
ছোট রানী সেখান থেকে চলে যেতেই, ফুলকি বড় রানীর সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে রাজবাড়ি ছুটে যায়। বড় রানীর ঘরে ঢুকতে গেলেই তিনি বাধা দেন আর বলেন কোনদিনও তার চোখের সামনে না আসতে। বড় রানীর মুখ থেকে এমন কথায় ফুলকি ভেঙে পড়ে, রোহিত তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে ছোট রানীর মিথ্যে কথায় বিষিয়ে গেছে বড় রানীর মন। না হলে বড় রানী এমন ব্যবহার করেন না।
একদিকে ক্ষোভ অন্যদিকে কষ্টে, ফুলকি ছোট রানীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেয়। ফুলকি বলে তার মত পেছন থেকে চুরির আঘাত নয়, সামনে থেকেই গুনে গুনে গোল দেবে তাকে। এরপর দেখা যায় স্বাগতা ম্যাডামের কাছে গিয়ে ফুলকি-রোহিত সমস্ত কিছু খুলে বলে। স্বাগতা ম্যাডাম জানায়, ছোট রানী অনেক বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেমন বেআইনি অস্ত্র পাচার থেকে মানুষ পাচার।
আরও পড়ুনঃ বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্তে অটল পারুল! দাদু-ঠাকুমার ফন্দিতে বিচ্ছেদ থামল পারুল-রায়ানের! ঠাকুমার অসুস্থতা কি পারুল-রায়ানকে ফের কাছাকাছি আনবে?
কিন্তু প্রশাসনের কেউ কিছু করতে পারছে না ক্ষমতা হারানোর ভয়। ফুলকি জানিয়ে দেয় এইবার ছোট রানীর বিচার সে নিজেই করবে। ফুলকি রাজবাড়িতে গিয়ে ঘোষণা করে দেয়, সে-ই এখন রাজবাড়ির মালকীন। ছোট রানীকে চ্যালেঞ্জ করে বলে, সে এবার প্রমাণ করে দেবে যে বড় রানীই তাঁর মা আর এই এস্টেটের উত্তরাধিকারী একমাত্র সে। এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।
