জি বাংলার ‘পরিণীতা’তে (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পারুল-রায়ান ঠাকুমার এই মিথ্যে অসুস্থতার নাটকে যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় পড়েছে। রায়ান বলে, এভাবে তাঁরা আলাদা হতে পারবে না। কারণ বাড়ির লোকেরা তাঁদের দুর্বলতার জায়গাটা জানে, তাই বারবার এমন কিছু নাটক করে ঠিক বিচ্ছেদটা আটকে দেবে। পারুল জানতে চায়, তাহলে উপায় কি এই যাঁতাকল থেকে বেরোনোর?
রায়ান বলে, তাদের কাউকে না জানিয়েই ডিভোর্সটা করতে হবে। বাড়ির কেউ যেন একটুও আন্দাজ না করতে পারে। এরপর দুজনে মিলে ঠিক করে একজন উকিলের কাছে যাবে। আর এদিকে ন্যাড়া গোয়ালে রুক্মিণীর বন্ধুরা এসে উপস্থিত হয়েছে। এতদিন বাদে বন্ধুদের দেখে সে আবেগ ধরে রাখতে পারে না, বিশেষ করে নিবিড়কে দেখে। আনন্দে সে জড়িয়ে ধীরে নিবিড়কে।

এমন সময়ে সেখানে গোপালের মা, কাকিমা আর ভাদু এসে অপ্রস্তুত হয়ে পর। গোপালের মায়ের মোটেই পছন্দ হয় না রুক্মিণী যেভাবে গায়ে পড়ে বন্ধুত্ব দেখাচ্ছে। রুক্মিণীর বন্ধুরা বিশ্বাস করতে পারে না, যে মেয়েটা এতো প্রতিভাবান ছিল সে কিনা একটা গ্রামে এসে সব ভুলে ঘরোয়া জীবন কাটাচ্ছে। রুক্মিণী বলে, এই গ্রামটা তাঁকে নতুন করে জীবনকে দেখতে শিখিয়েছে আর গোপাল সবার থেকে আলাদা, সে সব সময় তাঁর পাশে থেকেছে।
রুক্মিণী বন্ধুদের জানায় যে গ্রামে মহিলাদের নিয়ে সে একটা শাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছে আর তাঁদের শাড়ি গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বন্ধুরা জেদ করলে রুক্মিণী সেখানে নিয়ে যায় তাদের। নিবিড় রুক্মিণীর ছবি তুলতে থাকে, গোপালের মা আর সহ্য করতে না পেরে গোপালকে অভিযোগ জানায়। গোপাল রেগে গিয়ে তাঁর মাকেই বলে, সে বন্ধুত্বকে এত খারাপ চোখে দেখে না তাই বাজে কথা বলে তাঁর মানসিকতা নষ্ট করা যাবে না।
অন্যদিকে পারুল-রায়ান এক উকিলের কাছে উপস্থিত হয়। সেখানে আগে থেকেই এক দম্পতি উপস্থিত ছিল, যারা নিজেদের মধ্যে তুমুল ঝগড়ায় মেতেছে। পারুল-রায়ান তাঁদের শান্ত করে সবটা শোনে, তারপর উপদেশ দিয়ে তাঁদের ডিভোর্সটা আটকে দেয়। এরপর উকিলের কাছে নিজেদের ডিভোর্সের কথা বলতেই তিনি করাতে পারবেন না জানিয়ে দেন।
উকিলের মতে, তাঁদের সম্পর্ক ভগবানের তৈরি তাই এই সম্পর্ক ভাঙলে মহাপাপ হবে। পারুল-রায়ান সিদ্ধান্ত নেয় অন্য উকিলের কাছে যাবে, কিন্তু এই ডিভোর্স কেউ আটকাতে পারবে না। তাঁরা চলে যেতেই উকিল বারকাউন্সিলের সব উকিলকে জানিয়ে দেয়, যেন পারুলদের ডিভোর্স কেস কেউ না নেয়। এদিকে আবার চিন্তায় পড়ে যায় দুজনে, কিছুতেই ডিভোর্স কেস কোনও উকিল নিচ্ছে না বলে।
আরও পড়ুনঃ নাচ-অভিনয়ে দুই প্রজন্ম, একই ছাদের নিচে দুই শিল্পীর গল্প! স্টার জলসায় রাজনন্দিনীর যাত্রা শুরু, মা ইন্দ্রাণীর চোখে গর্ব! রাজনন্দিনীর অভিনয়ে মুগ্ধ ইন্দ্রাণী, চান একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে!
ঝামেলা যে একটা আগে থেকেই হয়ে আছে, সেটা আন্দাজ করতে পারেনি দুজনে। উকিলের চেম্বারে ওই দম্পতির সঙ্গে পারুলের ব্যাগ পাল্টাপাল্টি হয়ে গেছে। তারাই বাড়িতে ব্যাগ ফেরৎ দিতে এসে পারুলদের পরামর্শ দেয় বিচ্ছেদ না করার। ফলে বাড়ির সবাই জেনে যায়, কি করতে গেছিল দুজনে। দাদু রেগে গিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় দুজনকে, বলে তাঁর চোখের সামনে থেকে চলে যেতে। এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।