জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দুই দুইবার ক্যানসার জয়! কেমোথেরাপি নিতে ভয়! দেহে বাসা বাঁধছিল মারণরোগ, চিকিৎসকও বুঝতে পারেননি! — জীবনের লড়াইয়ে জিতে ফিরলেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী!

শরীরের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু টের পেয়েও অনেকেই তা এড়িয়ে যান। কিন্তু কেউ কেউ নিজের সত্তার ভেতরে কান পাততে জানেন, বোঝেন ভিতরে কোথাও একটা যন্ত্রণা নীরবে জমে উঠছে। এক বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর (Famous Actress) ক্ষেত্রেও ঘটেছিল ঠিক তেমনটাই। দিনের পর দিন শ্যুটিং, আলো-ক্যামেরা, অ্যাকশন, সবই চলছিল স্বাভাবিক গতিতে। কিন্তু হঠাৎ একদিন কাজের মাঝেই মনে হয়েছিল কিছু একটা ঠিকঠাক চলছে না তাঁর শরীরে।

নিঃশব্দে নিজের শরীরের সংকেতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি, আর সেই সিদ্ধান্তই শেষমেশ হয়ে দাঁড়ায় তাঁর জীবনরক্ষার পথ। প্রথমে তিনি চিকিৎসকের কাছে গিয়েও খুব একটা গুরুত্ব পাননি। কিন্তু নিজের সন্দেহকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি নিজেই বলেছিলেন যে শরীরে যেটা বেড়ে উঠছে, সেটা যেন অপারেশনের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেসময় তাঁকে কেমোথেরাপির পরামর্শ দেওয়া হলেও তিনি তা নিতে চাননি। কারণ একটাই, চেহারার পরিবর্তন তাঁর কাজের পরিপন্থী হয়ে উঠতে পারে।

আর এই ভয়েই তিনি সেই চিকিৎসা এড়িয়ে যান। সেই সময় তাঁর মন জুড়ে ছিল একটাই ভাবনা,”চুল পড়ে গেলে শ্যুটিং করব কীভাবে?” তাই ডাক্তার প্রস্তাবিত ওষুধেই চিকিৎসা চালিয়ে যান। তবে ২০২০ সালে কোভিডের ঠিক আগে ফের একবার ধরা পড়ে সেই মারণ রোগ। এবার আর সময় নষ্ট করেননি তিনি। শুরু করেন কেমোথেরাপি, মেনে চলেন চিকিৎসকের পরামর্শ। দ্বিতীয়বার রোগ ধরা পড়ার পর তাঁর মনেও চলছিল অপরাধবোধ।

প্রথমবার যদি একটু বেশি সচেতন হতেন, তাহলে হয়তো এতটা ভোগান্তি এড়ানো যেত। তবে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা আর তাঁর মানসিক দৃঢ়তাই তাঁকে ফিরিয়ে এনেছে সুস্থ জীবনে। কেমো চলাকালীন তাঁর খুব কম চুল পড়েছিল, যা পরে আবার গজিয়েও ওঠে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান যে শুধু ক্যানসারই নয়, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত। ৬০ বছর বয়সে ধরা পড়ে এই রোগ। এমনকি চিকিৎসকরা একসময় আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন।

এই ডায়াবেটিস তাঁর কিডনির ক্ষতি করে ফেলতে পারে এমনটা ভেবেছিলেন অনেকেই। দুবার স্তন ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ফিরে আসা, পাশাপাশি ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ মোকাবিলা করে এই মুহূর্তে তিনি সুস্থ, সচল এবং প্রেরণাদায়ক। তিনি আর কেউ নন—জনপ্রিয় অভিনেত্রী অরুণা ইরানি। কিন্তু আজ অবধি সব কিছু সামলে তিনি যেভাবে জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন, তা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকতেই পারে বহু মানুষের কাছে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page