জি বাংলার ফুলকির (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রাজবাড়িতে ছোট রানীর বেআইনী ব্যবসায় হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়ে আসে ফুলকি। এই সঙ্গে ছোট রানীর চোখে চোখ রেখে সে কথা দিয়ে আসে, প্রমাণ করে দেবে যে এই রাজবাড়ির আসল উত্তরাধিকারী সে-ই। কিন্তু বড় রানী ফুলকিকে আর আগের মতো বিশ্বাস করতে পারছেন না, একথা তিনি নিজের মুখেই ফুলকিকে জানিয়ে দেন।
বাড়ি ফিরে এসে ফুলকি ভেঙে পড়ে বড় রানীর ব্যবহারে। ফুলকির কষ্ট হয় এই কথা ভেবে যে বড় রানী তাঁকে লোভী মনে করেন, তিনি মনে করেন ফুলকি সম্পত্তির লোভে এইসব করছে। ফুলকির কান্না দেখে রোহিত তাকে সান্তনা দিয়ে বলে, এখন সে শুধু একজন সিলিন্ডার তোলা মেয়ে নয়, বরং রাজ রক্ত বইছে তাঁর শরীরে! সেই জন্য তাঁকে শক্ত থাকতে হবে আর ছোট রানীকে দেওয়া কথা প্রমাণ করে দেখাতে হবে।

অন্যদিকে রাজবাড়িতে আদিত্য ছোট রানীকে কৌতূহলের চোখে দেখতে শুরু করেছে। সে ছোট রানীকে প্রশ্ন করে, ফুলকি এসে এতকিছু বলে গেল তাও কেন ছোট রানী প্রতিবাদ করলেন না? কেন আদিত্য মানহানির মামলা করতে চাইলে পিছিয়ে আসছেন তিনি? তবে কি ফুলকির দেখানো প্রমাণগুলো সত্যি! ছোট রানী রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে আদিত্যকে বলেন, এইসব রাজনৈতিক চক্রান্ত।
লাবণ্য তাঁকে হারিয়ে রাজমহল দখল নিতেই ফুলকিকে দিয়ে এইসব করাচ্ছে, যাতে রুদ্রর মতো তাঁকেও হারানো যায়। আদির মায়ের কথায় খুব একটা বিশ্বাস হয় না, ধানু তাঁকে এমন চিন্তায় দেখে পরামর্শ দেয়, এবার চোখ-কান একটু খোলা রাখতে কারণ হাজার হোক যেটা রটে তার কিছুটা তো বটেই। এরপর রাতে ধানুকে রোহিত ফোন করে বড় রানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে কি না জানতে চায়।
আরও পড়ুনঃ ‘ধারাবাহিকে না করলে মানুষ ভাববে আমি নেই!’ — বিতর্কিত মন্তব্য কাদের ইঙ্গিত করলেন অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়?
ধানু বলে সেটা কোনও ভাবেই আর সম্ভব নয়, ছোট রানী সব পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফুলকি বলে, তাহলে বড় রাজার কোনও ছবি যদি সে জোগাড় করতে পারে তাহলে ভালো হয়। ধানু সেই মতো সারা রাজবাড়ি খুঁজেও কোনও ছবি পায়না বড় রাজার। এদিকে রুদ্রর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছোট রানী আবার ফন্দি করেন, যেভাবেই হোক ফুলকিকে বড় রাজার খোঁজ থেকে দূরে রাখতে হবে।