জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ডিভোর্সের পথে হাঁটতেই ঘরছাড়া! বসু বাড়ির দরজা বন্ধ পারুল-রায়ানের মুখের উপর! আশ্রয়হীন পারুল-রায়ান কোথায় যাবে এবার? শিরীনের প্রলোভন, রায়ানের স্পষ্ট জবাব!

জি বাংলার ‘পরিণীতা’তে (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রায়ান অবশেষে একজন উকিলের খোঁজ পেয়েছে, যে তাদের ডিভোর্স করতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু তিনি কলকাতায় নয়, বরং চুঁচুড়াতে থাকেন। সেই জন্য পারুল-রায়ান ঠিক করে পরদিন সকালেই সেখানে যাবে। সেই মতো সকাল সকাল পারুল তৈরি হতে গিয়ে লক্ষ্য করে, তার ব্যাগ পাল্টে গেছে।

মনে পড়ে উকিলের চেম্বারে সেই দম্পতির সঙ্গে হয়তো এটা হয়েছে, দরকারি জিনিস না থাকায় কোনও গুরুত্ব দেয় না সে। এদিকে দাদু পারুল-রায়ানের খোঁজ করতে থাকেন, ঠিক তখনই দুজনে একসাথে নিচে আসে কোথাও একটা যাওয়ার উদ্দেশ্যে। দাদু জিজ্ঞেস করতেই তাঁরা বলে ইউনিভার্সিটি যাচ্ছে, কিন্তু মল্লার জানায় ইউনিভার্সিটি বন্ধ। চাপে পড়ে পারুল বলে, তারা নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে যাচ্ছে।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

এই কথা শুনে দাদু রেগে লাল হয়ে যান। তিনি বলেন, তাঁর এই বাড়িতে থাকতে কারোর কোনও এমন ব্যক্তিগত কাজ থাকতে পারে না, যেটা তাঁকে বলা যাবে না। ঠিক এমন সময়ে সেই দম্পতি পারুল-রায়ানের খোঁজ করতে করতে এসে উপস্থিত হয়। তাঁরা পারুল-রায়ানকে অনেক ধন্যবাদ দিয়ে ব্যাগটা ফেরৎ দিয়ে যায় পারুলের। শেষে তাঁরা বসু বাড়ির সকলকে অনুরোধ করে পারুলদের বোঝাতে যেন তারা ডিভোর্স না করে।

দাদুর কৌতূহলে সেই দম্পতি জানায়, সেদিন উকিলের চেম্বারে কি হয়েছিল। সবটা শুনে দাদু এতই রেগে যান যে পারুল-রায়ানকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অন্যের আশ্রয়ে থেকে তাঁরই খেয়ে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। সেটা যদি করতেই হয় তাহলে বাড়ি ছাড়তে হবে। তিনি আরও বলেন, পরুলরা যেটা করেছে, সেটাতে শুধু তাঁরই নয়, বরং নেড়া গোয়ালেও অসন্মান হয়েছে।

ব্যাগপত্র সমেত দূর করে, মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন পারুল-রায়ানের। আশ্রয়হীন হয়ে দুজনে একসঙ্গে চলতে থাকে অজানার উদ্দেশ্যে। রায়ান পারুলকে বলে, দাদুকে গিয়ে যেন সে ক্ষমা চেয়ে বাড়িতে ফিরে যায়। পারুল বলে, সেটা কখনোই হবে না। রায়ানের থেকে মুক্তি পেতে তাঁকে যদি সব হারাতে হয় তাও ঠিক আছে। এদিকে রায়ানের মা ফোন করে শিরীনকে এই খবরটা দিয়ে দেন।

শিরীন রায়ানকে নিজের সঙ্গে বাড়ি যেতে অনুরোধ করে, লোভ দেখায়, ডিভোর্স তাড়াতাড়ি করিয়ে দেবে। কিন্তু রায়ান মুখের উপর সাফ জানিয়ে দেয়, যে বাড়ি থেকে যখন তাদের দুজনকে বের করে দেওয়া হয়েছে, তখন দুজনে একসাথেই থাকবে। অন্তত পারুলের কোনও ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সে কথাও যাবে না।

Piya Chanda