জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রোহিত বড় রাজার খোঁজে শ্মশানে গিয়ে একজন সাধুকে দেখতে পায়, যিনি অনেকটাই বড় রাজার মতন দেখতে। ফুলকিকে ডেকে আনার সিদ্ধান্ত নেয় রোহিত, না-ই বা চিনতে পারেন উনি ফুলকিকে কিন্তু টান তো একটা থাকবেই। সেই মতো ফুলকিকে সঙ্গে করে শ্মশানে নিয়ে আসে রোহিত। ওই সাধুকে দেখে ফুলকি নিজের আবেগ চেপে রাখতে পারে না, একপ্রকার ঠিকই করে নেয় এটাই তার বাবা।
রোহিত আটকানোর চেষ্টা করে, যে না জেনে শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে এমন একজন সাধুকে জ্বালাতন করা উচিত হবে না। কিন্তু ফুলকি কোনও কথাই শোনে না, উল্টে বাবা বলে ডেকে ফেলে সাধুকে। সাধুর ধ্যান ভঙ্গ হতেই তিনি রেগে আগুন হয়ে যান। ফুলকি সাধুকে জানান শ্যামাদাস বাউল হওয়ার আগে তিনি রাজমহল এস্টেটের বড় রাজা ছিলেন, দুর্ঘটনায় তার সব স্মৃতি চলে গেছে। এই কথা শুনে ফুলকিকে রীতিমতো মারতে উদ্ধত হন সাধু আর চলে যেতে বলেন সেখান থেকে।

ফুলকি তাও পেছন না ছাড়ায়, তিনি সেখান থেকে চলে যেতে গিয়ে পায়ে কাটা ফুটে যায়। ফুলকি তাড়াতাড়ি করে সেই কাটা বের করে দেখে অনেক রক্ত পরছে। জঙ্গলে ঔষধি পাতা খুঁজতে যায় ফুলকি। সাধকদের দলের বড় সাধু অর্থাৎ রঘুনন্দ বাকিদের বলেন, এই সুলক্ষণা মেয়েটি এখানে কি করছে। তারপর কিছু একটা মনে করে ফুলকির পিছু নেন তিনি। ফুলকি পাতা সংগ্রহ করে ফিরছে, এমন সময় পথ আটকে দেন তিনি।
তিনি বলেন শ্যামানন্দ অর্থাৎ বড় রাজার সব স্মৃতি অমাবসায় একটা পুজো করে তিনি ফিরিয়ে আনবেন। তার জন্য ফুলকি সাহায্য প্রয়োজন, ফুলকি এককথায় রাজি হয়ে যায়। এদিকে শ্যামানন্দ রোহিতকে বলেন, ফুলকির মৃত্যু যোগ আছে, একটার পর একটা বিপদ আছে ওর কপালে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওকে এখান থেকে নিয়ে যেতে। এরপর ফুলকি এসে তার পায় ওষুধ লাগিয়ে দেয়।
তারপর পুরনো স্মৃতির কথা বলতেই আবার তিনি রেগে গিয়ে ফুলকিকে তাড়ানো শুরু করেন। অন্যদিকে দেখা যায় ফুলকি-রোহিত বাড়িতে নেই, এই খবর জেনে মাথায় বাজ পড়েছে রুদ্রর। তিওয়ারি বুদ্ধি দেয়, চরণদাস ঠাকুরের আশ্রমে গিয়ে ফুলকির খোঁজ নিতে। এরপর রাত কেটে অমাবস্যার দিনে ফুলকি-রোহিত আবার শ্মশানে উপস্থিত হয়। রঘুনন্দ পুজোতে বসেন, কিন্তু শ্যামানন্দের কোনও দেখা নেই।
আরও পড়ুনঃ “আমি পাবলিসিটি স্টান্ট-এ বিশ্বাসী নই!” “শুধু আমার জন্য নয়, সব মায়েদের জন্যই এই প্রতিবাদ!”— এবার কটাক্ষকারীদের একহাত নিলেন কনীনিকা! ফের কাঠগড়ায় কলকাতা বিমানবন্দরের পরিষেবা, চাইল্ড কেয়ার রুমের দুরবস্থা নিয়ে ফের তোপ অভিনেত্রীর!
অনেকক্ষণ তিনি আসছেন না দেখে রোহিতকে খোঁজ নিতে পাঠায় ফুলকি। এদিকে নিজের কুমতলব আস্তে আস্তে প্রকাশ পেতে থাকে রঘুনন্দর। ফুলকি কি অজ্ঞান করে তিনি উৎসর্গ করতে যাবেন, এমন সময় রোহিত আর বড় রাজা এসে উপস্থিত হন। এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।