জি বাংলার ‘ফুলকি’র (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় কোনও রকমে রঘুনন্দের সঙ্গে লড়াই করে শ্যামানন্দ ফুলকির প্রাণ বাঁচান। ঠিক সেই সময় ইন্সপেক্টর সম্পূর্ণা পুলিশ ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হয়ে, সব সাধুদের গ্রেপ্তার করে। রুদ্রও ফুলকির খোঁজে এসে সেখানে লুকিয়ে সবটা দেখতে থাকে। ফুলকির কিছুতেই জ্ঞান ফিরছে না দেখে রোহিত খুব অস্থির হয়ে পড়ে।
অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর অবশেষে ফুলকি চোখ খুলে তাকায়। চোখ খুলতেই সে বড় রাজার খোঁজ করতে থাকে, রোহিত বলে তিনিই ফুলকির প্রাণ বাঁচিয়েছেন। এরপর ফুলকিকে রঘুনন্দের সমস্ত অসৎ উদ্দেশ্যর কথা খুলে বলে রোহিত। ফুলকি একটু সুস্থ হতেই বড় রাজাকে তাঁর সঙ্গে রাজমহল ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে, কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হন না। এদিকে ফুলকির কণ্ঠে তিনি চেনা ব্যক্তির ছায়া পান।

কিন্তু বারবার নিজের মনকে বোঝান যে তিনি এখন গৃহত্যাগী, তাঁর যে পরিবার বলে কিছু থাকতে নেই। সবটা মনে না পড়লেও, বড় রানীর সঙ্গে সন্তান জন্মের আগে কাটানো কিছু মুহূর্ত তাঁর আজও মনে আছে। ফুলকি এবার জেদ ধরে, শ্যামানন্দ যদি তাঁর সঙ্গে না ফিরে যান তবে ফুলকিও তারই সাথে শ্মশানে থাকবে। অবশেষে তিনি রাজি হয়ে যান ফিরে যেতে। অন্যদিকে রুদ্র ছোট রানীকে ফোন করে সবটা জানিয়ে দেয়, যে ফুলকিরা বড় রাজাকে সঙ্গে নিয়ে ফিরছে।
ছোট রানী বলেন, যে করেই হোক ওদের রাস্তাতেই মেরে ফেলতে হবে। রুদ্রকে তিনি পরামর্শ দেন, রাস্তায় ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখতে। যাতে গাড়ি ওর উপর দিয়ে গেলে উড়ে যায় বিস্ফো’রণে। এই কথাটা ছোট রাজা শুনে ফেলেন, পরদিন ফুলকিদের গাড়ির সামনে ছদ্মবেশে বাইক নিয়ে রাস্তা রুখে দাঁড়ান তিনি। ফুলকি-রোহিতকে তিনি বলেন, এরপর যেন গাড়ি না এগিয়ে জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে তাঁরা হেঁটে চলে যায়।
রোহিতের বিশ্বাস হয় না তাঁর কথা, ছোট রানীর লোক ভেবে জেরা করার উদ্দেশ্যে গাড়ি থেকে নামতেই, তিনি গাড়িটা ঠেলে দেন এবং গাড়ি গিয়ে একটা ল্যান্ডমাইনে ধাক্কা খেতেই বিস্ফো’রণ ঘটে, ফুলকিরা ছিটকে মাটিতে পরে যায়। ছোট রাজা পালিয়ে যান, কিন্তু ফুলকি বুঝতে পারে না যে কেন তিনি প্রাণ বাঁচালেন। এদিকে ছোট রানীকে রুদ্র ফোন করে জানায়, ফুলকি-রোহিত মারা গেছে গাড়ি বিস্ফো’রণে।
আরও পড়ুনঃ “দর্শকের ধৈর্য কমেছে, প্রথম দিনেই ছক্কা না মারলে ফক্কা!” “বউ কথা কও চলেছিল তিন বছর, এখন ছ’মাসেই শেষ”—ছোটপর্দা নিয়ে মানালী দে-র হতাশা! ‘বউ কথা কও’য়ের মতো ধারাবাহিক কি আর সম্ভব নয় এই সময়ের বাংলায়? কী মতামত অভিনেত্রীর?
ছোট রানী এরপর নাটক শুরু করে, ধানু আর বড় রানীকে ডেকে মৃত্যু সংবাদ দেন তিনি। দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়ে, ছোট রাজা সত্যিটা জানলেও চুপ করেই থাকেন। ঠিক এমন সময়ে বড় রাজাকে নিয়ে ফুলকি-রোহিত হাজির হয়। ছোট রানীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে! ছোট রানী বলেন, এই ছদ্মবেশী কখনোই বড় রাজা হতে পারেন না। ফুলকিও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়, যে প্রজারা নিজের রাজাকে ঠিক চিনে নেবে।