জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পারুল ইউনিভার্সিটিতে এসে সবাইকে জানায় রায়নকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই কথা শুনে সবাই চিন্তায় পড়ে গেলেও তূর্য মনে মনে আনন্দ পায়। শিরীন বুঝতে পারে, তূর্য এই কাজ করেছে। এদিকে পারুলের কাছে গিয়ে তূর্য সহানুভূতি প্রকাশ করে কফি বানাতে যায় তাঁর জন্য।
ঠিক তখনই রায়ান উপস্থিত হয় সেখানে, তাঁকে দেখেই তূর্যের পায়ের তলার মাটি সরে যায়। এরপর পারুল-রায়ান সবাইকে বলে আগের রাতে ঠিক কি করেছিল তূর্য রায়ানের সঙ্গে। পারুল জানায়, সে বাড়ি ফিরে দেখে চারিদিকে পানিও এবং বোতল পড়ে আছে। কিন্তু রায়ানের কোনও চিহ্ন নেই। রায়ানকে ফোন করে কিন্তু ফোনটা সামনেই পড়ে থাকায় কোনও লাভ হয় না।

হঠাৎ পারুল লক্ষ্য করে একটা ব্যাগ দরজার একপাশে পড়ে আছে, ব্যাগটা খুলতেই দেখে রায়ান তার ভেতরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তাড়াতাড়ি রায়ানকে উদ্ধার করে, তার বদলে কিছু অন্য জিনিস রেখে দেয় সেই ব্যাগে পারুল। লুকিয়ে থেকে লক্ষ্য করে তূর্যই সবটা করেছে। এই ঘটনা শুনে সবাই তূর্যের উপর রেগে যায়, তূর্য বলে পারুলের কাছে কোনও প্রমাণ নেই।
পারুল বলে, ঠিক যেমন তুর্যের অপরাধের প্রমাণ নেই, তেমনই তাঁকে শাস্তিও দেবে কিন্তু প্রমাণ থাকবে না। আতঙ্কিত হয়ে তূর্য সাবধান করে, তার মাথার উপরে একজন বড় মানুষের হাত আছে। সে কাউকে ছাড়বে না তূর্যের কিছু হলে। কিন্তু কেউ শোনে না তার কথা। বেলুন এনে ক্যান্টিনের সিসিটিভি ঢেকে ফেলে তারা, এরপর সবাই মিলে তূর্যকে খুব মারতে থাকে মাটিতে ফেল।
এক পর্যায়ে মল্লার তূর্য মরে যেতে পারে ভেবে সবাইকে শান্ত করে। পারুল তূর্যকে জানিয়ে দেয়, এরপর রায়ানের দিকে তাকানোর আগে যেন এই মারটা মনে থাকে। এদিকে রুক্মিণীর বিদেশ যাওয়ার সমস্ত দরকারি জিনিস গোপাল জোগাড় করে দেয় কিন্তু মনে মনে রুক্মিণীকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে কষ্ট পেতে থাকে সে। রুক্মিণীকে আবদার করে গোপাল, একটা মডেলিংয়ের পোজ দেখাতে।
আরও পড়ুনঃ ছোট রানীর দম্ভে ফুলকির পাল্টা জবাব, রাজার হয়ে ধানু এবার লড়বে আদালতে! মন্দিরে ঘণ্টা বাজতেই স্মৃতি ফিরল রাজার! চৌধুরী মহলেই বড় রাজাকে খু’নের ষড়যন্ত্র! হাজারো প্রজার ভিড়ে মৃ’ত্যুমালা পরিয়ে দিল রুদ্রর লোক! কি করে বাঁচাবে ফুলকি?
অন্যদিকে মল্লার গিয়ে দাদুকে রায়ানের উপর আক্রমণের কথা জানাতেই, দাদু অতীত ভুলে পারুল-রায়ানকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন। পরদিন পারুল শুনতে পায় দাদু রায়ানকে বলছেন, তার বসু বাড়ির প্রতি একটা কর্তব্য আছে যা বাইরের লোকের নাও থাকতে পারে। পারুলকে তিনি যেই উদ্দেশ্য নিয়ে এনেছিলেন সেটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। পারুল কষ্ট পেয়ে ঠিক করে আর ওই বাড়িতে থাকবে না।