জি বাংলার ‘ফুলকি’র (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, ছোট রানী বেরিয়ে যেতে বলেন ফুলকিদের। ফুলকি যাওয়ার আগে ছোট রানীকে বলে, বড় রাজার অধিকার সে ফিরিয়ে দেবেই আর দরকারে কোর্টে মামলা করবে। ছোট রানী হেসে উঠে বলেন, কেউ থাকবে না পাশে! এমন অদ্ভুত কেস কে লড়বে তাঁদের হয়ে?
ফুলকি জানায়, তাদের পাশে রাজমহলের প্রজারা আছে। যারা বড় রাজাকে ঠিকই চিনতে পেরেছেন। এরপর ধানু জানায়, সে ফুলকির হয়ে মামলা লড়বে। এই কথা শুনে ছোট রানী রীতিমত চিন্তায় পড়ে যান। এদিকে ফুলকিরা বড় রাজাকে নিয়ে নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। চৌধুরী মহলের বাইরেই সমস্ত লোকজন রাজার জন্য অপেক্ষা করছিল।

রাজাকে দেখতে পেয়ে একে একে নিজের পরিচয় দেয়, কিন্তু রাজা কাউকেই চিনতে পারেন না। উল্টে এত লোক দেখে তিনি অস্থির হয়ে পড়েন। এমন সময় নৃসিংহ দেবের মন্দিরে ঘণ্টার আওয়াজ শুনে তিনি মন্দিরে ছুটে চলে যান। প্রজারা ফুলকিকে জানায়, বড় রাজা খুব ভালো আরতি করতেন। যথারীতি তিনি মন্দিরে গিয়ে প্রদীপ হাতে তুলে নেন, আর আরতি শুরু করেন।
অন্যদিকে মন্দিরে এত আওয়াজ শুনে বড় রানী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সেখানে যাওয়ার জন্য, কিন্তু ছোট রানী তাঁকে যেতে দেন না। এরপর আদিত্যকে নির্দেশ করে ধানুকে ফুলকির হয়ে মামলা লড়া থেকে আটকাতে। তারপর রুদ্রকে ফোন করে তিনি অনেক কথা শোনান, ফুলকিরা বেঁচে যাওয়া নিয়ে। রুদ্রও এবার আরও হিংস্র হয়ে ওঠে, তিওয়ারিকে বলে, একটা মালা বানিয়ে আনতে বড় রাজার জন্য।
আরও পড়ুনঃ আবারও ষড়যন্ত্রের শিকার আর্য-অপর্ণা! আর্যকে অপহরণ করল মেঘরাজ! ভালোবাসার লড়াইয়ে অপর্ণা! অপর্ণা কি এবার বাঁচাতে পারবে তাকে? চিরদিনই তুমি যে আমার-এ রুদ্ধশ্বাস পর্ব!
যেটা পড়তেই সব সমেত শেষ হয়ে যাবে, কেউ আর বাঁচবে না। পরিকল্পনা মতো একজন লোককে দিয়ে মালা পড়াতে পাঠায় সে। হাজারো প্রজার মধ্যে দিয়ে, রাজবাড়িতে সবার চোখের সামনেই সেই ব্যক্তি গিয়ে বড় রাজাকে মালাটা পড়িয়ে দেয়। ফুলকি লক্ষ্য করে মালাটায় কিছু একটা আলো জ্বলছে, এবার কি করবে ফুলকি? জানতে চাইলে অবশ্যই চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।