জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) প্রতিদিন যেন নতুন চমক নিয়ে হাজির হচ্ছে দর্শকের সামনে। আর্য-অপর্ণার সম্পর্ক ধীরে ধীরে আরও গভীর হলেও, একের পর এক বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না তাঁদের। শুরুর দিকে মেঘরাজের দূত হয়ে অফিসে নীলের ঢুকে পড়া ছিল এক চরম মোড়া। তবে আর্য তাঁর পরিচয় ধরে ফেললেও, কঠিন শাস্তির বদলে তাকে পাঠিয়ে দেয় বিদেশে, যেন নতুন করে শুরু করতে পারে সে।
এদিকে আর্য অবশেষে স্বীকার করে নেয়, যে অপর্ণাকে বিয়ে করবে সে। কিন্তু মেঘরাজ এত সহজে হার মানার পাত্র নয়। ২৬ জুলাইয়ের পর্বে দেখা যাবে, ফের আর্যর জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনছে সেই পুরোনো শত্রু। অফিস থেকে ফেরার সময় আর্যকে অজ্ঞান করে কিডন্যাপ করে সে। একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয় আর্যকে। তার এই পরিকল্পনা কতটা ভয়ঙ্কর, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

তবে এতে যে তাঁর প্রতিশোধস্পৃহা জড়িয়ে আছে, তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে অপর্ণা যেন অনুভব করে আর্যর অনুপস্থিতির মধ্যে লুকিয়ে থাকা অশনি সংকেত। এক মুহূর্ত না দেরি করে সে নেমে পড়ে আর্যকে খুঁজতে। শহরের এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াতে থাকে সে, কারণ তার মনে গেঁথে গেছে – এই বিপদের আড়ালে রয়েছে কোনও বড় ষড়যন্ত্র। এদিকে পূর্বজন্মের স্মৃতি অপর্ণাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ “আমি শাহরুখ খানের ফর্মুলা ফলো করি, উনি সুপারস্টার হয়েও নম্র, এখানে দুটো ছবি করেই অহংকার!” “শাহরুখের মতো নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা কোথায়?”— টলিউডের নতুন প্রজন্মের নায়কদের চোখে আঙুল দিয়ে বাস্তব দেখলেন সুদীপ্তা!
এই ধাপে ধাপে অপর্ণার আর্যর প্রতি ভালোবাসা এবং সাহসী পদক্ষেপ দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাচ্ছে। এবার প্রশ্ন উঠছে—এই যুদ্ধে কে জিতবে? অপর্ণার অন্তর থেকে আসা ভালোবাসা ও আত্মবিশ্বাস, নাকি মেঘরাজের প্রতিহিংসা ও প্রতারণা? গল্পের মোড় এখন এমন এক উত্তেজনার জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে প্রতিটি দৃশ্য দর্শকের মনে দোলা দিচ্ছে। আর্য কি শেষ পর্যন্ত অপর্ণার সাহসের জোরে মুক্তি পাবে?
নাকি মেঘরাজ আরও বড় কিছু করে বসবে? ধারাবাহিকের এই রোমাঞ্চকর মোড়ের উত্তর মিলবে আসন্ন পর্বেই। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার—‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ শুধুই ভালোবাসার গল্প নয়, প্রতিশ্রুতি এবং বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে একে অপরের পাশে থাকার গল্পও। পরের পর্বে কোন নতুন চমক অপেক্ষা করছে, তা জানতেই চোখ রাখতে হবে টিভির পর্দায়।