জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) শুরু থেকেই দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছে আর্য-অপর্ণার গভীর সম্পর্কের রসায়নে। তাঁদের জুটিকে এখন বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম সেরা রোম্যান্টিক জুটি হিসেবে ধরা হয়। যদিও ধারাবাহিকটি এক মারাঠি সিরিয়ালের অনুপ্রেরণায় তৈরি, তবুও একাধিক টুইস্ট ও নতুনত্ব আনছে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ, যা নিয়মিতভাবে সিরিয়ালপ্রেমীদের আকর্ষণ করছে।
ধারাবাহিকের গল্পে আসল মোড় এসেছে আর্যের অতীত প্রকাশ্যে আসার পর। দর্শক জেনে গিয়েছেন, যাঁকে এতদিন ‘মা’ বলে এসেছে আর্য, তিনি আসলে রাজনন্দিনীর মা অর্থাৎ তার শাশুড়ি। তবে যেটা এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে, তা হলো—রাজনন্দিনীর মৃত্যু আসলে কীভাবে ঘটেছিল? এবং সেই খুনের পেছনে কারা ছিল? কারণ বর্তমানে জানা গেছে অপর্ণাই রাজনন্দিনীর পুনর্জন্ম, আর সে ফিরেছে প্রতিশোধ নিতে।

গল্পের সূত্র ধরে অনেকেই সন্দেহ করছিলেন, মারাঠি মূল গল্প অনুযায়ী, আর্যই হয়তো রাজনন্দিনীর খুনী। তবে বাংলা দর্শক এমন একটি চরিত্রকে খলনায়কে দেখতে প্রস্তুত নন। সম্ভবত সেকারণেই লেখক-নির্মাতারা একটু অন্য পথে হাঁটছেন। ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে আর্য এবং কিঙ্করের কথোপকথন অনেক কিছু স্পষ্ট করেছে। সেখানে আর্য জানায়, সে অপর্ণাকে সত্যিটা জানাবে।
তবে আগে সে নিজেও জানতে চায় ঠিক কী ঘটেছিল। এক কথায়, এই মুহূর্তে দর্শকদের জল্পনা সবচেয়ে বেশি কিঙ্করকে ঘিরে। যখন আর্য বলে, সে নিজের অতীত জানার চেষ্টা করছে, তখন কিঙ্করের মুখের অভিব্যক্তি যেন ভয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, হয়তো কিঙ্কর নিজেই রাজনন্দিনীর মৃত্যুর পেছনে মূল অভিযুক্ত। এই রহস্য ধীরে ধীরে সামনে আসছে এবং সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে টানটান উত্তেজনা।
আরও পড়ুনঃ রুদ্রর চাল ব্যর্থ! ফুলকির চোখে ধরা পড়ল মৃ’ত্যুর ফাঁদ! রাজমহলে বি’স্ফো’রণ, আতঙ্কে জনতা! ফুলকির তৎপরতায় আবার বাঁচলেন বড় রাজা! সংসার ভাঙার মুখে দাঁড়িয়ে ধানুর! রোহিতের মা ভেঙে পড়লেন কান্নায়! ফুলকিই শেষ ভরসা?
শেষ পর্যন্ত গল্প কোন দিকে মোড় নেবে, তা এখনই বলা কঠিন। তবে যেভাবে চরিত্রগুলোর অতীত এবার ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে এবং দর্শকদের আবেগের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে, তাতে একটাই কথা বলা যায়—এসভিএফ এই ধারাবাহিকে ভবিষ্যতেও বড় চমক দিতে চলেছে। আর তাতেই চিরদিনই তুমি যে আমার হয়ে উঠতে পারে টিআরপির দৌড়ে এক অনন্য নাম, এমনটাই আশা করছেন ধারাবাহিকপ্রেমীরা।