জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বি’স্ফো’র’ণে কাঁপল গোটা গ্রাম! ন্যাড়া-গোয়ালে বিষাক্ত ধোঁয়ায় দমবন্ধ পরিস্থিতি! বি’স্ফো’র’ণের খবরে ভেঙে পড়ল রুক্মিণী! শেষ মুহূর্তে গাড়ি নিয়ে হাজির রায়ান! পারুল কি পারবে সবাইকে বাঁচাতে?

জি বাংলার ‘পরিণীতা’তে (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে ন্যাড়া-গোয়াল। এমন ঘটনায় সবাই যখন ভীত, পারুল লক্ষ্য করে দূরের একটা সিমেন্ট কারখানায় আগুন লেগেছে। সঙ্গে সঙ্গেই পারুল বুঝে যায়, যে সেখান থেকে মুহূর্তেই বিষাক্ত রাসায়নিক যুক্ত ধোঁয়া ছড়াতে শুরু করবে। সেই ধোঁয়া নাকে গেলে কেউ বাঁচবে না!

পারুল সবাইকে উঁচু জায়গায় চলে যেতে বলে, যাতে সমতলের অক্সিজেন ওই ধোঁয়ার সংস্পর্শে এসে শেষ হয় গেলেও মানুষরা বাঁচতে পারে। গোপাল সব গ্রামবাসীদের জড়ো করে পঞ্চায়েত বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়। কিন্তু অনেক গ্রামবাসী সেই খবরটা পায় না, তাঁদেরকে এতো কম সময়ে কী করে খবর দেবে, ভাবতে থাকে পারুল। গোপাল বুদ্ধি দেয়, গ্রামে আগেরদিন অষ্টপ্রহর হরিনাম সংকীর্তন হয়েছে।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

সেখানেই মাইকের ব্যবস্থা ছিল। তাড়াতাড়ি করে সেখানে গিয়ে পারুল গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে ঘোষণা শুরু করে। পারুলের বাবা-মা তাঁকে জোর করে তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য, নাহলে পারুলের প্রাণ সংশয় হতে পারে। কিন্তু পারুল বলে, সে যতদিন পর্যন্ত বাঁচবে ততদিন গ্রামের কারোর ক্ষতি হতে দেবে না। বাধ্য হয়ে পারুলের মা বাবা সেখান থেকে তাঁকে না নিয়েই চলে যান।

পারুল দেখে গ্রামের সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে গেছে, শুধু একজন বৃদ্ধা কিছুতেই জোরে চলতে পারছেন না। পারুল তাঁকে বাঁচাতে নিজের কাধে তুলে নিয়ে যায় নিরাপদ জায়গায়। পারুল সেখানে পৌঁছাতেই, গ্রামের কিছু ছেলেরা তাঁকে মিথ্যেবাদী বলে সেখান থেকে চলে যায়। পারুল অনেক আটকানোর চেষ্টা করলেও তাঁরা শোনে না। নিচে নামতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তাঁরা।

এদিকে শিরীনের মায়ের কাছে খবরটা পৌঁছে যায়, যে তাঁর কারখানাতেই বিস্ফোরণ হয়েছে। তিনি রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, পুলিশের ভয়ে। অন্যদিকে রায়ানকে রুক্মিণী ন্যাড়া-গোয়ালের গল্প শোনাতে থাকে, এমন সময় গোপালকে ভিডিও কল করবে বলে ফোনটা হাতে নিতেই, রুক্মিণীর মাথায় বাজ পড়ে। বি’স্ফো’র’ণের খবর জানতেই ভেঙে পড়ে রুক্মিণী।

রায়ানকে বলে গাড়ি ঘোরাতে, এই পরিস্থিতিতে বিদেশ সে কিছুতেই যাবে না। এদিকে ন্যাড়া-গোয়ালে দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও কোনও পরিবর্তন আসে না অবস্থার, উল্টে উচুতেও সবাই অসুস্থ হতে শুরু করে। হঠাৎ রায়ানের গাড়ি গ্রামে ঢুকতে দেখে পারুল চিন্তায় পড়ে যায়। দুই পায়ে বাঁশ বেঁধে রণপা বানিয়ে পারুল রায়ানদের বাঁচাতে সক্ষম হলেও নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর কি হবে?

TollyTales Entertainment Desk